||বড় মেয়ে আদিলার জন্মদিনে-লান্স বীচ ক্যাফেতে ||পর্ব-১
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলেই ভাল আছেন?
আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি ডিসেম্বর মাসে।বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ,শীতের আমেজ, ঢাকায় ঘুরতে যাব সব মিলিয়ে বেশ আনন্দের মধ্যে আছি।আমি আজ প্রতিদিনের ন্যায় নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে আমি সরাসরি মূল কথায় চলে আসি।কিছুদিন আগে শেয়ার করেছিলাম আমি আমার বড় মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলে কিছু মিষ্টি পরিবেশন করেছিলাম।আমি প্রতিবছর যেহেতু বাসায় আয়োজন করি কিন্তু এই বছর সে জামেলাটা করা হয়নি।কিন্তু বার্থডে কেক বাইরে যেয়ে কাটার সিদ্ধান্ত নিলাম এবার।
সেই পরিকল্পনা করে চলে গেলাম বীচ লান্স ক্যাফে নামের একটি রেস্টুরেন্টে।আসলে এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না।মেয়ের বাবা বললেন আজ একটি নতুন রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবে।তাই যাচ্ছিলাম এবং আমি জিজ্ঞেস করলাম এটা কোন দিকে?তারপর আমার সাহেব বললেন একটু ভিতরে।উনাদের যেহেতু অফিসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে/প্রোগ্রামে এ ধরনের রেষ্টুরেন্ট গুলো বুকিং করা হয় তাই জানা শোনা আছে।সুগন্ধা বীচ রোড দিয়ে একটু ভিতরে যেয়ে একদম বীচের পাশ দিয়ে এই বীচ লান্স ক্যাফে অবস্থিত।
যেহেতু রাতে বেলায় গিয়েছিলাম তাই রেস্টুরেন্টের রাতের দৃশ্য টা বেশ ভালো লাগে।যাওয়ার পরেই দেখি বিশাল এরিয়ার মধ্যে রেস্টুরেন্টে করা হয়েছে।খোলামেলা পরিবেশ বলতে গেলে একদম গ্রামের দৃশ্যের মত।বাচ্চাদের জন্য বেশ খোলামেলা পরিবেশ।খেলাধুলা করার জন্য অনেক সুন্দর ব্যবস্থা আছে।ছোট ছোট কুটির গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো রাতের বেলায়।এমন সুন্দর ভাবে বিভিন্ন লাইটিং দিয়ে সাজানো ছিল দৃষ্টি কাড়ানোর মত ছিল।আমরা যেহেতু গিয়েছিলাম আমাদের মেইন উদ্দেশ্য ছিল বার্থডে কেক সেখানেই যেয়ে কাটবো।তাই সরাসরি কেক কাটানো টা দেখতে কেমন জানি খারাপ দেখাচ্ছিল।
আমরা পরিবারের সবাই এবং আমাদের সাথে আমার মেয়েদের বাবার এক অফিস কলিগ শিমুল ভাইয়ের পরিবার ছিল।কেক কাটার পরে সবাই যেহেতু নাস্তা করব সেই জন্যই সবার পছন্দ মত নাস্তার অর্ডার দিয়ে দেওয়া হয়।নাস্তা যেহেতু রেডি হতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে তাই এরিয়া টা আমি ভাল করে দেখছিলাম এবং কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছি সেই সাথে।মেয়েরা এত আনন্দের সাথে খেলা করছিল সত্যি পরিবেশ টা বেশ মজার ছিল।
একদম জামেলা মুক্ত একটি জায়গা।খুব সুন্দর এবং শান্ত ছিল পুরো পরিবেশ।তো বন্ধুরা আজ তাহলে এখানে শেষ করি পরবর্তীতে বাকি বিষয়ে আপনাদের সাথে পরে শেয়ার করে নিব।আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভাল লেগেছে।
🌺আজকের মত আমার ব্লগ লেখা এখানে শেষ করছি।সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে 🌺।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
স্থান-কক্সবাজার শিল্প বাণিজ্য মেলা | লোকেশন |

আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
লান্স বীচ ক্যাফেতে গিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করা দারুণ হয়েছে আপু। মাঝে মাঝে ভিন্ন কিছু করলে ভালই লাগে। আপনার মেয়ের জন্মদিনে কাটানো মুহূর্তগুলো নিশ্চয়ই অনেক ভালো কেটেছে। আর লান্স বীচ ক্যাফে জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর। সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করা এবং লাইটিং করা। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। বাসায় আয়োজন করার থেকে এভাবে কোথাও গিয়ে সময় কাটালে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
