বাচ্চাদের ছোট থেকে শেখানো উচিত।

লিংক


বর্তমান সমাজে আমাদের বাচ্চারা অনেক বেশি আধুনিক হয়েছে। কেননা আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা এত ধরনের আধুনিক জিনিসপত্র কখনো দেখতে পাইনি এবং এইগুলো যে ভবিষ্যতে আমরা দেখতে পাব তা কখনো কল্পনা করতে পারিনি। আসলে এখনকার বাচ্চারা যেহেতু ছোটবেলা থেকে এই ধরনের আধুনিক জিনিসপত্র সম্পর্কে তারা বিভিন্ন ধরনের ধারণা লাভ করতে পারে। আমার কাছে মনে হয় যে এখনকার বাচ্চারা আমাদের থেকে অনেক বেশি ব্রিলিয়ান্ট। কিন্তু একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে যত আধুনিক জিনিস আমাদের উপকারে আসে ঠিক সেই আধুনিক জিনিসগুলোর কিন্তু অনেক ক্ষতি রয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ভালো জিনিসের পিছনে খারাপ দিক রয়েছে।


এজন্য আমরা সবসময় সতর্ক হয়ে আমাদের বাচ্চাদেরকে সঠিক জিনিস শেখানোর চেষ্টা করব। একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যদি আমাদের বাচ্চাদেরকে সঠিক জিনিস শিখাতে পারি এবং কোনটা ভুল ও কোনটা ঠিক এই জিনিসটার মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের বাচ্চারা সবসময় ভালো পথে এগিয়ে চলার চেষ্টা করবে এবং খারাপ দিকে যাওয়ার কখনও কোন চেষ্টা করবে না। আসলে বাচ্চাটা যদি খারাপ পরিবেশে বড় হয় তাহলে তারা পরিবেশের থেকে খারাপ জিনিস গুলো সব থেকে আগে শিখে নেবে। অর্থাৎ খারাপ জিনিস গুলো অনেক বেশি লোভনীয় হয়ে থাকে ভালো জিনিস অপেক্ষা। এজন্য বাচ্চাদেরকে একটা ভালো পরিবেশের মধ্যে রাখা কিন্তু আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।


কেননা আজকের বাচ্চারা হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর এই ভবিষ্যত যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীটাকে সাজিয়ে রেখে গেলেও তারা সেই জিনিসটাকে নষ্ট করে ফেলবে। এজন্য একটা জিনিস তৈরি করা যতটা কঠিন কিন্তু সেই জিনিসটাকে নষ্ট করে ফেলা অনেক বেশি সহজ। তাইতো আমরা সবসময় আমাদের বাচ্চাদেরকে ভালো কিছু শেখানোর চেষ্টা করব। এই বাচ্চাটা যদি আধুনিক জিনিসপত্র সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান লাভ করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদেরকে অবশ্যই সেই জিনিস সম্পর্কে সামান্য ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। আসলে প্রত্যেকটা জিনিসের খারাপ দিকগুলো যখন তাদেরকে আমরা ধরিয়ে দিতে পারব তখন তারা খারাপ দিকে কখনোই যাবে না।


এজন্য প্রত্যেকটা ভালো জিনিসের খারাপ দিকগুলো তাদের সামনে আমাদের অবশ্যই তুলে ধরতে হবে। আর এভাবে যদি আমরা তাদের সাথে ভালো আচরণ করতে পারি এবং ভালো জিনিস শিখাতে পারি তাহলে কিন্তু তারা জীবনে অবশ্যই মানুষের মত মানুষ হতে পারবে এবং মানুষের কল্যাণের জন্য তারা প্রতিনিয়ত কাজ করবে। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি মানুষের উপকার করতে পারি এবং বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে কিন্তু সেই মানুষগুলো আমাদের চিরজীবন মনে রাখবে। তাইতো আমরা বাচ্চাকে সব সময় সঠিক পথে এগিয়ে চলার চেষ্টা করাতে হবে এবং সব সময় তাদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। আর এভাবে আমাদের বাচ্চারা আগামী ভবিষ্যতে অনেক বড় হতে পারবে।

লিংক


আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।