শিকড়ের টানে ফেরা মানুষগুলো আবারো ভোগান্তির মুখে।।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
যে পিকচার গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আজকেই ক্যাপচার করেছিলাম। সকালের দিকেই গিয়েছিলাম একটু পার্সোনাল কাজে আশুলিয়ার বাইপাইল এ। ওভারব্রিজ দিয়ে যখন পার হচ্ছিলাম তখন ওভারব্রিজ থেকে ডানে এবং বামে দুদিকেই দেখতে পেলাম সারি সারি বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঠিক কিছুদিন আগেও এসেছিলাম এখানে। তখন কিন্তু মোটেও এরকম গাড়ির সারি ছিল না। সকল গাড়ি ছুটে চলেছিল তাদের নিজ গতিতে নিজ গন্তব্যের দিকে। তাহলে আজকে কেন এরকম জট পাকিয়ে গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে?
কেন এই গাড়িগুলো এভাবে দাঁড়িয়ে আছে এটা তো প্রশ্ন থাকতেই পারে। এরকমভাবে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ একটাই সেটা হচ্ছে সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তায় বেধেছে জ্যাম। যদিও বা মেইন ঢাকার দিকে এই ট্রাফিক জ্যাম নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তবে এরকম বাইপাস রাস্তাগুলোতেও এরকম জ্যাম বাধাটা বিরক্তির বিষয়। তবে কোন উপায় নেই। এখন থেকে প্রতিনিয়ত রাস্তার মধ্যে এরকম জ্যাম দেখা যাবে। কারণ গ্রামীন এলাকা ছেড়ে কিংবা নিজ এলাকা ছেড়ে যারা কাজের উদ্দেশ্যে শহরে পাড়ি জমিয়েছিল তারা প্রত্যেকেই ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার ফলেই এরকম জ্যাম প্রত্যেক রাস্তার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
প্রত্যেকেই চায় ঈদুল ফিতরের মধ্যে বাড়ি যাওয়া না হলেও ঈদুল আযহার সময় বাড়ি যেতে। পরিবারের সাথে সকলে মিলে ঈদ উদযাপন করতে এবং আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত কাটানোর জন্য প্রত্যেকেই ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার তাড়াহুড়া করে। ঠিক তেমনটাই দৃশ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে বর্তমান দূরপাল্লার বাসগুলোর টিকিট কাউন্টারে। যে কারণে রাস্তার মধ্যে বেধে যাচ্ছে হরহামেশাই জ্যাম জট। এখন থেকেই অনেক মানুষ বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিয়েছে।
আবার যখন গার্মেন্টস এবং বিভিন্ন ফ্যাক্টরি আর কোম্পানিগুলি বন্ধ দিবে তখন তো রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে যাবে। এতটা পরিমান জ্যামের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় যে ৬ ঘন্টার রাস্তা কখনো কখনো দুইদিন বা তিন দিনও লেগে যায়। এটার মূল কারণ হচ্ছে গার্মেন্টস বা অন্যান্য ফ্যাক্টরিগুলো যদি তাদের ছুটিগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কার্যকর করতো তাহলে হয়তো এরকম সমস্যার মধ্যে মানুষদের পড়তে হতো না। বছরে একবার প্রত্যেক মানুষ তার পরিবারের সাথে আনন্দ উপভোগ করার জন্য যায় কিন্তু এইবারেও পড়তে হবে প্রত্যেককেই কঠিন বিরক্তিকর পরিবেশের মধ্যে।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথ আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো কমেন্ট বক্সে দেখতে পাবো ।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/mdetshahidislam/status/1926971443914432788?t=lW7ObN5r_03wniryP7I6GQ&s=19