আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আমার একটি বিশেষ দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে। আশা করি, এই ছোট্ট গল্পটি আপনাদের মনে একটু প্রশান্তি এনে দেবে, যেমনটা দিনটি আমার জন্য এনেছিল।দীর্ঘ সেমিস্টার শেষে যখন অবশেষে ভার্সিটি যাওয়ার সময় এলো, মনে হলো এবার একটু মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সেই সুযোগেই আজ প্রথমবার ভার্সিটি যাচ্ছিলাম ছুটি কাটিয়ে। দিনটি ছিলো নবীন বরণের যেদিন নতুন শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে পা রাখে।সকালের আবহাওয়াটা ছিল সত্যিই মনমুগ্ধকর। ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস আর টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ মিলেমিশে এক অনবদ্য অনুভূতি তৈরি করছিল। ভার্সিটির বাসে চড়ে বহুদিন পরে রওনা হলাম, জানালার পাশের সিটে বসে বৃষ্টির ফোঁটা গুলোর নাচন দেখতে দেখতে যেন মনটা আরও হালকা হয়ে গেল।ভার্সিটিতে পৌঁছেই চোখে পড়ল অসাধারণ এক সাজসজ্জা। নবীনদের বরণ করতে পুরো ক্যাম্পাস যেন এক উৎসবের রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। চারপাশে ছিল আনন্দ-উল্লাস আর প্রাণের ছোঁয়া। নবাগতদের আগমনে পুরো পরিবেশটাই হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত ও গমগমে।

অনুষ্ঠানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পরে আমরা কয়েকজন বান্ধবী সিদ্ধান্ত নিলাম, ক্যাম্পাসের পিছনের যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমণে যাব। প্রকৃতির এমন স্নিগ্ধ আবহাওয়ায় নৌকা ভ্রমণ না করলে তো আসল আনন্দটাই মিস হয়ে যেত!

নৌকায় উঠতেই নতুন এক অনুভূতির জন্ম নিলো। নদীর জলের ঢেউ গুলো জোরে জোরে এসে নৌকায় ধাক্কা দিচ্ছিল তাতে আমাদের আনন্দ যেন আরও দ্বিগুণ হয়ে উঠেছিল। চারপাশে নীল আকাশ, আর সাদা মেঘগুলো তুলার মতো ভেসে বেড়াচ্ছিল। এক কথায় মনটা শান্তিতে ভরে গেল।নৌকা থেকে নামার পর আমরা চার বান্ধবী মিলে রাস্তার পাশের এক দোকানে ফুচকা খেলাম।

অনেক দিন পর এই খোলা আকাশের নিচে, প্রিয় বন্ধুদের সাথে এমন আড্ডা আর মজা সব মিলিয়ে মুহূর্তগুলো হয়ে উঠেছিল স্বপ্নের মতো।তারপর আবার ক্যাম্পাসে ফিরে এলাম, তখন নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায়। কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত চোখে-মুখে ভেসে উঠল। অনুষ্ঠান শেষে ভার্সিটির বাসেই আমরা আবার বাসার পথে রওনা দিলাম।এই দিনটি সত্যি আমার জন্য অনেক বিশেষ ছিল। দীর্ঘদিন পর বাইরে বের হয়ে, প্রকৃতির মাঝে সময় কাটিয়ে আর প্রিয় বান্ধবীদের সঙ্গে মধুর কিছু মুহূর্ত ভাগ করে মনটা একেবারে ভরে গেল। এমন দিন যেন জীবনে আরও বহুবার আসে এটাই এখন প্রার্থনা।এই রকম মুহূর্তগুলোই জীবনের আসল রঙ। পড়াশোনার ক্লান্তি, প্রতিদিনের একঘেয়েমি সব ভুলিয়ে দেয় এমন একটি দিন। আশা করি, আমার এই লেখা পড়ে আপনাদেরও কিছু ভালো লাগা, কিছু হাসির ঝিলিক তৈরি হবে।

এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি, অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	Redmi note 9
ক্যামেরা.মডেল	note9
অবস্থান	সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ।

আমার পরিচয়

আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼

👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemX}