|| জেনারেল রাইটিং : আত্মসম্মান ||

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করব। প্রতি সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং পোস্ট করি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। " আত্মসম্মান " যেটা আমাদের প্রত্যেকের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টির উপরেই আজকে আলোচনা করব।চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।


1000071444.webp

সোর্স


" আত্মসম্মান " খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ প্রত্যেকের জীবনে। আমাদের প্রত্যেকেরই আত্মসম্মান বা আত্মমর্যাদাবোধ রয়েছে। নিজের প্রতি সম্মান বা মর্যাদাকেই আমরা আত্মসম্মান বা আত্মমর্যাদা বলে থাকি। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এটা থাকলেও, কারো কারো ক্ষেত্রে আত্মমর্যাদা বা আত্মসম্মান বোধ কম আবার কারো কারো ক্ষেত্রে সেটা বেশি। আবার অনেক সময় আত্মসম্মান বোধ বেশি থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি বা সময় বিষয়ে আমাদেরকে সেটা মেনে নিতে হয়। আবার কোনো কোনো জায়গায় সেটা কাজে না লাগানোই ভালো।

যেমন ধরুন, স্কুল বা কলেজে বা গৃহশিক্ষকের কাছে আর্তসম্মান বোধটা লুপ্ত করেই পড়াশোনা শিখতে যেতে হয়। আর এটা উচিতও সবার ক্ষেত্রে। কারণ শিক্ষকের ছাত্র তার সন্তান তুল্য। পড়াশোনায় ঘাটতি দেখা দিলে শিক্ষক তো বকা দেবেই, কিন্তু সেক্ষেত্রে গায়ে হাত না তোলাটাই ভালো। তাই বলে শিক্ষক বকা দিয়েছে জন্য সেখানে তো আত্মসম্মান বোধ দেখাতে গিয়ে তার মুখে মুখে কথা বলা কখনোই উচিত নয়। সাময়িক রাগ হলেও বুঝে নিতে হবে তিনি আমাদের ভালোর জন্যই কাজটা করেছেন,আমাদের ভুল হয়েছে বলেই তিনি এই সুযোগটা পেয়েছেন । তাই পরবর্তীতে একই ভুল না হওয়া থেকে আমাদের নিজেদেরকে শুধরে নিতে হবে।

আবার ধরুন, অফিস,আদালত বা যে কোনো কাজের জায়গায় আত্মসম্মান কিছুটা ত্যাগ করেই যাওয়া উচিত। কারণ জীবনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে টাকা পয়সা খুবই জরুরী। আর এই অর্থ উপার্জনের জন্য পরিশ্রম বা ছোট বড় কথা সবই মুখ বুজে সয়ে নিতে হবে। কারণ নিজস্ব ব্যবসা বা নিজস্ব কাজ ছাড়া সব জায়গাতেই ছোটখাটো বিভিন্ন ভুলের জন্য আপনাকে কথা শুনতেই হবে। কিন্তু সেগুলোকে নিজেদের ভুল বলেই ধরে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আত্মসম্মানকে দূরে রাখাই উচিত। কারণ সব জায়গায় আত্মসম্মান দেখাতে গেলে কাজটাই থাকবে না।

আবার কখনো কখনো প্রতিনিয়ত একই ধরনের অন্যায় বা অপমান সইতে সইতে মানুষ একদিন প্রতিবাদ করে। কম-বেশি হলেও প্রত্যেকটা মানুষেরই আত্মসম্মান বোধ রয়েছে। প্রতিদিন তো কেউ একে অন্যায় সহ্য করবে না, একই অপমান সহ্য করবে না, একদিন সে ঘুরে দাঁড়াবে। তবে এই অপমান বা অবহেলা এগুলো আমাদের প্রত্যেকের জীবনে প্রয়োজন। এগুলো আমাদের জীবনে উঁচুতে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করে। হ্যাঁ ঠিকই, সাময়িকভাবে আমরা ভীষণ ভেঙ্গে পড়ি, খারাপ লাগে। তা সত্ত্বেও মেনে নিতে হবে এর ফলেই আমরা একদিন উঁচুতে পৌঁছাব। তাই এর খারাপ দিকটা না দেখে, আমাদেরকে ভেবে নিতে হবে এই অপমান অবহেলা গুলো আমাদের উঁচুতে উঠতে সাহায্য করেছে।

