জেনারেল রাইটিং - - “ মৃত্যুভয় “
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
মৃত্যুভয়ঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজ আমি শেয়ার করে নেব একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট।আজকের যে বিষয়টি আলোচনা করবো আপনারা তা ইতিমধ্যে দেখে নিয়েছেন পোস্টের টাইটেল থেকে।আশাকরি আজকের বিষয়টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।”মৃত্যুভয়” নিয়ে আজকের আলোচনা আমি শুরু করছি।দেখুন,জন্ম যেহেতু আছে,মৃত্যু ও তেমনি অবধারিত।পৃথিবীতে আমরা যেমন নিজের ইচ্ছেতে আসিনি,তেমনি চলে যেতে হবে একদিন সেটাও আমাদের হাতে নেই।কী ধনী,কী দরিদ্র সবাইকেই একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।আর এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে।একদিন এই পৃথিবী থেকে আমরা সবাই চলে যাব।কেউ চাইলেই যে থেকে যেতে পারবে তেমনটা কিন্তু নয় এটা আমরা সকলেই জানি বুঝি।কিন্তু তারপরেও কী আমাদের কারো ভয় আছে আমরা কিভাবে চলে যাব।আমরা কি নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সামনে গিয়ে দাঁড়াব?
মৃত্যু অবধারিত জেনেও আমরা এই পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাসিতার মধ্যে দিয়ে জীবনকে কাটিয়ে দিচ্ছি।একবার ও ভাবছি না পরকালের জীবনের কথা।যেখানে আমাদের যুগের পর যুগ থাকতে হবে।সেই মৃত্যুভয় আমাদের কারোর মাঝেই নেই।অথচ এই মৃত্যুর কথা দিনের মধ্যে একবার হলেও ভাবা উচিত।যারা একবার হলেও ভাবেন তারা কিছুটা হলেও খারাপ কাজ,অন্যায় অবিচার থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকতে পারেন।আমরা সবাই মৃত্যুর কথা স্মরণ রেখে আমাদের জীবনকে চালিত করবো।এতে করে আমাদের মধ্যে হিংসা,বিদ্বেষ,লোভ,লালসা,অন্যায়,অবিচার থেকে কিছুটা হলেও সরে দাঁড়াতে পারব।
যে মানুষের মধ্যে মৃত্যুভয় থাকে সেই মানুষ কোন মানুষের সাথেই খারাপ ব্যবহার কিংবা অন্যায় করার কথা মাথায়ই আনেন না।এই মৃত্যু ভয় মানুষকে অনেক মহান করে তোলে।সব মানুষের মধ্যে যদি মৃত্যু ভয় থাকে তবে মানুষ আর কোন পাপ কাজেও লিপ্ত হবেনা।এ ধরনের চিন্তা চেতনা যা বেশী মানুষের মধ্যে থাকবে আমাদের সমাজ থেকে তত বেশী দুর্নীতি ও অন্যায় বিলুপ্ত হবে।সমাজ হবে সুশৃঙ্খল।আর মানুষের মধ্যে থাকবে মানবতা।দেশকে এগিয়ে নিতে এর চেয়ে আর বেশি কিছু লাগে না।
প্রতিটি ধর্মেই রয়েছে মানবতার কথা।আর এই মানবতা আমাদের আজকের সমাজে মানুষের মধ্যে খুব একটা নেই।আমরা যদি মৃত্যুর কথা স্মরণ করি প্রতিদিন একবার তবে হয়ত আমাদের মধ্যে থাকা খারাপ দিকগুলোকে আমরা বাদ দিতে পারবো।এতে করে আমরা সবাই নিজেদেরকে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।দূরের কেউ যখন মারা যায় তখন আমরা শুনে যতটা না অনুভব করি মৃত্যুর কথা,তার চাইতে বেশী অনুভব করি যখন আমাদের খুব কাছের কেউ মৃত্যুবরণ করে।তাই মৃত্যু অবধারিত ,একদিন আগে নয় পরে।তাই পরিশেষে একটা কথাই সবার জন্য বলতে চাই,আসুন আমরা আমাদের মনের মাঝে মৃত্যুর ভয়কে স্মরণ রেখে সব ধরনের অন্যায়,অবিচার,নির্যাতন,লোভ,হিংসা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখি।আল্লাহ রাব্বুল আলআমিন সবাইকে বুঝদান দান করুণ,আমিন।
আজকের বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করলাম।আশাকরি আপনারা আমার লেখা পড়ে বুঝতে পেরেছেন মৃত্যুর কথা ভেবে আমাদেরকে সঠিক পথে চলতে হবে।মনেপ্রাণে আমরা আমাদের মনুষ্যত্বকে তুলে ধরবো সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে।জীবন হোক সুন্দর সবার এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবার হাজির হয়ে যাব অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
আজ আর নয়।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।আবার হাজির হয়ে যাব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে খুব গর্ববোধ হয় ।
অসাধারণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। মৃত্যুভয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা সত্যিই সাহসের কাজ।আপনার লেখাটি পড়ে মনে হলো, আমরা সবাই এই ভয়টি কোন না কোনভাবে অনুভব করি, কিন্তু কথা বলি না। এই নীরবতা ভাঙার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।