জেনারেল রাইটিং : পরচর্চা। শেষ পর্ব

সবাইকে শুভেচ্ছা।
পরচর্চা -গতকালের পর....

পরচর্চা কে পরনিন্দাও বলে। প্রচলিত একটি কথা আছে পরের নিন্দা করতে নেই। অনেকে মনে করেন,অন্যের নিন্দা করে ওকে পঁচিয়ে ফেলবো! অনেকটা প্রতিহিংসা থেকে এধরণের মনোভাব আসে। যেসব মানুষ হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন, তারাই বেশি পরচর্চা করে থাকেন। পরচর্চা নিন্দনীয় কাজ তারপরেও পরচর্চা করেন। অনেকেই আছেন, খুব ক্লজ ভাবে মিশে দূর্বল পতেন্ট গুলো জেনে নেয় এবং সুযোগ বুঝে কাজে লাগায়। অনেক সময় আতেঘাঁ লাগলে বা স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলেই পরচর্চায় মত্ত হয়ে উঠে। পরচর্চাকারীরা আসলে ধান্ধাবাজ -স্বার্থপর।

pexels-rdne-6936406.jpg

souce

ধর্মীয় দৃষ্টিতেও পরচর্চাকে ঘৃণা করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে পরচর্চা করা কে মহাপাপ হিসেবে দেখা হয়। পরচর্চাকে না করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পরচর্চা থেমে নেই। অনেকেই আছেন, পরিবারের আড্ডায় ছোট বাচ্চাদের সামনে অন্যের সমালোচনা করে কথা বলেন, কুৎসা রটান,হেয় করে থাকেন! তারা একদম ঠিক কাজ করেন না! একান্ত না পেরে নিজেদের মধ্য অন্যের সমালোচনা করতে চাইলে বাচ্চাদের সামিনে না করাই ভাল। বাচ্চারা তাতে খারাপ বার্তা পায়। অন্যের পরচর্চাকে তারা অপরাদ মনে করেন না! তারা ভাবেন বড়রা সমালোচনা করছেন,আমরা করলে সমস্যা কি!! আর্টিকেলের শুরুতেই বলেছি পরচর্চা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধির হাত থেকে নিজেকে ও অন্যকে বাঁচাতে হবে।

পরচর্চা একটি নেতিবাচক শব্দ। পরচর্চার আলাপ নেতিবাচক। খুঁজেও এর ভালো একটি দিক খুঁজে পাবেন না। ইতিবাচক কোন কিছু ভাইরাল হয় না নেতিবাচক বিষয় ভাইরাল হয় বেশি। তাই পরচর্চাকারী অন্যের যে কুৎসা রটায় তা উল্কার গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। পরচর্চার শিকার ব্যক্তি সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। তখন আসলে করার কিছুই থাকে না। সমাজে পরচর্চা না করতে হবে। এজন্য পরচর্চার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে হবে। নেতিবাচক নায় ইতিবাচক দিক হোক অন্যের আলোচনার বিষয়। ইতিবাচকতায় ভরে উঠুক আমাদের পরিবার,সমাজ ও দেশ।

ধন্যবাদ।

ঢাকা-বাংলাদেশ।