সাহায্য ছড়াক সুস্থতা।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলের ভালোই লাগবে।

কিছুদিন ধরে আপনাদের সাথে কোনো জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে না। তাই আমি ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক। আর আমার জেনারেল রাইটিং পোস্টের বিষয় হয় আমার সাধারণ চিন্তা ভাবনা গুলো।

অর্থাৎ আমি প্রতিনিয়ত যে ছোটখাটো বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করে থাকি। আমি সবসময় পছন্দ করি সেসব বিষয়গুলোই আপনাদের সকলের সামনে যেনো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে পারি এবং সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের মতামত গ্রহণ করতে পারি।

কারণ একটা বিষয় নিয়ে আমি যেভাবে ভাবছি। অপরজন সেভাবে নাও ভাবতে পারে। এবং এমন নয় যে একজনের ভাবনাটি সঠিক বলে। অন্যজনের ভাবনাটি ভুল হতে পারে। দুইটি ভাবনায় সঠিক এবং একটি ভাবনা অন্যটি থেকে আরও বেশি ভালো ও হতে পারে। সে কারণেই এমনটা ভাবা।

যাইহোক, আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো তা হলো মানুষকে সাহায্য করা ভালো কিন্তু সে সাহায্য টা অবশ্যই বুঝেশুনে করা উচিত।

অর্থাৎ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালকের একটি ব্যাপার শেয়ার করি। তাহলে হয়তো আপনার আরো বিস্তারিত বুঝতে পারবেন।

গতকাল আমি রাস্তায় আমার একটা ফ্রেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম। কারণ আমরা দুইজন একসাথে যাবো এই জন্য। কিন্তু হঠাৎ করেই একটা ছোট ছেলে অনেকক্ষণ ধরে আমাকে বিরক্ত করা শুরু করলো। সে ছেলেটা পেপার বিক্রি করছিলো। আর বারবার বলছিলো।তাকে যেনো ৫ টাকা দেই কারণ সে তখনও দুপুরে খাইনি। আমি নিজেও সেদিন না খেয়ে বের হয়েছিলাম। সে যাই হোক আমি যদিও তার দিকে বিশেষ একটা মনোযোগ দিচ্ছিলাম না। কারণ এ ধরনের ছেলেপেলেরা টাকা নিয়ে কি করে তা তো আর নতুন কিছুই নয়।

কিন্তু দেখলাম ছেলেটা বেশ অনেকক্ষন ধরেই বিরক্ত করছে। তো আমি বললাম যে ক্ষুদা লাগলে সে যেনো ভাত খায়।তো সে বললো ঠিক আছে। তো আমি বললাম আসো আমি টাকা দিবো না, কিন্তু তুমি ভাত খেলে সেটার টাকা আমি দিতে পারি। দেখলাম সে বেশ ভালো রকম এই বিষয়টি মেনে নিলো। তো আমি বললাম ভাতের দোকান কোথায়। তো আশেপাশে আসলে কোনো ভাতের দোকানে ছিলো না। পরে একটি বিরিয়ানির দোকান দেখিয়ে দিলো।

তারপরে আমি সে বিরিয়ানির দোকানটিতে গিয়ে তাকে একটি বিরিয়ানি কিনে দিলাম। অর্থাৎ সে তার পছন্দ অনুযায়ী নিলো। আমি জাস্ট পেমেন্টটা করে দিলাম।

আসলে এটা একেবারেই ক্ষুদ্র একটা ব্যাপার। আর আপনাদের সকলকে জানানোর একটাই উদ্দেশ্য তা হলো।মাঝেমধ্যেই রাস্তাঘাটে এ ধরনের বাচ্চা কাচ্চা বা ছোটরা টাকা খুঁজে, খাবার খাবে বলে।আসলে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তারা সে টাকাটা নিয়ে হয় বড় কাউকে দেয় অর্থাৎ তারা যাদের আন্ডারে থাকে। কিংবা সে টাকাগুলো নিয়ে কোনো নেশাগ্রস্ত জিনিসই কিনে। সে কারণেই এই বাচ্চাগুলো টাকা খুঁজলে অবশ্যই তাদেরকে কোনো একটা খাবার কিনে দিবেন। আমার দিক থেকে মনে হয় এটা একটি ভালো ডিসিশন।

এতে করে বাচ্চাগুলো টাকা পেয়ে নষ্ট হবে না। সে সাথে তাদের ক্ষুধার্ত থাকতে হবে না। কারণ আমরা এক বেলা ক্ষুধার্ত থাকলে বুঝতে পারি যে ক্ষুধাটা কতোটা কষ্টের। আর এই মানুষগুলো দিনের পর দিন আধ পেট খেয়ে থেকে যায়।

আসলে মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের যেমন মনুষত্ববোধ থাকা উচিত। তেমন কিছু বুদ্ধি বিবেচনাও থাকা উচিত। কারণ আমরা কাউকে বা কারো জন্য কিছু করলে তা যেনো অপাত্রে।দান না হয় সে দিকটাও আমাদের বিবেচনা করা উচিত সব সময়। এটা অন্তত আমার মতামত। আপনাদের মতামত কি তা জানার ইচ্ছে পোষণ করছি।