জেনারেল রাইটিংঃচাঁদাবাজি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ৩০ শে জুলাই। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বর্ষাকালে শাক সবজির দাম বেড়ে যায়। এবার দাম তেমন বাড়েনি। সহনীয় পর্যায়ে আছে এখন পর্যন্ত। তবে কাঁচা মরিচের ঝাল মানুষ ভালোই টের পাচ্ছে। খুচরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ঢাকার বাজারে। অতি বৃষ্টি ও বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেশি বলে বিক্রেতা জানাচ্ছেন। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার চেষ্টা করি। সমসাময়িক ঘটনার উপর লিখে থাকি বেশির ভাগ জেনারেল রাইটিং। বর্তমান আমাদের দেশে গ্রাম থেকে শহর,চায়ের টেবিল থেকে ফুটপাত, রাজনীতির অন্দর মহল থেকে সামাজিক অনুষ্ঠানে আড্ডায় অন্যতম আলোচনার বিষয় চাঁদাবাজি। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমার আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয় চাঁদাবাজি।
চাঁদাবাজি ছিল আছে এবং থাকবে, গত কয়েকদিন আগে এক আড্ডায় বলেছিল এক রাজনীতিবিদ। তবে বর্তমানে যা হচ্ছে তা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ অতিষ্ট। বিশেষ করে ব্যাবসা বানিজ্যের সাথে যুক্তরা বেশি অতিষ্ট। গত এক বছরে লাগাম ছাড়া চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদাবাজির কম্পিটিশন চলছে। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলছে এই চাঁদাবাজির কাজ। চাঁদাবাজির শিকার বেশির ভাগ মানুষ ভয়ে মুখ খুলছে না। যা আমরা জানতে পারছি তা সামান্যই। তাতেই হইচই! তাহলে প্রকৃত অবস্থা কি তা সহজেই অনুমেয়। গত কয়েকদিন আগে একজন সজ্জ্বন পলিটিশিয়ান বলেছেন, আগে চাঁদা দিতে হত ১০০ টাকা এখন দতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। সরকার চাঁদাবাজি ঠেকাতে চেষ্টা করছে কিন্তু কাজের কাজ তেমন হচ্ছে না। চাঁদাবাজির কারণে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুনের মত নৃশংস ঘটনার খবর পাচ্ছি প্রতি নিয়ত।
কারা চাঁদাবাজি করছে আমরা তা জানি। পারিপার্শ্বিক বাস্তবতায় এই সমাজেরই মানুষ। আমাদের কারো আপনজন, নিকট আত্মীয়। তাদের খুটির জোর অনেক শক্ত। সেই খুঁটির খবরও মানুষ জানে কিন্তু মানুষ বড় অসহায়। সাধারণ মানুষ আসলেই সাধারণ। এদের যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন তারা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে, যা নিকট অতীতে আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু কষ্টের কথা হচ্ছে সাধারণ মানুষ ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেও কখনেই এর সুফল ভোগ করতে পারেনি সাধারণ মানুষ। যারা সুবিধা ভোগি তারাই সুবিধা ভোগ করে। শুধু মুখের পরিবর্তন হয়। অনেকেই বলেন প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। একটি ঘটনা ভাইরাল হলে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয় এবং বাজনৈতিক দল থেকে বহিস্কার করে। রাজনৈতিক দল গুলো বহিস্কার করে দায়িত্ব পালন করে গদ গদ কন্ঠে বলেন, আমাদের দলে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কোন ঠাঁই নেই! আলোচিত বা ভাইরাল না হলে রাজনৈতিক দল গুলো সাংগঠনিক কোন পদক্ষেপ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই।
শুরুতেই বলেছিলাম, শহর থেকে গ্রামে চাঁদাবাজি চলছে সমান তালে। চাঁদাবাজি করে কেউ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। আর চাঁদাবাজের শিকার ব্যক্তি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। অচিরেই যদি চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে সামাজিক যে ভারসাম্য থাকে তা নষ্ট হয়ে যাবে। আইনের শাসন তখন শুধু কাগজেই শোভা ভাবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করা খুব জরুরি। এজন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। শুধু আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর হলে হবে না সাথে রাজনৈতিক দল গুলোর অঙ্গীকার থাকতে হবে। নেতাদের কথায় নয় কাজে প্রমাণ দিতে হবে। "চাঁদাবাজদের কোন দল নেই" এই বক্তব্য নেতারা যেদিন অন্তর থেকে বিশ্বাস করে দিবে সেদিন থেকেই চাঁদাবাজ মুক্ত হবে দেশ ও সমাজ। আর হ্যাঁ চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা, প্রতিরোধ ও ইউনিটি খুব জরুরি। আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন-চাঁদাবাজ মুক্ত থাকুন। শুভ দুপুর।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://x.com/selina_akh/status/1950468005965811886
Link
https://x.com/selina_akh/status/1950468369955864932
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা তুলেছেন। সমাজে শান্তি ও উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি হচ্ছে চাঁদাবাজি। এই নিয়ে আরও সোচ্চার হওয়া দরকার।চাঁদাবাজি শুধু অপরাধই নয়, এটি সাধারণ মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। এমন সচেতন লেখার জন্য ধন্যবাদ।
দিন দিন এই চাঁদাবাজি বেড়েই চলেছে।