বাচ্চাদের হাসি বাবা মার কাছে সবচেয়ে দামি

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

1000026989.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে প্রতিটি বাবার মার কাছে তার সন্তানের হাসি সবচেয়ে দামি। একজন মা দশমাস দশদিন কত কষ্ট করে একটা বাচ্চার জন্মদেয়। আর বাচ্চা জন্মের পর তার মুখ দেখে মায়ের পৃথিবীর সকল কষ্ট দূর হয়ে যায়। মা তার সন্তানের মুখের হাসি দেখে সব কষ্ট ভুলে যায়। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আজ আমার ছোট মেয়ের জন্মদিন ছিল। সারাদিন অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। যদিও জন্মদিন করার কোন ইচ্ছে ছিল না। তবে বাচ্চাদের আনন্দের জন্য একটু করতে হলো।আর সেই বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট লিখব।আসলে আজ কয়েক দিন ধরে মেয়ে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। আসলে তার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের।যে কেউ ফোন দিলে বলে একুশ তারিখে আমার জন্মদিন তোমরা সবাই আসবে।কয়েক দিন শোনার পর আমি বললাম তুমি কাদের দাওয়াত করেছ।তারপর সে একে একে সবার নাম বলল।তখন মনে মনে ভাবলাম তাহলে একটু আয়োজন করি।

গতকাল সব কিছু শেষ করে মেয়েদের নিয়ে যাব কেক কিনতে। আর সেই মূহুর্তে চলে আসল বৃষ্টি। আসলে এতো পরিমাণ বৃষ্টি বলার মতো নয়। তাই আর বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বের হবার সাহস পেলাম না।তারপর যাব না বলে মেয়ে অনেক কান্না শুরু করে দিল।সে ভেবেছিল তার জন্মদিন এবার আর পালন করা হবে না। কি যে করি আমি ও পড়ে গিয়েছিলাম বিপদে। তারপর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আপনার ভাইকে বাজারে পাঠিয়ে দিলাম। যা যা আনার প্রয়োজন সব কিছু আনলো।যেহেতু দুপুরে সবাই খাবে তাহলে কেক কিভাবে আনব।সেটা নিয়ে ও ভাবনা আমার মেয়ের। তখন আমি বললাম চিন্তার কারণ নেই। কেক সময় মতো চলে আসবে।আসলে আমার ছোট জা কেক নিয়ে তার জন্মদিনে আসবে। তখন বাচ্চারা অনেক খুশি।

তারপর রান্না শেষ করালাম।আসলে বাচ্চারা চিকেন বিরিয়ানি অনেক পছন্দ করে। যেহেতু আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের বেশি দাওয়াত করেছি।তারজন্য চিকেন বিরিয়ানি ও সাথে ছিল পায়েস। খাওয়া দাওয়ার আগে থেকেই শুরু হলো বাচ্চাদের আনন্দ। তারা শুধু খেলাধূলায় ব্যস্ত। আর যখন জন্মদিনের আয়োজন করেছি তখন তারা অনেক খুশি।আর আমার মনে হয় বাচ্চাদের এই খুশি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা বাবার কাছে। তবে টুকিটাকি সে বেশ গিফট পেয়েছে এটা দেখে তার আরো বেশি আনন্দ লেগেছে। তখন মেয়ের বাবা বলছে যাইহোক আমার মেয়ে খুশি হয়েছে এটাই অনেক। আমার মনে হয় সকল বাবা মা বাচ্চাদের আনন্দ দেখলে খুশি হয়ে থাকে।এভাবেই হাসিখুশি থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা মা বাচ্চাদের নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রলয়োজনীয়উপকরণ
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদপুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png