জন্মাষ্টমীর আসন সাজানো
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল যেখানে শেষ করেছিলাম।তারপর থেকেই লেখা শুরু করছি।
সমস্ত কিছু মাথা থেকে আউট করার জন্য আমি আর বৌদি মিলে আমাদের দোতলার ঘরে যেখানে পুজো করার প্ল্যান করা হচ্ছে, সেখানে চলে গেলাম ।সাথে নিয়ে গেলাম যাবতীয় জিনিসপত্র যা সাজাতে লাগবে ।বিকেল বেলায় একজনকে দিয়ে কলাপাতার ব্যবস্থা করিয়েছিলাম। অনেকগুলো পাতা এনে দিয়েছিল। কিন্তু সেরকম লাগেনি। অল্পতেই হয়ে গেছে।
আসলে প্ল্যান ছিল অনেক কিছু করারই ।কিন্তু ওরকম একটা ঘটনা শোনার পর থেকে কোন কিছু করারই মন লাগছিল না। তাই প্রথমে ভাবলাম গোপাল ঠাকুর কার উপর বসাবো। সেটাই ভাবি আগে ।
ওর জন্য আগের বছর একটা দোলনা কিনে আনা হয়েছিল বাজার থেকে। সেখানে বসে ওর অনেক ছবি আছে। তাই একটু নতুন কিছু করার কথা ভাবছিলাম। এর জন্য প্রথমে আমার মাথার মধ্যে আসলো সেলাই করার জন্য যে সার্কেল থাকে অর্থাৎ যার মধ্যে কাপড় ঢুকিয়ে সুতোর কাজ করা যায়,সেই কাপড়ের কথা। তাতে কাপড়টা টাইট ভাবে সমান ভাবে আটকে থাকে।
সেই জিনিসটার আসলে কি নাম ,আমি ঠিক জানিনা। তবে আপনারা ছবিতে দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। সে জিনিসটা ব্যবহার করলাম একটা হলুদ কাপড়ের সাথে। কাপড়টা ভীষণ সিল্কি। হলুদ রঙ এর। আর ঠিক করলাম এটাই ব্যাকগ্রাউন্ড এ দেওয়ার চেষ্টা করব। গোপালের দোলনার সাথে সেই মতোই ওটাকে আটকে দিলাম ।আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন।
দোলনার সাথে সুতো দিয়ে ঠিকঠাকভাবে আটকে রাখার পর ওপরের দিকটা কিছু কিছু কাগজের গোলাপ ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিলাম। তারপরে কলাপাতা নিয়ে কাজ করতে বসলাম।
কলা পাতার কিছুটা অংশ লম্বা করে করে ছিঁড়ে নিয়ে, সেটাকে মুড়িয়ে স্টেপলার দিয়ে আটকে দিচ্ছিলাম। আর বাড়তি অংশটুকু কেটে নিচ্ছিলাম। এভাবেই কোণের মতন জিনিস তৈরি করে নিচ্ছিলাম। তারপর ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে আটকে দিলাম।
এভাবে ছোটখাটোর মধ্যে গোপালের আসনটা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এরপরে আর কিছু করতে ইচ্ছা করছিল না ।যদি মন মেজাজ ভালো থাকতো হয়তো নানান কিছু করার প্ল্যান করতাম। পুজোর সময় ডেকোরেশনের বিভিন্ন ছবি আপনাদের সামনে আমি শেয়ার করি। সেদিনকে তেমন কিছু সাজাতে পারিনি।
পরের দিন সকাল বেলায় জায়গাটা এমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল ,মনটা এ কারণে খারাপ লাগছিল। তবে মাথা থেকে প্ল্যান বার করে ছোট ছোট তুলসী গাছগুলোকে দিয়ে চারিদিকে সাজিয়ে দিলাম। আর এরকম করাতে দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
জায়গার চিন্তাভাবনা হয়ে যাবার পর ফুলের মালা গাঁথতে বসলাম। পুজোর দিনগুলোতে এভাবে ফুলের মালা গাঁথতে বেশ ভালো লাগে। মা সাজি ভর্তি ভর্তি ফুল তুলে রেখেছিল। সাদা ফুল আর মাধবীলতা ফুলগুলো আমাদের গাছের। সবকটা ফুল একটা একটা করে মা কত ভোর বেলা থেকে তুলতে শুরু করেছিল, ভগবান জানে।।
আমার যখন মাল গাঁথা হয়ে গেল ,দেখতে অসাধারণ লাগছিল। সব মিলিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম ।সেটাই শেয়ার করলাম। বাকি কথা পরের পোস্টে শেয়ার করব।
TEAM 8
Congratulations! Your post has been upvoted through @steemcurator08. Good post here should be..