Better Life With Steem || The Diary game || 19/9/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সাথে আবার অনেক দিন পর দেখা হলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন,,আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। বিগত কয়েক মাস পর আবারো এই প্লাটফর্মে জয়েন্ট হলাম। এই কয়েক মাসে কি হয়েছে না হয়েছে তার কিছু না বলি। এখন বর্তমানে সময় গুলো কিভাবে কাটছে, কিভাবে চলছে, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। 'চলুন এবার আজকের ডায়েরি গেম শুরু করি।।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। সাহেবকে আর ঘুম থেকে উঠায়নি, রাত তিনটার সময় ঘুমিয়েছে। আজ শুক্রবার লেট করে কাজে যাবে তাই বলছি ঘুমাক। তবে আমি আর বসে থাকিনি, প্রতিদিনের মতন নিচে যাই। আর যাওয়ার কারণ হলো হাঁটা হয়ে যায় এদিকে আর আমার প্রতিদিনের কাঁচা বাজার নিয়ে আসি।
তবে আজ শুক্রবার ছিল মেয়েকে নিয়ে মাদ্রাসায় যেতে হয়নি। তারপর আমার যেতে হয়েছে কিছু কাঁচা বাজার নিয়ে আসতে। রাস্তায় দুই মিনিট হাটার পর বাজার সেখান থেকে আমার প্রয়োজন কিছু নিয়ে আসি তারপর বাসায় আসি আটটার সময়।
বাসায় ঢুকে হাতের ব্যাগটা রেখে ফ্যানটা ছেড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নেওয়ার পর রান্না ঘরে চলে যাই।। সবার জন্য সকালের নাস্তা বানাতে। আমার নাস্তা বানানো হয়ে গেলে সাহেবকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দি'এবং সে হাতমুখ ধুয়ে ছেলেকে নিয়ে সকালের নাস্তা খেতে লাগলো।
সকালের নাস্তা খাওয়ার পর্ব শেষ করে তারপর আমি চলে যাই। আবার রান্না ঘরে দুপুরের জন্য রান্না বান্না আয়োজন করতে। তবে আজকে রান্নাটা করতে বেশ লেট হয়েছে। রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না বসিয়ে দি, এদিকে বারোটার দিকে আযান দিয়ে দিল আজকে শুক্রবার তাই।
আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলে বলছে আম্মু গোসল করব আব্বুর সাথে মসজিদে যাব। তারপর ছেলেকে বলি তোমার বাবার সাথে গোসল করে আসো। সে জেদ ধরলো বাবার সাথে গোসল করবে না আমি গোসল করিয়ে দিব তারপর গোসল করবে।
তাই আর কি করবো? রান্নার চুলা অফ করে ছেলেকে আগে গোসল করিয়ে দি। জামা প্যান্ট পরিয়ে দিয়ে মসজিদে যাওয়ার জন্য রওনা, করে দি তারপর ওর বাবার সঙ্গে চলে যায়।
তখনো আমার রান্না শেষ হয়নি চুলার ওপারে মাংস ভেজে রেখেছি। ওরা মসজিদে যাওয়ার পর তারপর রান্না গুলো শেষ করি। তরকারি রান্না হয়ে গেলে তারপর ভাতটা বসিয়ে দি এরপর সমস্ত রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে এবং মুছে আমি গোসল করতে চলে যাই।
গোসল করে এসে দেখি বাপ ছেলে তারা এসে গেছে তারপর আমি জোহরের নামাজটা পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠে দেখি ভাত হয়ে গেল। এরপর আমি ভাতটার মা'র গেলে কিছুক্ষণ পর সবাইকে খেতে দিলাম।
একেক করে আমরা সবাই আস্তে আস্তে দুপুরে খাবার খেয়েছি তখন বাজে তিনটা। রান্না এবং খাওয়ায় যদি দেরি হয় তাহলে আমার ভীষণ বিরক্ত লাগে। এটা সবার বেলায় কি রকম জানিনা কিন্তু আমার ভীষণ গা জ্বালা লাগে। এইতো দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সবাই যার যার মতন বিশ্রাম নিলাম।
![]() |
---|
সাহেব দুপুরে খাবার-দাবার খেয়ে একটু ঘুমিয়ে পরল তারপর আবার বিকেল পাঁচটার দিকে বেরিয়ে পরল। আমি উঠে গেলাম আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি তারপর ছেলে বলছে আম্মু ক্ষুধা লাগছে কিছু খাব আমি কিছুটা তরমুজ কেটে দিলাম। সে সেখান থেকে এক পিস খেয়ে আর খেলো না।
বিকেলের মুহূর্ত পার করলাম তারপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো এবং মাগরিবের আজানও দিল ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। আমার নামাজ শেষ হতে না হতেই ছেড়ে বলছে আম্মু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাব তাই নিজের মতন করে কয়েকটা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভেজে দিলাম। সে খেতে লাগলো আর আমি এদিকে পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। ভাবছি পোস্ট লেখাটা শেষ করে তারপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পরিয়ে এশার নামাজ পড়ে নিব।
thank you