পোস্ট বিবরণজেনারেল রাইটিং

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

ঠিক বলছেন আত্মসম্মান প্রতিটি মানুষের থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আত্মসম্মান দেখানো উচিত আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে লুকানো উচিত। তবে তাই বলে যে কেউ নেই অন্যায় করবে সেটা প্রতিনিয়ত সহ্য করব তা তো কখনো হতে পারে না। এক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরও কিছু আত্মসম্মান থাকে। যেখানে প্রতিবাদ করা দরকার সেখানে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। যেখানে আমাদের নিজেদের আত্মসম্মান নষ্ট হয়ে যাবে সেখানে অবশ্যই প্রতিবাদ করে নিজের আত্মসম্মান নিজেকে রক্ষা করতে হয়।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু, যেখানে প্রতিবাদ করা দরকার সেখানে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

প্রতিটি মানুষের আত্মসম্মানবোধ রয়েছে।তবে সবার কাছে এই বোধ কে তুলে ধরতে নেই। সেই বিষয়টিকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন দিদি লেখার মাধ্যমে। এটা সত্যি অপমান আর অবহেলার ও দরকার আছে আমাদের জীবনে।এ দুটো আমাদের উপরে উঠার পথ তৈরি করতে সাহায্য করে।আপনি খুব চমৎকার ভাবে গুছিয়ে লেখা গুলো শেয়ার করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমার আজকের লেখাটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।

 last year 

আপনার লেখাটি সত্যিই খুবই শিক্ষণীয় এবং গভীরভাবে চিন্তা উদ্রেককারী। "আত্মসম্মান" একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলে। আপনি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে বিভিন্ন স্থানে এবং পরিস্থিতিতে আত্মসম্মানের সাথে মানিয়ে চলা উচিত।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র এবং ব্যক্তিগত জীবনে আত্মসম্মানের ভূমিকা এবং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ খুবই বাস্তবসম্মত। জীবনযাত্রায় আমাদের সবারই এই মূল্যবোধটি বজায় রাখা জরুরি, তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কখন সেটিকে নমনীয় করতে হবে তাও জানতে হবে।

আপনার লেখাটি পড়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং আমি নিশ্চিত যে, অন্যান্য পাঠকরাও এতে প্রেরণা পাবেন। ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আশা করছি, আপনার পরবর্তী লেখাগুলিও এভাবেই আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে সমৃদ্ধ করবে।

[@redwanhossain]

 last year 

আমার লেখা পোস্টটি পড়ে আপনি কিছু শিখতে পেরেছেন জেনে অনেক খুশি হয়েছি ভাই। এত সুন্দর একটা মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপু প্রত্যেক মানুষ আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকে। আর আত্মসম্মান হচ্ছে মানুষের বড় একটি জীবনের অংশ। শিক্ষক আমাদেরকে পড়ালেখা করানোর জন্য এবং ভালো করানোর জন্য বকা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ছাত্র কখনো শিক্ষকদের উপর রাগ করা উচিত না। আর সবাই নিজের আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কেউ কাউকে ছোট না করলে ভালো হয়। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু,প্রত্যেক মানুষই আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আত্মসম্মান নিয়ে মানুষ সব সময় সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে চেষ্টা করে। আর মানুষের আত্ম-সম্মান হচ্ছে বড়। যখন মানুষ দ্বারে দ্বারে ঠগর খায় তখন মানুষ ঘুরে দাঁড়ায় আত্মসম্মান রক্ষা করার জন্য। যে মানুষের আত্মসম্মান কোন কারণে ক্ষতি হয়েছে। ওই মানুষটি এক ধরনের বিদ্রোহ এবং প্রতিবাদী হয়ে যায়। তাই আত্মসম্মান ছাড়া মানুষ পৃথিবীতে বাঁচতে কষ্ট হয়। অনেক মূল্যবান একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাই,প্রত্যেকটা মানুষই আসলে আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই এই পৃথিবীতে। পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো কিছু বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন দিদি। ঠিক বলেছেন কোথাও কাজ করে ভুল হলে যদি কথা শুনতে হয় তা নিজের ভুল মনে করেই আত্মসম্মানের কথা না ভেবেই মেনে নেয়া উচিত কারণ জীবনে বেঁচে থাকতে হলে টাকা-পয়সার অনেক দরকার। শিক্ষকরা আমাদের ভালোর জন্যই বকাঝকা কিংবা একটু হালকা গায়ে হাত তুলতেই পারে তাই বলে তাদের মুখে মুখে কথা বলাটাই একটি বেয়াদবি। খুব ভালো লাগলো কথাগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে সংস্কার কিছু বাস্তব কথা আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 last year 

আমার লেখা পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে সুন্দর পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে আমাদেরকে সব সময় আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা উচিত৷ এই আত্মসম্মান যদি না থাকে তাহলে কখনোই আমাদের উন্নতি সম্ভব নয়৷ আপনি একেবারে সঠিক কিছু কথা আপনার এই পোস্টের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