হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা পোস্টের টাইটেল দেখে।একটু আগে ডিস্কোর্ড সার্ভারে গিয়ে দাদার এনাউন্সমেন্ট দেখতে পেলাম আজকে ফ্রেন্ডশিপ ডে।বন্ধুত্ব শব্দটির সাথে আমরা সবাই খুব ভালোভাবেই পরিচিত।এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবেনা হয়তো যে তার জীবনে কখনো কোনো বন্ধু হয়নি।অনেক সময় রক্তের সম্পর্ককেও হার মানায় এর বন্ধুত্বের সম্পর্ক।যেকোনো প্রেম, ভালোবাসার সম্পর্কে ফাটল ধরলেও বন্ধুত্বে খুব একটা ফাটল ধরতে দেখা যায়না।আজকের এই বিশেষ দিনে আমি আমার এক বিশেষ বন্ধুকে নিয়ে আপনাদের সাথে লিখতে চলেছি।
আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম অনেকগুলো স্কুলে আমার পড়া হয়েছে আব্বুর বিভিন্ন স্থানে কাজের সুত্রে।তাই বন্ধু সংখ্যা অনেক হয়েছিল বলা যায়।একদম কেজি,প্রাইমারি ,হাই স্কুল লেভেল এর সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক ছিল।তো সবাই আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিয়ে এড হয়েছিল।আর সবার সাথেই মোটামুটি কথাবার্তা হতো।শুধু বিশেষ এই বান্ধবী আমাকে খুঁজে হয়তোবা পাইনি আগে ।তো আমি যে ওকে রিকুয়েস্ট পাঠাবো সেই অবস্থাও ছিলনা।ওর নামটা কমন তাই ছবি দেওয়া না থাকলে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না বলা যায়।ওর নামে যে কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালেই ভাবতাম ওই হয়তো।আর খুব করে চাইতাম কবে ওর সাথে কথা বলতে পারব।তো এক বছর আগে ও আমাকে রিকুয়েস্ট পাঠায় ফেসবুক এ তারপর কথা হয় আমাদের।
আমাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণী থেকে।আপনাদের একটি পোস্টে বলেছিলাম আমার চতুর্থ শ্রেণীতে দুই বছর পড়তে হয়েছিল পারিবারিক সমস্যার কারণে।তো কেজি স্কুলে প্রথম বছর সেইভাবে কোনো পড়া হয়নি আমার যেজন্য কারো সাথেই বন্ধুত্ব হয়েছিল না।ওর সাথে আমার চতুর্থ শ্রেনি থেকেই পরিচয়।তবে বন্ধুত্ব হয় পঞ্চম শ্রেণীতে ওঠার পর।কারণ ও পঞ্চম শ্রেণীতে এক বছর গ্যাপ দেয় বৃত্তির জন্য।আমাদের বন্ধুত্বে সব কিছুই পারফেক্ট ছিল শুধু এখানে ভিলেন ছিল ওর আম্মু। তিনি চাইতেন তার মেয়ে ভালো করবে আমার চেয়ে। আসলে মেধা এবং পড়ার উপরেই একজন শিক্ষার্থীর ভালো করাটা নির্ভর করে।এজন্য দুজনের সিট ও একইসাথে করে।যখন মডেল টেস্ট পরীক্ষা গুলো হতো দেখা যেত আমার খাতা দেখে লিখে ও আমার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে যেত এই বিষয়টা অবাক লাগতো যেখানে আমার খাতা দেখে লিখে তার নম্বর বেশি।।ওই স্কুলে আমি প্রথম ছিলাম আর ও দ্বিতীয়।
