পুজোর কেনাকাটা - ২ য় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে ভাল আছেন। গতকাল কেনাকাটার গল্প যেখানে শেষ করেছিলাম।তারপর থেকে শুরু করছি।
আমার পার্টনার আসলে বেশ শান্ত স্বভাবের। কেনাকাটার সময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে ,বেশি কথাবার্তাও বলে না, ওর এসব নিয়ে অত ইন্টারেস্টও নেই। তাই ওকে নিয়ে ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে কোন জ্বালা নেই।
আমরা যে দুজন মেয়ে গিয়েছি, এদিক-ওদিক জামা কাপড়ে যেমন চোখ যাচ্ছে , সেখানে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। এটা নিয়ে যে বিরক্ত বোধ করা, সেদিকে ও ঠিক আছে।
ওখানে যখন ওর জন্য পছন্দ হলো না ,তাই আমরা ঠিক করলাম আমাদের মার্কেটেই যেখান থেকে আমরা কেনাকাটা করে থাকি, যশোরেশ্বরী বস্ত্রালয় সেখানে যাব।। যাওয়ার আগে যখন শপিং মল থেকে বার হচ্ছি, তখন অনেকগুলো খাবারের কাউন্টার দেখতে পেয়ে আটকে গেলাম। প্রথমে খেয়ে নিলাম মোমো। চিকেন মোমোটা এত সুন্দর করেছিল যে ধারনার বাইরে। আমি আর আমার পার্টনার দু প্লেট চিকেন মোমো নিলাম ।আর আমার মা এক প্লেট ভেজ মোমো।
মোমো খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর আমার মাকে দেখি আবার ফুচকার লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছে। পাশেই ফুচকার স্টল দেখে। আমার মা প্রচন্ড পরিমাণে ফুচকা খেতে ভালোবাসে ,একেবারেই আমার উল্টো। আমার মার সাথে সাথে আমার পার্টনারও দাঁড়িয়ে পরল। দুজন মিলেই ফুচকা খেয়ে নিলাম কিছুটা। তারপর ভাবলাম এবার মনে হয় বার হতে পারব, ওমা! পরে তাকিয়ে দেখি আমার মা পাশেই যে খাবারের আর একটা কাউন্টার আছে, সেখানে গিয়ে বসে পড়েছে ।মায়ের আবদার চাওমিন খাবে।
আমার মা চাওমিন খেতেও খুব ভালোবাসে ।তবে এখানে আমার সাথে মায়ের মিল আছে। কারণ আমিও চাওমিন খেতে ভালবাসি। মা যেরকম ভাবে ঘুরতে বেরিয়ে মজা করছিল, এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল। সাথে সাথে অর্ডার করে নিলাম এক প্লেট ভেজ চাওমিন ।বলেছিলাম আলাদা আলাদা করে দুটো প্লেটে ভাগ করে দিতে। সেই মতোই ওরা করে দিল।
বেশ ভালোভাবে পেট পুজো হওয়ার পর আবার টোটো ধরলাম মার্কেটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য। ওদিকে আমার পার্টনার তো বাইকে করেই চলে গেল। মার্কেটের ভেতরেই দোকানটা বেশ ভালো ফেমাস, আর খুব ভালো কালেকশন রাখে।
কিছুক্ষণ দেখার পরপরই আমাদের একটা জামা পছন্দ হলো আমার আর আমার পার্টনারের। কিন্তু আমার মার কিছুতেই পছন্দ হচ্ছিল না। বারবার বলছিল এই যে,এরকম জামা পূজাতে কেউ পড়ে নাকি! এ তো নরমাল জামা। কিন্তু আমাদের এত পছন্দ হয়ে গেল বলে, আমরা নিয়ে নিলাম। তারপর মা প্যান্টের সেকশনে গিয়ে প্যান্টও দেখতে থাকলো ,পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্যান্টও পছন্দ হয়ে গেল।
আমি তখন ভাবছিলাম মনে মনে কেন যে অত দূরে দেখতে গিয়েছিলাম। মার্কেটের ভেতরে দোকানটাতে আসলেই ,সাথে সাথে হয়ে যেত।
তবে ওই যে মজা হল ,খাওয়া দাওয়া হল, ওটাই অনেক।যাই হোক পার্টনারের জামা কাপড় কেনা হয়ে যাবার পর ও আমার মাকে টানতে টানতে নিয়ে গেল শাড়ির জায়গায়। পুজোতে শাড়ি কিনে দেবে বলে। মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না, তবে ওর জোর জবরদস্তি তে শাড়ি দেখতে বসতেই হলো। খুব সুন্দর একটা শাড়ি চুস করা হলো, মায়েরও পছন্দ হলো।
মোটামুটি কেনাকাটার একটা পর্ব সেদিনকে শেষ হলো।
Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.