Better Life With Steem || The Diary game || 22/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে আমার ডাইরি গেম নিয়ে এসে বললাম। চলুন দেরি না করে আজকের দিনের কাটানো মুহূর্তগুলো আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি।
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আজকের সকালে ঘুমটা খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার তাড়াতাড়ি কারণ হলো হাসির শব্দ পেয়ে।
প্রতিদিন সকালে রাস্তায় সবাই এক্সারসাইজ করতে বের হয়। আর হ্যাঁ প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য, খুবই ভালো এবং মন মানসিকতা ভালো থাকে। ব্যায়াম করার পর সবাই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হা হা করে অনেকগুলো হাসি দেয়। আর হাসির শব্দগুলোকে এত জোরে হয় যে,গভীর ঘুমের মানুষও তাদের হাসির শব্দ পেয়ে উঠে যায়।
আমি তো জানি না এই যারা ব্যায়াম করে কিসের জন্য প্রতিদিন সকালে এতো জোরে জোরে হাসি দেয়। তারপর সাহেব কে জিজ্ঞেস করি সে বলল,, জোরে জোরে হাসি দাওয়া এটাও নাকি একটা ব্যায়াম। সকালের জোরে জোরে হাসি দাওয়া নাকি মনের দিক থেকে শান্তি পাওয়া যায় এবং শরীরের জন্য খুবই ভালো। তাই এরকম কথা শুনে আমিও মুচকি হেসে দিয়েছি আমি এই কথাটা প্রথম শুনলাম হয়তোবা অনেকে যানে আমি আজকে শুনলাম।
![]() |
---|
যাই হোক,, এরপর ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে মেয়েকে মাদ্রাসায় নিয়ে যাই। মেয়েকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে তারপর আমি টুকিটাকি বাজার কিনে নিলাম। যেহেতু প্রতিদিনই বাহিরের বের হতে হয় । তার জন্য প্রতিদিনের বাজার এবং প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস কিছু না কিছু এনে থাকি।
দশটা সিঁড়ি বেয়ে খুব কষ্ট করে বাসায় আসি। এরপর ১০-১৫ মিনিটের মত বিশ্রাম নেই তারপর চলে যাই রান্না করে সকালের জন্য নাস্তা বানাতে।নাস্তা বানানো হয়ে গেলে ছেলেকে খাইয়ে দি, আর এদিকে সাহেব সে এখনো ঘুমাচ্ছে।
ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে তারপর আমি খেলাম, খেয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলাম তখন সকাল সাড়ে দশটা বাজে। আমি রান্না করার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সবকিছু গুছিয়ে নি, তারপর আস্তে আস্তে করে রান্নাটা বসিয়ে দি।
রান্না প্রায় শেষের দিকেই তখন তখন বারোটা বাজে এবং সাহেবও ঘুম থেকে উঠে যায়। ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে গোসল করে বসলো এরপর আমি তাকে সকালে নাস্তা খেতে দিলাম। সাহেব খেয়ে বেরিয়ে পড়ল আর এদিকে আমার বাকি রান্না করেও শেষ হয়ে গেল।
এরপর ছেলেকে গা গোসল করে দিয়ে এবং আমার নিজের গোসলটাও সেরে নি।ছেলেকে জামা কাপড় পরিয়ে দিয়ে অন্য রুমে রেখে তারপর আমি জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। আমার নামাজ পড়া হয়ে গেলে মা ছেলে মিলে দুপুরে খাবার খেলাম।
![]() |
---|
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে চেয়েছিলাম পারিনি,, ছেলেকে ঘুম পাড়াতে চাইছিলাম ঘুমানি এবং ওর দুষ্টুমিতে আমি আর ঘুমাতে পারিনি। এরপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধা এলো মাগরিবের নামাজ পড়ে বসলাম। ছেলে বলে আম্মু আমাকে সকালে নাস্তা টা আবার খেতে দাও,, তাই আবার ডিম টোস্ট বানিয়ে ছেলেকে সন্ধ্যার নাস্তা দিলাম।
ছেলের খাওয়া হয়ে গেলে তারপর কিছুক্ষণ পড়তে বসলাম। পড়ানো শেষ করে আমি এশার নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া করে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি।।