Better Life With Steem || The Diary game || 27/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন।তবে আজ আমি মোটেও ভালো নেই, শরীরের দিক দিয়েও ভালো নেই, আর মন মানসিকতা দিয়েও ভালো নেই । সন্তান অসুস্থ থাকলে মা কোনভাবেই ভালো থাকতে পারে না। সারা দিনে কাজকর্ম করে সন্তানের হাসি মুখখানা দেখলে কষ্টগুলো ভুলে থাকা যায়। আবার নতুন ভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে।
কাল রাত তিনটার সময় ছেলের শরীরে প্রচুর জ্বর এসেছে, এবং হঠাৎ করে ওর শরীরের উপর আমার হাত পড়ে দেখেই শীতে খুব কাঁপছে। তারপর কম্বল দিয়ে শরীর ঢেকে দিলাম তারপর আমার কোলের ভিতর টেনে নি। বাকি রাতটুকু আমার ছেলে খুব কষ্ট করে ঘুমিয়েছে জ্বরে খুব কাতরাচ্ছে।
এইতো আস্তে আস্তে করে সকালে হল হাতমুখ ধুয়ে নিচে নেমে গেলাম ছেলের জন্য ওষুধ আনতে তখনও সাহেব এবং মেয়ে তারা ঘুমোচ্ছে। এরপর সাহেব আমার হাতে ওষুধ দেখে বলছে কি হয়েছে কার জন্য ওষুধ এনেছো ছেলের কথা বললাম। তারপর অমনি ছেলেকে জড়িয়ে ধরল ।
![]() |
---|
এদিকে আমার বাবা ঢাকায় আসছে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে। সাহেব আমাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না তাই বাবাকে বললাম সে এসে আমাদেরকে নিয়ে যাবে। তার ভিতরে আবার ছেলে অসুস্থ।
সত্যি বলছি আজকে আমার মনটা ভীষণ খারাপ লাগছে। নিজের শরীর খারাপ থাকলেও মানিয়ে নিতে পারি কিন্তু আমার ছেলের এরকম কিছু হলে আমি একটু ভালো থাকতে পারিনা। প্রতিটা মায়ের এরকম অবস্থা হয় সন্তানের কিছু হলে।
তারপর সকাল বেলার নুডুলস রান্না করলাম সবার জন্য, ছেলেকে কয়েক চামচ খাইয়ে দিলাম খাওয়ার পরে বমি করে দিল। এরপর কি করবো ওষুধ তো খাওয়াতে হবে তারপর দুই চামচ ওষুধ খাইয়ে দিলাম। আর শুধু শুধু বলছে আমার খুব ক্লান্ত লাগছে বিশ্রাম নিও এতটুকু ছেলে এত বড় কথা বলছে। তাহলে বোঝেন ওর শরীরে দিক দিয়ে কতটা খারাপ লাগছে।
ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে ওর বাবার কাছে রেখে তারপর আমি রান্না করতে গেলাম। কি থেকে কি রান্না করবো কিছুই ভালো লাগছে, না আর কিছুই মনে থাকছে না। কোনরকম করে আস্তে আস্তে রান্না গুলো শেষ করি আর বারবার ছেলের কাছে এসে ওকে দেখে যাই।
আমার রান্না বান্না শেষ হওয়ার পর আগের ছেলেকে মাথায় পানি দিয়ে আমি গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি । নামাজ পড়ে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি কয়েক লোকমা ভাত খাইয়ে দিলাম তাও খুব জোর করে তারপর ওষুধ খাইয়ে দি। ছেলেকে দুপুরে ওষুধটা খাইয়ে দেওয়ার পরে সামান্য কিছু জ্বর কমেছে এবং মনটা ওর ফুরফুরা লাগছে তাই কিছুক্ষণ খেলাধুলা করল।
এরপর আমিও দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপর আসরের আযান দিলো নামাজ পড়ে আবার ছেলেকে নিয়ে বসে থাকি।
নামাজ পড়ে উঠলাম আর দেখি পাশের বাসার একটা ছেলে আমার ছেলের সঙ্গে খেলা করতে এসেছে তারপর ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ খেললো। এরপরই সন্ধ্যা হল মাগরিবের আযান দিলো ছেলেকে আমার পাশে বসিয়ে রেখে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে নিয়েছি।
নামাজ পড়া শেষে ছেলেকে বললাম বাবা তুমি এখন কি খাবে বলো। ছেলে বলে আমি নুডুলস খাব রান্না করে দাও। তারপর ছেলেকে রুমে বসিয়ে রেখে আমি রান্না ঘরে গিয়ে ওর জন্য নুডলস রান্না করে নিয়ে আসি। আর এসে দেখি ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি ওর ঘুমের ভিতরে ডাক দিলাম আর বলছি বাবা তুমি খাবে না। বলছে পরে খাবো আমি আগে একটু ঘুমিয়ে নি।
তারপর ওর গায়ে কম্বলটা ভিচিয়ে দি আর কপালে হাত দিয়ে দেখি প্রচুর জ্বর এসেছে তারপর জ্বরটা মেপে দেখি ১০৩ জ্বর উঠেছে। তখন আমার মনটা আরো ভেঙ্গে পড়েছে এতটুকু ছেলে ১০৩ জ্বর উঠেছে কিভাবে সহ্য করছে ও । আমার পোস্টটা আপনারা যেই পড়েন না কেন, আমার ছেলের জন্য একটু বেশি বেশি দোয়া করবেন যাতে খুব শীঘ্রই অসুস্থতা কমে যায়।