জেনারেল রাইটিং :- শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষনই একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব । আর আমার টফিক হচ্ছে শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। আমাদের মধ্যে কম বেশি সব মানুষের মধ্যে রাগ আছে। তবে কিছু মানুষ রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আবার কিছু মানুষ রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অনেক সময় কিছু মানুষের রাগ উঠলে তখন তাদের মাথায় কাজ করে না। ওই সময় কোন কাজ ভাল কোন কাজ খারাপ সেটাই তারা বুঝতে পারে না। আর যে মানুষ রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই মানুষ হচ্ছে ভালো। কারণ রাগ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ভালো দিক। এবং রাগের কারণে অনেক সময় অনেক মানুষ নিজের মূল্যবান জিনিসও হারিয়ে ফেলে।

অনেক সময় দেখা যায় কিছু মানুষ মানুষকে অপমান করে তারা মনে করে ভালো কিছু করেছে। তবে আমি বলব ওই সময় সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা অপমান না করে চুপ থাকাটাই উত্তম। কারণ যে মানুষ আপনাকে অপমান করেছে তাকে অপমান না করে চুপ থাকলে আপনার মান সম্মান বাড়বে। আর মাথা গরম করে অপমানের জবাব দিতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ বিপদে পড়ে। তাই আমি মনে করি সময় মত কাজের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। আর নিজেকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে রাগ উঠলে। তাহলে আপনি নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবেন এবং মান সম্মান বাড়াতে পারবেন। তাই মানুষকে পাল্টা জবাব না দিয়ে কাজের মাধ্যমে জবাব দেওয়াটা উত্তম।

আবার অনেকে মনে করে রাগের মুহূর্তে চুপ থাকাটা দুর্বল। আসলে তা একদম নয় রাগের মধ্যে চুপ থাকাটা দুর্বল নয়। বরং সেটা সবচেয়ে বড় শক্তির পরিচয়। অনেক সময় দেখার যাই দুই বন্ধু কথা বলতে বলতে এক বন্ধু রাগান্বিত ভাবে খারাপ ব্যবহার করে। ওই সময় অন্য বন্ধু রাগ না দেখিয়ে চুপ থাকা দরকার। আর যখন রাগ কমে যাবে তখন বন্ধুকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বললে বন্ধুত্ব থাকবে। এবং বন্ধুর কাছে নিজের মান সম্মানও বাড়বে। কারণ রাগের সময় নিজেকে কন্ট্রোল করাই হচ্ছে বড় গুণ। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষ রাগের সময় চুপ থাকা দরকার। এতে করে নিজের ক্ষতি এবং অন্যের ক্ষতি থেকে বাঁচে।

আবার রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই হচ্ছে প্রকৃতির সাহসিকতা। কারণ সাহসিকতা এই কারণে বললাম রাগের সময় নিজেকে কন্ট্রোল রেখে কথা বলা হচ্ছে সাহসিকতা। অনেক সময় দেখা যায় অফিসের বস কাজের জন্য বকাঝকা করে। তখন সুখ থেকে কাজ করে বসকে সুন্দর ভাবে বললে। তাহলে বসের কাছে আপনার মান-সম্মান বাড়বে এবং আপনার গুণও বাড়বে। হঠাৎ করে বসের গরমের কথার কারণে আপনি যদি চাকরিটা ছেড়ে দেন তাহলে আপনার লস হবে। মাথা ঠান্ডা করে কাজের মাধ্যমে বসকে আপনার গুণ বুঝাতে হবে। কারণ রাগ অভিমান দিয়ে কখনো কোন কিছু সমাধান করা যায় না।

অনেক সময় অনেক মানুষ দেখা যায় রাগ সুরাই উঠে তখন যেটা সেটা বলে ফেলে। এতে করে নিজেরও ক্ষতি হয় সম্পর্ক নষ্ট হয়। আর ওই সময় চুপ থেকে যখন কাজের মাধ্যমে বা পরে মুখের ব্যবহার দিয়ে বোঝানো হয় তখন নিজের সম্মান বাড়বে। এত করে আপনি ওই লোকের কাছে ভাল সাজতে পারবেন। আর রাগের মাথা আপনি যদি রাগান্বিত হয়ে ওই লোকের ক্ষতি করেন তাহলে আপনারাও ক্ষতি হবে। কারণ রাগ মানুষকে হিংস্র করে তুলে। আর রাগের কারণে মানুষ মানুষকে পর্যন্ত হত্যা করে। রাগ থাকা ভালো তবে অতিরিক্ত রাগ কখনো ভালো না। অনেক সময় পরিবারের উপর জিদ করে অনেকে রাগ করে আত্মহত্যা করে। এতে করে নিজের জীবন নষ্ট করে। তাই শক্তিশালী সেই যে রাগের মাথায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আশা করি আমার আজকের টপিক পরে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।