লান্স বীচ ক্যাফের পরিবেশটা আপু দারুন ছিল এবং অনেক মজার সময় কাটিয়েছিলাম আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিবছর আপনার বড় মেয়ের জন্মদিন আপনারা বাড়িতেই করে থাকেন কিন্তু এবার বড় মেয়ের জন্মদিন টা কোন একটা রেস্টুরেন্টে পালন করবেন বলে ভেবেছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার কাছে এই রেস্টুরেন্টটা খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য খুবই সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে খেলাধুলা করার জন্য। পরিবারের সকলকে নিয়ে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার মেয়ের প্রতি, দোয়া করি আপনার মেয়ে অনেক বড় হোক।
হ্যাঁ ভাইয়া প্রতিবছর বাসায় ব্যবস্থা করি কিন্তু এবারে ঝামেলা করি নাই।একটু বাইরে আয়োজন করেছিলাম হালকা করে।বাইরের পরিবেশটা ও দারুন ছিল অনেক আনন্দ করেছি।
ভাগ্নী কে লেট জন্মদিন এর শুভেচ্ছা।ওর ভবিষ্যত অনেক সুন্দর হোক।লাউঞ্জ ক্যাফে রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশ অনেক সুন্দর।ভাইয়া আপনাদের ভাল জায়গাতেই নিয়ে গেছেন ঘুরতে।সময় দারুন সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া, আপনার ভাই আসলেই খুব সুন্দর একটি জায়গায় নিয়ে গেছিলেন ভাল সময় কাটিয়েছি আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার বড় মেয়েকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা। মাঝে মাঝে অন্যরকম কিছু করলে বেশ ভাল লাগে। আপনারা আপনাদের মেয়ের জন্মদিন পালন করার জন্য রেস্টুরেন্টে গেছেন তা বেশ ভাল। এতে শিশুরা বেশ আনন্দ পায়। আপনার ছবি দেখে তা বোঝা যাছে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
আপনি ঠিক বুঝতে পেরেছেন আপু খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি আমরা।তাছাড়া বাচ্চারাও অনেক আনন্দ করেছিলেন এমন সুন্দর খোলামেলা পরিবেশে।
আমরা আসলে যা দেখে আসি, সেটাই মাথায় আটকে যায়। তার বাইরে কিছু হয় তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করি না। প্রথম থেকেই জানতাম লাউঞ্চ মানেই হবে ছাদের উপর একটা টেরেস থাকবে। সেই ফাঁকা টেরেস থেকে পুরো শহর দেখা যাবে।কিন্তু আপনার এই পোস্ট আমার ধারণাটাকে পাল্টে দিল।বিচার পাশ দিয়েও এরকম একটা সুন্দর লাউঞ্চ থাকতে পারে ভাবাই যায় না।অ্যারেঞ্জমেন্টাও তো বেশ ভালো। অনেকের বসার জায়গা আছে।আশা করি আপনাদের সময়ও খুব ভালো কেটেছে আর খাবার দাবারও খুব ভালো ছিল।
আপনি ঠিক বলছেন একদম বীচের পাশ দিয়ে অবস্থিত ছিল বীচ লান্স ক্যাফে রেস্টুরেন্ট।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার সাহেব খুব সুন্দর একটি হোটেল চয়েজ করেছে। বীচ লান্স ক্যাফে হোটেলটি সত্যিই অনেক সুন্দর। চার দিকে খোলামেলা লাইটিং করে সাজিয়েছে। আমার কাছেও অনেক ভাল লেগেছে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু।
আমার সাহেবের পছন্দ আছে বটে,আমি উনার পছন্দ করাকে বেশ মূল্যায়ন কারি।তাহার পছন্দ গুলো আমার বেশ ভাল লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে আশা করি খুব কম সময়ের মধ্যে পরবর্তী পর্ব শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
আপনার মেয়ের জন্য জন্মদিনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু। প্রতি বছর আপনি আপনার মেয়ের জন্মদিন বাসায় করেন এবার বাইরে করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। আপনার মেয়ে নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে জন্মদিনের এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনেক খুশি হয়েছিল যেহেতু এবার বাইরে আয়োজন করেছিলাম তাই আপনাকে ধন্যবাদ।
বীচ লান্স ক্যাফেতে আপনার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান খুব দারুন ভাবে সেলিব্রেট করলেন আপু।প্রতিবারের মতো এবার বাসায় আর ঝামেলা করেননি স্কুলে মিষ্টি দিয়েছিলেন।রাতের রেস্টুরেন্ট দেখতে অনেক ভালো লাগে।দুই পরিবারের সবাই একসাথে কেক কেটে নাস্তা করেছেন অনেক মজা করেছেন সবাই।পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্তের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ প্রথমে স্কুলে মিষ্টি বিতরণ করেছিলাম এবং বাইরে ও সামান্য আয়োজন করেছিলাম।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনি আপনার বড়মেয়ের জন্ম দিন লান্স বীচ ক্যাফেতে করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য এবং আপনার মেয়ের জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য ও অনেক শুভকামনা রইল।