বাবার তৈরি দক্ষিণা কালীর মূর্তি
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি একটু অন্যরকম পোস্ট। গতকাল বাবার স্টুডিওতে অনেকদিন পরে গিয়েছিলাম।
আসলে এদিকে শোরুমের ব্যস্ততার চাপে ওদিকে বাবার স্টুডিওতে যাওয়া হয় না ।আর বাবার ক্ষেত্রেও তাই হয় ।বাবা স্টুডিও নিয়ে এত ব্যস্ত থাকে, বাবা আমাদের শোরুমের দিকে আসতে পারেনা ।শোরুমের গোটা ব্যবসাটাই আমাকে একা হাতে দেখতে হয় ।সাথে স্টাফ থাকলেও পুরো দায়িত্ব গুলো আমার ওপর থাকে। আর আমার মনে হয় ব্যবসা খুবই প্রেসারের জিনিস।
বেশ কিছুদিন ধরে কারখানায় প্রচুর পরিমাণে কাজের ব্যস্ততা ।কারখানায় অনেকগুলো পোর্ট্রেট হচ্ছে মনীষীদের। সাথে চলছে একটা ফাইবার গ্লাসের কালী ঠাকুরের কাজ ।দক্ষিণা কালী ।এর সাথে চলছে ৩০০ পিস ফাইবার গ্লাসের দুর্গা ঠাকুরের ফ্রেমের কাজ,আর সাথে চলছে ছোট বাউলের ফাইবার গ্লাসের কাজ।
এর ওপর রয়েছে একটা বড় কুড়ি ফুটের পাখি, যার ডানা দুটো উঁচু হয়ে রয়েছে আকাশের দিকে ।সেটা পুরোপুরি লোহার। এর সাথে ফাইবার গ্লাসের আরো তিনটে লাইফ সাইজ ফিগারের।কারখানার পরিস্থিতি এখন বলতে গেলে ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ।
এরমধ্যে হঠাৎ করে বাবা আমাকে বারবার বলছিল কারখানার দিকে যাওয়ার কথা। কারণ কারখানায় যে কালি ঠাকুর টা হচ্ছে সেটা নাকি ফিনিশ হয়ে গেছে, রং হয়ে গেছে, সাজগোজ চলছে ।এই জন্য বাবা আগের দিন বাজারে গিয়ে অনেক কিছু কিনে নিয়ে এসেছে। মানে আমি ঠাকুরের সাজের কথা বলছি। সাজ তো আগে থেকে অর্ডার দেওয়া ছিল। এগুলো আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে রাখতে হয়। এছাড়া শাড়িটা কিনতে হয়েছে। পুরো লাল বেনারসি শাড়ি।
সব মিলিয়ে ঠাকুরের সাজ পোশাকের কেনাকাটা কমপ্লিট করে বাবা আবার ঠাকুরের সাজের কাজ শুরু করেছে। সেটা দেখবার জন্যই বাবা আমাকে কারখানায় নিয়ে গিয়েছিল গতকাল দুপুরবেলায়।
অনেকদিন পর বাবার স্টুডিওতে গিয়ে আমারও বেশ ভালো লাগলো। সবাই কাজ করছে দেখে সত্যিই ভালো লাগে। কাজের একটা প্রেসার আছে, তার মানে সবকিছু ঠিকঠাক আছে, ব্যবসা ভালো আছে। এটা দেখেই মনে শান্তি পাওয়া যায়।
আর এর সাথে যখন মায়ের মূর্তিটির মুখের দিকে তাকালাম আমি কিছুক্ষণের জন্য যেন মনে হচ্ছিল অন্য জগতে আছি ।এত অপূর্ব মুখের আদল তৈরি হয়েছে !!কল্পনার বাইরে ।মা কালীর একটা ভয়ংকর রুদ্রমূর্তি রয়েছে। এর মধ্যেও এই মূর্তিটির মধ্যে একটা অসম্ভব সুন্দর মিষ্টি হাসি আমি লক্ষ্য করতে পারছি। আপনারা করতে পারছেন কিনা আমি জানি না। এই বিষয়টি সত্যিই আমাকে বারবার ভাবিয়ে তুলছে।
আমি যখন গেলাম তখন আমাদের মধ্যে একজন জেঠু ঠাকুরের চুল গুলো লাগাচ্ছিল আঠা দিয়ে । শাড়ি পরানো ততক্ষণে হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও সাজের জিনিসপত্রগুলো লাগানোর কাজ চলছিল। বেশ কিছুক্ষণ কারখানায় ছিলাম। কারখানার বিষয় নিয়ে আরো একটা পোস্টে বাকি কথা শেয়ার করব।
এই পোষ্টের মাধ্যমে এই দক্ষিণা কালীর মূর্তিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।এই মূর্তিটি ফাইবার গ্লাস মেটেরিয়াল এর। এটি ইকো পার্ক থানাতে বসছে। হাইট রয়েছে পাঁচ ফিট। আশা করছি আমার মত আপনাদেরও সকলের এই মূর্তিটি ভালো লাগবে। আজ এখানেই শেষ করলাম ।সকলে ভালো থাকুন।
curated by: @ahsansharif