এই নম্বরের কথা বাসায় বলার পর সমাপনী পরীক্ষার সিট আমার থেকে ওকে আলাদা করে দেয় আব্বু হেড স্যারের মাধ্যমে।আপনারা জানেন হয়তো ক্লাসে পরাপর রোল যাদের তাদের সিট এভাবেই পড়ার কথা।তবে আমাদের ভিন্নভাবে পড়ে দ্বিতীয় মডেল টেস্ট থেকে।আর ফাইনালে ও এক রুমে আমি অন্য রুমে।আর এতে করে শেষ দুইবার আমার রেজাল্ট ভালো হয়।আমি বৃত্তি পেয়ে যায় কিন্তু ও বাদ যায়।আসলে বিষয়টা এমন হতো যে ও আমার খাতা দেখে লিখে আবার আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতনা।আর যখন খাতাগুলো স্কুলে যেত হেড স্যার বিষয়গুলো আমাকে কেন জানায় নি জিজ্ঞেস করতেন ।যেহেতু আপডেট নিয়ম ওর খাতায় থাকতো আমার জানা ছিলনা সেই নিয়ম।সেই সময় পঞ্চম শ্রেণীতে প্রচুর নিয়ম কানুন ছিল যেগুলো কেজির শিক্ষার্থীরা জানত না।তারপর স্যার বিষয়টা লক্ষ্য করলেন এবং দুজনের সিট আলাদা করে দিলেন।আর আমি ভালো করায় স্যার অনেক খুশি হন ।তিনি আমার সবচেয়ে প্রিয় স্যার গুলোর মধ্যে একজন ছিলেন।
মূলত এখান থেকেই আমাদের সম্পর্ক ভেঙে যায় রেজাল্ট ওর থেকে আমার ভালো হওয়ায়। দুই পরিবারের মধ্যে মিল বন্ধন ও ভেঙে যায়।তবে আমাদের দুজনের মধ্যে ঠিকই কথা হতো ।আমরা বাসায় গিয়ে কেউ কারো সাথে কথা বলতাম না বাইরে বলতাম।বন্ধুত্বের কথা বললে সে সবদিক দিয়েই পারফেক্ট ছিল।পুরো একটা বছর একজন আরেকজন ছাড়া কিছুই বুঝতাম না।তারপর হাই স্কুলে যাওয়ার পর আমার দ্বিতীয় বেস্ট ফ্রেন্ড হয় সে ফাহিমা তার গল্প তো শেয়ার করেছি সেখানে কোনো স্বার্থ ছিলনা। যার যার যোগ্যতার ভিত্তিতে সে সে ভালো করেছিল।আমার জীবনে প্রথম,দ্বিতীয় দুইটা বন্ধুই বেস্ট ছিল।তবে দ্বিতীয় টা সেরা ছিল।গল্পটি শর্ট করেই শেষ করলাম।কারণ বন্ধুত্বের হাজার হাজার স্মৃতি গুলো একটি পোস্টে শেষ করা কখনোই সম্ভব নয়।একটি কথা শেষে বলব যে,স্বার্থ ছাড়া বন্ধুত্ব গুলোই সেরা হয় সবসময়।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 4th,Auguest,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আপনার প্রথমের বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক নষ্ট কারণ সে আপনার সাথে স্বার্থের জন্য বন্ধুত্ব করেছিল।সে আপনার দেখে লিখতো আর আপনার ভুল গুলো কখনও ধরিয়ে দিত না।আর হাই স্কুলের যে বন্ধুত্ব হয়েছিল সে স্বার্থ ছাড়াই আপনার সাথে বন্ধুত্ব করেছিল।আর তাকে আপনি আবার খুঁজে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে বন্ধুত্বের বন্ধনের মধ্যে কোন স্বার্থ থাকে না বন্ধুত্ব মানে স্বার্থ ভালোবাসা। জীবনে এমন বন্ধু থাকা একান্ত প্রয়োজন রয়েছে। আমার জীবনে এমন দুইটা বন্ধু রয়েছে একটা আমার গ্রামে আরেকটা মুজিবনগর থানায়। যাই হোক আপনি ফ্রেন্ডশিপ ডে উপলক্ষে বেশ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনাদের বিস্তারিত বিষয়। পোস্ট করার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ মিললো।