আপুদের সাথে নানির বাড়ি ভ্রমন।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
যাইহোক গত পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে বলেছিলাম যে আমার কাজের জায়গা থেকে খালার বাসা প্রায় ২ কিলোমিটার হবে। আর নানির বাসা তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরের মধ্যে হবে। তো গত পোস্টে আমি আরো বলেছিলাম যে খালার বাসায় আসার সময় রাতে গাড়ি না পেয়ে হাঁটতে ছিলাম তো মাঝখানে গাড়ি পেয়ে তারপর গাড়িতে খালার বাসায় গিয়েছিলাম। তো এবার আমার চিন্তা ছিল যে নানির বাসায় কিভাবে যাব কারণ রাতে তো গাড়িও পাওয়া যায় না তার ওপর আবার নানির বাসা আরো দুই এক কিলোমিটার বেশি দূরে।
কিন্তু সন্ধ্যা হতে না হতেই আমার মামাতো ভাই ফোন দিয়ে বলছে আমি কি গাড়ি নিয়ে আগাতে আসবে কিনা। আমি তখন ওকে বললাম হ্যাঁ অবশ্যই। যাক গাড়ির ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল তারপর নিশ্চিন্ত হলাম। যাইহোক এরপর নানীর বাসায় এসে সবার সাথে দেখা করে খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপর পোস্ট করার জন্য বসে গেলাম। যদিবা এটা যেহেতু গ্রাম তাই এখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। কিন্তু মামাদের বাড়িতে ওয়াইফাই থাকার কারণে নিশ্চিন্ত ছিলাম। কিন্তু ওয়াইফাই কানেক্ট করে যখন নেটওয়ার্ক দেখে আমি হতবাক কারণ নেটওয়ার্ক এত স্লো যে আর কি বলবো।
যাই হোক তারপরও অনেক কষ্টে পোস্টটা লিখে নিলাম এরপর দেখি মামাতো ভাইয়েরা ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তো এই বছরে এখনো ব্যাডমিন্টন খেলা হয়নি আর ওরা আমাকে ডাকলো খেলার জন্য। তো আমি গিয়ে বড় ভাই ও মামাদের কয়েকটি ম্যাচ খেলা দেখলাম। এরপর আমাকে খেলার জন্য অফার করল। তো আমি আর না করলাম না। মামাতো ভাইদের সাথে দুইটা ম্যাচ খেললাম। যেহেতু এই বছরে প্রথম খেললাম খেলা অতটা ভালো না পারলেও খেলতে বেশ ভালো লাগছিল। তবে ব্যাডমিন্টন খেলে শরীর বেশ ভালই ব্যথা হয়ে গেছে। যাই হোক সব মিলিয়ে নানীর বাড়িতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
বাড়ির পাশের খেলা আমি আজও ভিডিও বা ক্যামেরা ধারণ করতে পারলাম না। আর আপনি এসে ক্যামেরা ধারণ করে শেয়ার করে ফেলেছেন। যাই হোক আমিও চেষ্টা করব খেলার মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি করতে যেহেতু আমার বাড়ির সাথে খেলাটা হচ্ছে। আরো দিন দিন খেলার জমজমাট আয়োজন সৃষ্টি হবে।