জেনারেল রাইটিং - “সর্দি -জ্বরে আক্রান্ত হলাম”
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমি খুব একটা ভালো নেই।আমি সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হলাম।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
সর্দি -জ্বরে আক্রান্ত হলাম
বন্ধুরা,বাংলাদেশেএখন চলছে বর্ষাকাল।আর এই সময় সারা দেশের মানুষ নানা রকম রোগে আক্রান্ত।এই সময় নানা রকমের জ্বরঘরে ঘরে লক্ষ্য করা যায় ।এর মধ্যে ডেঙ্গু ,চিকুনগুনিয়া ,টাইফয়েড অন্যতম।এছাড়া সর্দি,কাশি তো আছেই ।হাসপাতাল গুলোতে রোগীর অভাব নেই ।আমিও আজ দুইদিন যাবৎ সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হলাম ।মুখে কিছুই খেতে ভালো লাগছে না ।আম্মু আমার এখানে থাকায় কিছুটা শান্তিতে আছি।মায়ের মতো আপন কেউ নেই এটা একদম চির সত্য।অসুস্থ হলে এই মা ই মুখে খাবার তুলে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব একটা অসুস্থ আমি হই না ।তাই একটু সর্দি জ্বর হলেও কেমন যেন নেতিয়ে পরি।আম্মু বলে এটা নাকি আমি আমার বাবারটা পেয়েছি ।আমার বাবাও সামান্য জ্বর হলেও খুব বেশি নেতিয়ে যেতেন।যাই হোক ঘরের কাজের মানুষ টি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরে থাকলে ঘরের কি অবস্থা হয় তা অনেকেরই জানা।গতকাল শুক্রবার গেল,প্রতি শুক্রবারেই কিছু না কিছু রান্না করি সবার জন্য।ছুটির দিনে সবাই একটু স্পেশাল কিছু খেতে চায়।তাই ছুটির দিনগুলোতে আমিও নানা রকমের রান্না করে পরিবেশন করি।কিন্তু কাল অসুস্থ থাকায় গরমে রান্না করতে পারিনি।যেহেতু কাল রান্না করতে পারিনি তাই রাতে ছেলে বিরিয়ানি অর্ডার করে এনেছে ।
শরীর অসুস্থ হলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না ।আজ কিছুটা সুস্থ ।মোবাইল এখোনো ঠিক করে আনা হয়নি ।মোবাইল নাকি ফ্ল্যাশ করে ঠিক করতে হবে।ফ্ল্যাশ করলে মোবাইল নতুন মোবাইল হয়ে যাবে ।আগের কোন কিছুই থাকবে না সেখানে ।কী একটা ঝামেলায় পড়লাম।এজন্য ও ভালো লাগছে না ।মনটা ভীষণ খারাপ ।নিরিবিলি থাকা মানুষ আমি ।কিন্তু নিরিবিলি আর থাকা যায়না ।সব ঝামেলা যেন আমার জন্যই রেডি হয়ে থাকে ।একদিকে অসুস্থতা অন্যদিকে মোবাইলনষ্ট ।এসব কিছু মিলিয়েই মন ভাল নেই।কাজ প্রিয় মানুষের এত ঝামেলা সহ্য হয় না ।এতো কিছুর মাঝে ও আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি ।আমার আম্মু আমাকে বলে এই শরীরে লিখতে বসার কী দরকার ?সাতদিন রেস্ট নেয়া কি যায় না ।আমি আমার মা কে কী করে বোঝাই কাজ পাগল মানুষ রা বসে থাকতে পারে না ।তারা যখন উঠে বসতে পারে তখনই তাদের কাজ করার আগ্রহ ফিরে আসে ।কিছুই খেতে পারছি না ।পানি ত আরো বেশি বিস্বাদ লাগছে।তবুও আম্মু থাকাতে এটা ওটা রেডি করে এনে রাগ করে খাওয়াচ্ছে ।নয়তো না খেয়ে আরো দুর্বল হয়ে পরতাম।
নিজের কাজকে যারা ভালোবাসে তারা বসে থাকতে পারে না ।আমি আমার কাজকে ভালোবাসি ।নিজের কিছু অনুভূতি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি আমার চঞ্চলতাকে যেন ধরে রাখতে পারি ।জীবনকে যেন উপভোগ করতে পারি কাজের মধ্যে দিয়ে ।সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে চাই আপনাদের মাঝে নতুন নতুন ব্লগ নিয়ে ।সবার আন্তরিকতা ও দোয়া কামনা করছি ।
আজ আর নয়।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।আবার হাজির হয়ে যাব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে খুব গর্ববোধ হয় ।
আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে তাই অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে। অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে হলে সাবধানে থাকতে হবে। আপু আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
বর্ষার দিনে অসুস্থতা আর মায়ের স্নেহ—একসাথে মিশে গেছে আপনার লেখায়। আপনার কথাগুলো পড়ে মনটা কেমন যেন হালকা ভিজে গেল! শরীর খারাপ হলেও যেভাবে মায়ের আদরে একটু শান্তি খুঁজে পাচ্ছেন, সেটা সত্যিই অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। মায়েরা এমনই হয়—নিজের সবটুকু দিয়ে সন্তানের কষ্ট লাঘব করতে চায়। আপনার লেখায় শুধু অসুস্থতার বর্ণনা নয়, এক ধরনের আবেগ আর ভালোবাসার ছোঁয়া আছে, যা পাঠককে টেনে রাখে। মন খারাপ থাকলেও আপনি যেভাবে নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন, তা অনুপ্রেরণাদায়ক।