অভ্যাস যখন বদ-অভ্যাসে পরিণত হয়!
12-03-2025
২৮ ফাল্গুন , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ রমজান, ১৪৪৬
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো ও সুস্থ্য থাকাই হলো মূল বিষয়। রমজান আসলে সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর টায়ার্ড হয়ে যায়। তবে রহমতের এ মাসে আমাদের উচিত যথাযথভাবে ইবাদত পালন করা। তো আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি মানুষ হলো অভ্যাসের দাস! অর্থাৎ আমরা যখন কোনো একটা কাজ প্রতিদিন করি তখন সেটা একটা সময় শেষে অভ্যাসে পরিণত হয়। তবে কোনো একটা অভ্যাস গড়ে তোলা কিন্তু খুবই কঠিন কাজ। আবার সে অভ্যাস ত্যাগ করাও কিন্তু কঠিন।
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যাদের রাত জাগার অভ্যাস হয়েছে। রাত জেগে জেগে কাজ করছে অথবা পড়াশোনা করছে। কিন্তু রাত জাগার যে অভ্যাসটা সেটা কিন্তু একদিনে তৈরি হয় না। আপনি রাত জাগতে জাগতে একটা সময় দেখবেন রাত জাগার অভ্যাস পরিণত হয়ে গেছে! তো সেটা যে আমাদের জন্য ভালো এমন কিন্তু না। কারণ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত আছে যে, রাত জাগলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর আমাদের ইসলাম ধর্মেও বলা আছে রাত না জাগার জন্য। এবং সকাল সকাল উঠার জন্য বলে হয়েছে।
আমি নিজেও একটা সময় রাত জাগতাম! যখন এডমিশনে ছিলাম তখন বলতে গেলে সারা রাতই পড়াশোনা করা হতো। আর সারাদিন ঘুমের মধ্যে যেত। তবে সমস্যা হলো ব্রেইন ততটা ইফেক্টিভাবে কাজ করতো না। কোচিং এ দুপুরের দিকে ক্লাস হলে তখন ক্লাস তো পুরাই মাথার উপর দিয়ে যেত। তবে অভ্যাসটা আসলে আমার একদিনে তৈরি হয়নি। সেই পলিটেকনিক এ থাকা অবস্থায় রাত জাগার অভ্যাস ছিল। আর সেটা এডমিশনে এসেও প্রভাব পরেছিল ভীষণ। কোচিং এর পরীক্ষাগুলা যখন দিতাম তখন আশানুরূপ আসলে ফল পেতাম না। তারপর থেকে আসলে সিদ্ধান্ত নেয় যে রাত জাগার অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করা প্রয়োজন।
কিন্তু ঐ যে বললাম মানুষ হলো অভ্যাসের দাস! সেটা কি আর একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব! তারপর থেকে দিনের বেলা কম ঘুমানোর চেষ্টা করতাম এবং রাতে সজাগ কম থাকা হতো। তবে এমন অনেক মানুষ আছে যারা রাত জেগে পড়াশোনা করতে আনন্দবোধ করে। এবং তারা পরীক্ষায় আউটপুটও ভালো দিতে পারে। তবে তাদের মাঝে একটা সমস্যা দেখা যায়,সেটা হচ্ছে তাড়াহুড়ো করা কোনো কাজ নিয়ে! যেটা আমি বলবো খারাপ দিক। তবে আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলি তাহলে রাত জাগার অভ্যাস যাদের আছে তাদের পরিবর্তন করা দরকার। যারা যেখবেন রাত জাগে বেশি তারা ডিপ্রেশন এ ভুগে বেশি! আরও কত আজেবাজে চিন্তা মাথায় চলে আসে।
বর্তমানে আমার একটা অভ্যাস হয়েছে সেটা হচ্ছে টেবলেট না খেলে ঘুমাতে পারি না। আমার মাথা ব্যথার প্রবলেম থাকার কারণে ডাক্তার কিছু ঘুমের টেবলেট দিয়েছিল যাতে যথাযথ ঘুম হয়। সে টেবলেট খাওয়ার পর এখন ভালোই ঘুম হয়। তবে ডাক্তার বলছিল দুইমাস ঘুমের টেবলেটটা খেতে হবে। কিন্তু টেবলেটটা হয়ে যাওয়ায় কিনেনি! তারপর দেখি ঘুমেই ধরে না রাতে! রেগুলার এক মাসের উপরে টেবলেটটা খাচ্ছি। যার কারণে অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এটা বলা যেতে পারে বদঅভ্যাস! কারণ টেবলেট খেয়ে ঘুমের অভ্যাসটা খুবই খারাপ। তবে আমি বিশ্বাস করি সেটাও সম্ভব যদি নিয়মমাফিক চলাফেরা করি।
এজন্য আমি বলবো কোনো একটা বদঅভ্যাসকে অভ্যাসে পরিণত করবেন। আপনি যদি চেইন স্মুকার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পক্ষে কঠিন ধূমপান ত্যাগ করা। এজন্য বদঅভ্যাস তৈরি হওয়ার আগে একশো বার ভাবা দরকার। এর ফলটা কি হতে পারে!
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share
Puss tweet
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
please complete your $PUSS promotion.
done!
সবকিছু ত্যাগ করা গেলেও অভ্যাস টা যেন ত্যাগ করা যায় না কোনভাবেই। এবং একপর্যায়ে গিয়ে সেটা আমাদের বদঅভ্যাসে পরিণত হয়। রাত জেগে খেলা দেখা বা রাত জেগে থাকার অভ্যাস আমার রয়েছে। সেজন্য আমি জানি ব্যাপার টা আসলে ঠিক কেমন। বেশ দারুণ লিখেছেন আপনি।।
রাত জাগার অভ্যাস আসলেই খারাপ।