জেনারেল রাইটিং : নিজেকে নিয়ন্ত্রণ।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
যা ইচ্ছে তাই করাই কি স্বাধীনতা? অনেকেই বলেন, আমার বাঁধা নেই যা ইচ্ছে তাই করতে পারি! সেটি আসলে স্বাধীনতা না। অন্যের যাতে সমস্যা না হয় সেটি সবার আগে ভাবা দরকার। একজনের স্বাধীনতা অন্য জনের যেন বিড়ম্বনার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেটি আগে ভাবা দরকার। চাইলেই সিবকিছু করতে পারি এটি অনেকটা স্বেচ্ছাচারিতা। স্বেচ্ছাচারিতা আর স্বাধীনতার তফাৎ বুঝতে পারলেই যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে না। স্বাধীনতা বা স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে আমার আজকের আর্টিকেলের বিষয় নয়, আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের জন্য আমার আজকের আর্টিকেলের বিষয় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা।
মানুষ সব কিছু পারে। দীর্ঘ দিনের অভ্যেস বদলে ফেলতে পারে। এজন্য ত্যাগ শিকার করতে হয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ কাজ হয়। যার যেটি অভ্যেস সেটি থেকে বের হয়ে আসা খুব কঠিন। তবে বের হওয়া যায়। এই বের হওয়া কাজটি কঠিন। এবং যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তার বের হয়ে আসতে পারে। সামাজিক,পারিবারিক ও অন্যান্য কারণে কিছু বিষয় আছে যা দীর্ঘ দিনের অভ্যেসে পরিনত হয়। মাইন্ডে সেটাপ হয়ে যায়। অনেকটা সংস্কারে পরিনত হয়। মনে হয় এভাবেই চলবে এটাই নিয়ম। অনেকের প্রচন্ড রাগ। অল্পতেই রেগে যায়,কেউ আছে নিজে যেটা বুঝে সেটাই করে। অন্যের কথা শুনতে চায়না। নিজে যেটা ভালো মনে করে সেটাই ঠিক। অনেকটা একগুয়ে ধরনের। অনেকেই আছে মাত্রাহীন খাওয়া দাওয়া করে। অন্যদের খাবার থাকলো কিনা ভাবার সময় নেই। শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে।অনিয়ন্ত্রিত-অগোছাল। অনেকেই আছেন পরিবেশ -পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা না করে হুটহাট কাজ করে ফেলে বা কথা বলে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে।আগে পিছে না ভেবে খেয়াল খুশিমত কাজ করে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এধরণের মানুষের সং্খ্যা কম নয়। এদের নিয়ন্ত্রণ নেই নিজেদের উপর। এরা বেশিদূর যেতে পারে না।
সফল ও যোগ্য ব্যক্তিরা ব্যক্তিত্ববান। তারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে এতদূর এসেছে।যেমন ধরুন অতিরাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অধিনস্তকে কেউ গালাগালি করছে বা গায়ে হাত তুলছে। সে সফল ব্যক্তি না। শক্তিশালী ব্যক্তি না। এধরণের ব্যক্তি মানুষের শ্রদ্ধার না। সেটি হোক ঘরে বা বাইরে। শ্রদ্ধার ব্যক্তি গোছালো-সুশৃং্খল। যারা বড় মানুষ হয়ে তারা সবাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। গড্ডালিকায় গাঁ ভাসিয়ে দেয়নি। তারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেই যোগ্য প্রমাণ করেছে। শুরুতেই বলেছি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ কাজ নয়। নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার বিকল্প নেই! একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে আজকে শেষ করবো। যেমন ধরুণ ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি খাওয়া যাবেনা। ব্যায়াম খাওয়া দাওয়া সহ অনেক কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস কোনা ব্যাপার না। কিন্ত অনিয়ম ভাবে চললে অসুস্থতা পিছু ছাড়বেনা-একসময় মৃত্যু। এক্ষেত্রে যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে চলতে পারবে সে সফল হবে।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়মুত ব্যায়াম করুন, পুষ্টিকর খাবার খান,যোগব্যায়াম, মাঝে মাঝে গভীর শ্বাস নেওয়াতেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অপ্রয়োজনে যে কোন ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। সর্বোপরি নিজের উপর আস্থা রাখুন। একটি কথা খেয়াল রাখবেন, শক্তিশালী মানুষরাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেতে পারে।
ধব্যবাদ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।