হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।

আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করতে।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আমি আজ একটি জেনারেল পোস্ট নিয়ে চলে এলাম।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

এখন চলছে মধুমাসঃ

বন্ধুরা,আজ আবার চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আমার আজকের ব্লগটি একটি জেনারেল রাইটিং ব্লগ।আজকের লেখার বিষয়টি ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন।বাংলাদেশ ঋতু বৈচিত্র্যে অনন্য একটি দেশ।এই দেশ ছয় ঋতুর দেশ।ছয় ঋতুর দেশে একেক ঋতুতে একেক রকমের আমেজ পাওয়া যায়।দুই মাস নিয়ে একটি ঋতু হয়ে থাকে।এখন চলছে বাংলাদেশে মধুমাস। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস মিলে হয় গ্রীষ্মকাল।এই সময় প্রচুর গরম পরে।চারিদিকের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। এই কাট ফাটা গরমে গাছে গাছে খুব সুমিষ্ট ফল এ সময়টাতে পাওয়া যায়। আম,কা়ঁঠাল,লিচু,জাম,তরমুজ এ সময়ের খুব জনপ্রিয় ফল হিসেবে আমরা পেয়ে থাকি প্রকৃতি থেকে।এছাড়া ও এখন পাওয়া যাচ্ছে তালের শাঁস,লটকন,ডেউয়া,জাম,কাউ নামের নানাবিধ ফল।আর এ কারনেই এ সময়টাকে বাংলাদেশের মধুমাস বলা হয়ে থাকে।

প্রথমেই আসি আমের কথা নিয়ে।আম পছন্দ করেন না, এমন মানুষ মনে হয় একজন পাব না।এখন পাওয়া যাচ্ছে নানা স্বাদের নানা রকমের আম।এর মধ্যে হিমসাগর,ল্যাংরা,গোপাল ভোগ,রুপালী আম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ও আর কিছুদিন পর ফজলি আম পাওয়া যাবে।ভিন্ন ভিন্ন নামের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আম খেতে আশাকরি সবাই খুব পছন্দ করেন।এতো এতো সুমিষ্ট ফল যে ঋতুতে পাওয়া যায় সেই ঋতুকে মধুমাস না বললে কি চলে।আশাকরি সব রকমের আম খাবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।

বাংলাদেশের জাতীয় ফল হচ্ছে কাঁঠাল।এই ফলটি আমার কিন্তু ভীষণ পছন্দ। যদিও পরিবারের সবাই খুব একটা পছন্দ করে না।তারপরেও মাঝে মাঝে ই আনা হয় কাঁঠাল।নিজে তো খেয়ে থাকি পরিবারের বাইরেও বিলিয়ে দিয়ে থাকি।আকারে বড় তাই একা একা খাওয়া সম্ভব হয়না।

এবার লিচু আর জাম অনেক খাওয়া হয়েছে।বছরের যেকোনো সময় যে ফল ই বের হোক না কেন আমি ও আমার পরিবার খাওয়ার চেষ্টা করি।যেকোনো ফলে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।দেশীয় ফল খাওয়া ভীষণ উপকার আমাদের শরীরের জন্য। তাই কম হোক বেশী হোক দেশীয় ফলগুলো খাওয়ার অভ্যাস আমাদের সকলেরই করা উচিত।

আমার পছন্দের আরো একটি ফল হচ্ছে লটকন।কিছুদিন আগে ই লটকন ফলটি বের হয়েছে।চোখে পরলে এই ফল আমি কেনার চেষ্টা করি সব সময়।সব রকমের ফল খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।এই মধুমাসের যেকোনো ফল খাওয়া সবার জন্য দরকার।প্রতিটি ফলেই কোন না কোন ভিটামিন বিদ্যমান থাকে।

এই ফলটির নাম হলো ডেউয়া।আমি ভীষণ টক পছন্দ করি।তাই আমার আরো একটি পছন্দের ফল হচ্ছে ডেউয়া।অঞ্চলভেদে নামের পার্থক্য হলে ও স্বাদের দিক থেকে এটা কিন্তু অতুলনীয়।আমি এই ডেউয়া লবন,মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেতে খুবই পছন্দ করি।আমি মনে করি দেশীয় সব রকমের ফল খেতে পারলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।এতো এতো ফলের সময়হার যে মাসে তাকে তো মধুমাস বলা ই যায়।আমার মতো আপনারা ও কি সব রকমের ফল খেয়ে থাকেন।যদি না খেয়ে থাকেন তবে আমার এই পোস্ট পড়ার পর সব ধরনের ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করবেন।নিজে ও খাবেন পরিবারের সকল সদস্য কে খেতে উদ্বুদ্ধ করবেন।এই মধুমাসে সবার জন্য রইলো নানা রকমের ফলের শুভেচ্ছা।

আজ আর নয়।আশাকরি আবার ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন

শ্রেনি	জেনারেল রাইটিং
প্রয়োজনীয় ডিভাইস	Samsung A 20
ফটোগ্রাফার	@shimulakter
স্থান	ঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।