জেনারেল রাইটিং :- অন্যের জন্য বেঁচে থাকা জীবনই সার্থক জীবন।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষনীয় একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। আমার টপিক হচ্ছে অন্যের জন্য বেঁচে থাকা জীবনই সার্থক জীবন। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে অন্যের জন্য বেঁচে থাকতে চাই। এবং প্রিয় মানুষগুলোর জন্য বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করে। তারা সবাই মনে করে অন্যের জন্য বেঁচে থেকে জীবনে বড় স্বার্থক হবে জীবন। এই ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের সবার মায়ের ভূমিকা। কারণ মা শত কষ্ট করে হলেও ছেলে মেয়েদের জন্য নিজের জীবন দিয়ে উৎসর্গ করে। আর সকল মায়ে চেষ্টা করে নিজে ছেলের জীবন গড়তে। এবং নিজের জীবনের কষ্ট এনে হলেও ছেলেমেয়েদের জীবন গড়া চেষ্টা করে। এবং মায়ের একটাই কথায় থাকে আমি যত কষ্ট করি এক সময় আমার ছেলে-মেয়ে জীবনে ভালো কিছু করবে।
এবং তাদের ভালো কিছু দেখতে পারলে তাহলে আমার জীবন সার্থক হবে। এই ক্ষেত্রে মা তার নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে ছেলে মেয়ে সুখ চাই সব সময়। আবার অনেক সময় দেখা যায় নিজে না খেয়ে মা ছেলে মেয়ের মুখে খাবার তুলে দেয়। এইখানে মায়ের কষ্ট ভুলে মা ছেলে মেয়ের জন্য নিজের জীবনের সুখ দিয়ে দিলেন। আর মা সবসময় নিজের সুখ না চেয়ে ছেলের জন্য বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষক আছে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে শত শত ছাত্রের স্বপ্ন ঘরে দিন। কারণ শিক্ষকের একটাই স্বপ্ন তার সব ছাত্রগুলো যেন মানুষ হয়। এইখানে শিক্ষক চেষ্টা করেছে নিজের জীবনের সুখ বিসর্জন দিয়ে ছাত্রগুলোকে ঘড়ে তোলার। আর ছাত্রগুলো যদি ভালো জায়গা যেতে পারে তার জীবনে কষ্ট সার্থক হবে। এইখানে অন্যের জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়েছে শিক্ষক। আর এই শিক্ষকের জীবন হচ্ছে মহৎ জীবন।
অনেক সময় আবার দেখা যায় ডাক্তার দিনের পর দিন নিজের আরাম বিসর্জন দিয়ে অসুস্থ মানুষকে বাচায়। এবং চেষ্টা করে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে মানুষের সেবা করার। আর এইসব ডাক্তারগুলো কখনো নিজের সুন্দর জীবন আশা করেনা। তারা চেষ্টা করে মানুষের মঙ্গল করে ওইখানে নিজের জীবনে সুখ খুঁজে পায়। যদিও এখনকার ডাক্তার গুলো অনেকটা ভিন্ন রকম। কারণ তাদের প্রেক্ষাপট হচ্ছে টাকা ইনকাম করার। আগের ডাক্তার গুলো বলে মানুষের সেবা করতে বেশি পছন্দ করত। আর যে ডাক্তারগুলো মানুষের সেবা করত তাদের জীবন হচ্ছে মানবতার জীবন। তারা একজন রোগীকে বাঁচাতে পারলে তারা নিজের জীবন সার্থক মনে করে ডাক্তার। আর এই ডাক্তার গুলো রোগী এবং পরিবারের কাছে মহৎ থাকে।
অনেক সময় আমরা খেয়াল করলে উপলব্ধি করতে পারি। গাছ নিজের ফল ছায়া এবং কাঠ দেই মানুষের কাজে। অথচ গাছ নিজের জন্য কিছুই করে না। তবে গাছ চলাফেরা না করতে পারলেও মানুষের সেবা করে। কারণ গাছের সম্পূর্ণ অংশ এবং কাছের সবকিছু মানুষ নিজের কাজে ব্যবহার করে। আর এই কারণে অন্যের জন্য বেঁচে থাকা হচ্ছে গাছের কাজ। স্বার্থপর পৃথিবীতে একমাত্র কাজ নিজের জন্য না করে মানুষের জন্য বেঁচে থাকে। আর মানুষ গাছের ফল থেকে শুরু করে সবকিছু ভোগ করে। এইখানে অন্যের জন্য গাছ নিজে জীবন রাখে। আবার অনেক সময় দেখা যায় একজন রক্তদাতা রক্ত দিয়ে কাউকে নতুন জীবন দেয়। আর রক্তদাতা লোকগুলো আমাদের সমাজে অনেক দেখা যায়। তারা চেষ্টা করেন নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে।
আর এই লোকগুলো অন্যের জীবন বাঁচাতে পারলে নিজের জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাই। আর এখন কোন একজন লোক অসুস্থ হলে সাথে সাথে এদিক ওদিক যোগাযোগ করলে রক্তদানকারী লোক পাওয়া যায়। আর এখন বেশিরভাগ মানুষ চাই নিজের রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে। এইখানে রক্তদাতা লোক নিজের রক্ত দিয়ে অন্যজনকে বাঁচাতে পারলে নিজের জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাই। আর এই লোক গুলো মনে করে যদি কারো জীবন রক্ত দিয়ে বাঁচাতে পারে বা তার জীবন গড়াতে পারে তাহলে নিজের সুখ খুঁজে পাই। আর এরকম অনেক হাজারো উদাহরণ আছে অন্যের জন্য বেঁচে থাকে অনেক মানুষ। শুধু প্রিয় মানুষগুলো সুখে থাকলে তাদের সুখ। আশা করি আমার টপিক পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1958528108333826556?t=5ZH0E5h_81pHEWtqR53WnA&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1958528817561039181?t=jNkd_FDwAsJE9gf77e4yfQ&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1958529672251322416?t=SVnprtGaGBELTkYQIl7Z1g&s=19
অসাধারণ একটি ভাবনা! কিন্তু অন্যের জন্য বাঁচতে গিয়ে নিজের অস্তিত্বও যেন না হারিয়ে ফেলি, এই ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।এই চিন্তাধারাই একটি সুন্দর সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি হতে পারে। আমাদের সবাইকে যদি এমন ভাবনা প্রেরণা দেয়, পৃথিবীটা অনেক বেশি মানবিক হতো।