Better Life With Steem || The Diary game || 20/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে আমার ডাইরি গেম নিয়ে এসে বললাম। চলুন আজকের দিনের মুহূর্ত গুলো কিভাবে কাটালাম সেগুলো আপনাদের কাছে শেয়ার করি।
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আজকে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা লেট হয়ে গেল তাও নিজে থেকে উঠতে পারিনি। সকাল ৯ঃ০০ টার সময় আঙ্কেল আমাদের বাসায় আসলো এবং দরজা নক করল এতেই ঘুম থেকে উঠে পড়ি।
আঙ্কেলকে বসতে দিলাম, সেই বসলো এরপর আমি হাতমুখ ধুয়ে আঙ্কেলকে জিজ্ঞেস করলাম সকালের নাস্তা বাসা থেকে খেয়ে আসছে কিনা। না বলল, তারপর আমি আমাদের সবার জন্য সকালে নাস্তা বানালাম।
আঙ্কেল আসলে সাহেবের কাছে কিসের একটা কাজের জন্য, আসছে। আর এসে বলল তাদের বাসা আজকে আমাদের সবার দাওয়াত। এরপর কিছুক্ষণ পরে আঙ্কেল চলে গেল, সাহেবও সকালের নাস্তা করে বেরিয়ে পরল।
যেহেতু আজকে দুপুরে কোন রান্নাবান্নার কাজ নেই , তাই বাপ ছেলের কিছু জামা কাপড় ধুয়ে নিলাম। ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে পানি দিয়ে মুছে নিলাম। বাসার কিছু খুঁটিনাটি কাজ করে সমস্ত কিছু গুছিয়ে রেখে তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসলে চলে যায়।
গোসল করে আসলাম আর নামাজের সময় হয়ে গেল তাই নামাজটা পড়ে নিলাম। এরপরে মা ছেলে মেয়ে সবাই ভাইয়াদের বাসায় যাওয়া রহনা দিলাম।
![]() |
---|
ভাইয়াদের বাসার রাস্তার পাশে কি সুন্দর সুন্দর মরিচা ফুলের গাছ দেখতে খুব ভালো লাগছিল। তাই কয়েকটা ছবি তুলে ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এরপর তাদের বাসায় গেলাম বোরকা খুলে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নি।
তবে আজকে দাওয়াতটা বড় ধরনের তেমন একটা স্পেশাল না। ওই নিজেরা নিজেদের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া এটাই,দুপুরের খাবারের ছিল বিরিয়ানি, জর্দা, আর পায়েশ, সবাই একসাথে টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করলাম।
![]() |
---|
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে যার যার মতন সবাই বিশ্রামে বসে পড়ি। এরপর সবাই একসাথে বসে কিছুক্ষণ গল্পস্বল্প করে আবার ৫ টার ভিতরে বাসায় এসে পড়ি এসে পাঁচ মিনিটের মত বিশ্রাম নিলাম। কারণ, ছয় তালা সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে দম ফিরাতে পারছি না। তারপরে আসরের নামাজ পড়ি। আসরের নামাজ পরে ফোনটা হাতে নিয়ে ফ্যানের নিচে শুয়ে পড়ি।
আর ভাবতে ভাবতে বলি সময় নষ্ট না করে আজকের পোস্টটা লিখে ফেলি কারণ, আমাকে আবার রান্নার কাজে যেতে হবে। দুপুর বেলা তো দাওয়াত খেলাম রাতের বেলা তো নিজের বাসায় খেতে হবে। ভাবছি এক বেলা খাবারের জন্য ডাল, আর ডিম ভুনা, করে নেব। তারপর যেই ভাবনা সেই কাজে লেগে পড়ি ।
মাঝে মাঝে এমন দাওয়াত পেলে মন্দ না ।এতে প্রতিদিন এর রুটিন থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।এই গরম এর ভেতর রান্নাঘরে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই অস্থির লাগে।
খাবারগুলো দেখতে খুব লভনীয় লাগছে।