"পাকা ডুমুর খাওয়ার অনুভূতি"

in আমার বাংলা ব্লগ28 days ago

নমস্কার

কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।যাইহোক আজ চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি অনুভূতি শেয়ার করতে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের লেখা অনুভূতিটি।তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----

পাকা ডুমুর খাওয়ার অনুভূতি:


GridArt_20250621_061525950.jpg

গ্রাম বাংলার অতি জনপ্রিয় ও পরিচিত একটি ফল হচ্ছে ডুমুর।এই ডুমুর আবার সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।তবে আমাদের এখানে দুই প্রকার ডুমুর পাওয়া যায়।যেটি দেশি ডুমুর আর একটি যজ্ঞ ডুমুর।দেশি ডুমুর প্রচুর পরিমাণে ধরে থাকে গাছে এবং এটি খাওয়ার উপযোগী।কিন্তু যজ্ঞ ডুমুরগুলি খুবই কম ধরে থাকে গাছে আর সাইজে বড় হয় কিন্তু পেকে গেলে ভিতরে খুবই পোকা ধরে যায়।ছোটবেলায় আমি অবশ্য যখনই এই বড় পাকা যজ্ঞ ডুমুর খেতাম তখনই ধোকা খেতাম। কারন ডুমুরের গায়ে যেই এক কামড় বসাতাম তখনই ভিতর থেকে বড় পোকা বেরিয়ে আসতো।

IMG_20250621_061349.jpg

দেশি ডুমুর খুবই উপকারী।তাছাড়া বিভিন্ন কাজে এই ডুমুর কাজে লাগে।আমার মাকে ছোটবেলা থেকেই দেখতাম ডুমুরটাকে সেদ্ধ করে জল ফেলে দিয়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করতে।মানুষের শরীরে ফোঁড়া উঠলে ডুমুর পুড়িয়ে খেলে অনেক উপকার দেয়।এছাড়া আমি ডুমুরের কাবাব ও ভর্তা রেসিপি করে ইতিমধ্যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে ফেলেছি।ডুমুর ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস। এটি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

IMG_20250621_061322.jpg

আমাদের বাড়িতে ছোট্ট একটি ডুমুর গাছে বেশ ভালোই ডুমুর ধরেছে।আমি সময় পেলেই সেখান থেকে ডুমুর নিয়ে রেসিপি তৈরি করে খাই।তেমনি পরশুদিন বিকালে ডুমুর গাছে হঠাৎ চোখ যেতেই দেখলাম একটি ডুমুর পেকে টইটুম্বুর হয়ে রয়েছে।আর পুরো হলুদ রঙের হয়ে গিয়েছে তাই ডুমুরটি পাড়লাম গাছ থেকে।হাতে নিয়েই দেখলাম ডুমুরের গায়ে বেশ চির চির ফাটল ধরেছে।আর মুখের দিকে ফেটে পাঁচটি ভাগ হয়ে গেছে।তো আমি ডুমুরটি ধুয়ে একটু খেতেই বুঝলাম খুবই মিষ্টি।তাই অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ার জন্য খেতে না পেরে আমার মাকে খেতে দিয়েছিলাম।

IMG_20250621_061242.jpg

মায়ের মুখ থেকে শুনলাম ছোটবেলায় মায়েরা এটা খুবই মজা করে খেতো।ডুমুর একটি মিষ্টি ও নরম ফল, যা কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়।যদিও বর্তমানে ডুমুর প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।আবার পাওয়া গেলেও অনেকেই আঠার কারনে এটি কাটার ঝামেলা আছে বলে খেতে চায় না।তবে এই পাকা ডুমুর খেতে যে খুবই মিষ্টি সেটা অনুভব করতে পারলাম।


আশা করি আমার আজকের অনুভূতিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 28 days ago 

বর্তমানে ডুমুর গাছ দেখতে পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে আমিও ছোটবেলায় অনেক ডুমুর খেয়েছি। রান্না করে খেতেও যেমন ভালো লাগে তেমন পাকা ডুমুর খেতেও বেশ ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

 28 days ago 

আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 28 days ago 

ছোটবেলা থেকে ডুমুর রান্না করে অনেকবার খাওয়া হয়েছে তাও আবার বাজার থেকে কিনে এনে। কিন্তু কখনো ডুমুর গাছ থেকে পেড়ে খাওয়া হয়নি বা এমন পাকা ডুমুর কখনো খাইনি। গ্রামের দিকে গেলে এমন ডুমুর গাছ অনেক দেখেছি কিন্তু আমাদের এলাকায় কোথাও দেখিনি তাই এমন পাকা ডুমুর খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে ডুমুর সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।

 27 days ago 

এইবার গ্রামে গেলে খেয়ে দেখবেন আপু,ধন্যবাদআপনাকে।