অসহ্য গরমে শরীর ভেঙে পড়ছে, পুড়ছে গোটা উত্তরবঙ্গ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো “অসহ্য গরমে শরীর ভেঙে পড়ছে, পুড়ছে গোটা উত্তরবঙ্গ”।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

উত্তরবঙ্গের আকাশ আজ যেন আগুন ঝরাচ্ছে। সকাল থেকেই সূর্য রাগী মুখে তাকিয়ে আছে, আর তার রোদের তাপে পুড়ছে মাটি, পুড়ছে মানুষের বুক। দিনাজপুর, রংপুর, বালুরঘাট, ইত্যাদি যেদিকেই তাকাই, কেবল হাঁসফাঁস, ক্লান্তি। মানুষ পথে বেরোচ্ছে বাধ্য হয়ে, কিন্তু তাদের মুখের মধ্যে লুকানো এক ধরনের অসহায়তা।আকাশ যেন আজ নিঃশ্বাস ফেলতে ভুলে গেছে। সকাল থেকে রোদ পুড়ছে মাথার উপর, মাটি ফুটছে পায়ের নিচে, আর বাতাসের মধ্যে তাপের হাহাকার।

আবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট এই গরমের যন্ত্রণা আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। কখনও এক ঘণ্টা, কখনও দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, আর সেই ফাঁকে যেন বাতাসও থমকে দাঁড়ায়। ফ্যান, কুলার, এসি সবই ব্যর্থ হয়ে যায় যখন বিদ্যুৎ থাকে না। রাতের বেলায় তো ঘুমই হারাম । জানালা খুললেও গরম বাতাস, বন্ধ করলে ঘর একেবারে ওভেনের মতো। ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত সবার মুখে ক্লান্তির রেখা, মাথাব্যথা, অতিরিক্ত ঘামের অস্বস্তি আর বিরক্তি।

এই গরমে আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি । মাথাব্যথা, জ্বর, শরীরে ভীষণ দুর্বলতা। ঘরে ফ্যান চালিয়ে, ঠাণ্ডা পানি খেয়েও স্বস্তি মেলে না, আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে তো অবস্থা আরও দুর্বিষহ। রাতে ঘুম হয় না, দিনের বেলা কাজ করতে ইচ্ছে করে না, মনে হয় কেবল শুয়ে থাকি। শরীরের পাশাপাশি মনও যেন ধীরে ধীরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, বারবার মনে হয় এই যন্ত্রণা আর কতদিন চলবে?গরমের প্রকোপে শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ মানুষদের কষ্ট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক, মাথাঘোরা, অতিরিক্ত ঘামের সমস্যায় ভুগছে। বাজারে তরমুজ, শসা, নারকেল পানির চাহিদা আকাশছোঁয়া, কারণ এ সময় শরীর ঠাণ্ডা রাখাই সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রাখা জিনিস নষ্ট হচ্ছে, পানি তোলা যাচ্ছে না, মানুষ একেবারে অসহায় অবস্থায় পড়ছে।

Source

এই অবস্থায় সবার প্রতি আমার অনুরোধ, দয়া করে নিজের প্রতি খেয়াল রাখুন। আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে বুঝেছি, সামান্য অবহেলা কিভাবে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। বেশি করে পানি খান, সুতির হালকা কাপড় পরুন, দুপুরে রোদে বাইরে না বেরোন, আর বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের দিকে বিশেষ নজর দিন। আপনি একা নন । আপনার আশপাশের মানুষ, আপনার পরিবার, আপনার পাড়া, সবাই এই যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।

অনলাইন থেকে জানতে পারলাম , আবহাওয়া এই রকম বেশ কয়েক দিন থাকবে । তাই আমাদের উচিত ধৈর্য ধরে চলা, নিজেকে আর চারপাশের মানুষকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখা। হিটস্ট্রোক বা ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসা নেওয়া।আমি চাই, এই ব্লগের মাধ্যমে সবাই সতর্ক হোক, সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়াক। শুধু নিজের নয়, চারপাশের সবার প্রতি দায়িত্ব নিয়ে এই কঠিন সময় পার করতে হবে আমাদের। আশা করি খুব শিগগিরই মেঘের ছায়া নামবে, আর উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ শীতল হয়ে যাবে।সবাই ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।