বাড়ির পূজোর দিন - শেষ পর্ব

in Incredible India22 days ago

নমস্কার বন্ধুরা।আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন।বাড়ির পুজোর শেষ পর্ব আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। গতকাল যেখানে শেষ করেছি ,তারপর থেকেই শুরু করছি।

20250512_221140.jpg

কেক কাটিং হওয়ার পরে কেকগুলোকে আমি পিস পিস করে বাটিতে বাটিতে সাজাতে লাগলাম । ছোট ছোট কাগজের বাটি কেনা হয়েছিল। হাতে হাতে দিলে কেক মাখামাখি হ্য়ে যায়। যাইহোক ততক্ষণে আমাদের মৌসুমী বৌদি ও চলে এসেছে। বৌদিকে তো অসাধারণ দেখতে লাগছে লাল শাড়িতে।

তার সাথেই আমাদের পাশের বাড়িতে আমার থেকে এক বছরের বড় সাথী দি এসেছিল ।আসলে ওর বাপের বাড়িতে এসেছে। মানে আমাদের পাশের বাড়ি। ও ওর বাপের বাড়িতে এক সপ্তাহর জন্য ঘুরতে এসেছিল, তার মধ্যেই এই প্রোগ্রামটা পড়েছে। তাই ও এটেন্ড করতে পেরেছে ।ও এটেন্ড করতে পেরেছে বলে আমাদেরও অনেক ভালো লেগেছে।

20250512_211328.jpg

ওর এখন একটা ছেলে আছে, একটা মেয়ে আছে।আমি কল্পনাও করতে পারি না এই মেয়েটার সাথেই আমি ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি। সাথীর বেশ অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল, তাই এখন ও দুই বাচ্চার মা। আর আমি এখনও বিয়ে অবধি যেতে পারলাম না। যাইহোক আমি মৌসুমী বৌদি আর সাথী মিলে একসাথে বসে বেশ সুন্দর করে ছবি তুললাম।

20250512_210619.jpg

তারপরে সকলকে আবার দেখতে গেলাম ছাদে। গিয়ে দেখি সকলে খেতে বসে গেছে এবং খাবার দেওয়া ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সেটাও সকলের টেবিলে টেবিলে গিয়ে দেখে আসলাম। ছাদের পরিবেশটা অসাধারণ লাগছিল। তার মধ্যে বেশ হাওয়া দিচ্ছিল। চারিদিকে ,দোতলার ঘরে ,এসি ঘর ছাড়া গরম আর গরম।

20250512_215858.jpg

ঠাকুর ঠাকুর করে ওই মুহূর্তে বৃষ্টি পড়েনি ।এই আমাদের ভাগ্য ভালো। না হলে সব বাজে হয়ে যেত। আমার মনে হয় বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে ঠিকঠাক ভাবে আতিথিয়তা করতে পারাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ।অনেকের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করার পরে রিসেপশনটা ঠিকঠাক দিতে পারে না। ঠিকঠাক ভাবে মানুষ খাচ্ছে কিনা ,চেয়ে খাচ্ছে কিনা এবং যারা ক্যাটারিং এ আছে তারা ঠিকঠাক ভাবে মানুষকে পরিবেশন করছে কিনা এটা একটা বড়সড়ো ব্যাপার বলে আমার মনে হয়।। আমি আমার বাড়ি প্রত্যেকটা প্রোগ্রামে সবসময় চেষ্টা করি এদিকটা খেয়াল রাখার।।

20250512_215837.jpg

খাওয়া-দাওয়া মোটামুটি সবার হয়ে যাওয়ার পর আমি আর মৌসুমী বৌদি শেষের দিকে খেতে বসেছি। রান্নার কথা তো আপনাদের সাথে শেয়ার করাই হয়নি। হয়েছিল খিচুড়ি ,ছ্যাঁচড়া, বাসন্তী পোলাও, আলুর দম, চাটনি, পাপড় ,মিষ্টি। আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না ছ্যাঁচড়া টা কি অস্বাভাবিক ভালো খেতে হয়েছিল। পুজোর জিনিসের স্বাদটাই আলাদা হয়। সেদিনকে সকলেই খুব গুনগান গেয়েছে প্রসাদের।

20250512_221137.jpg

আমি প্রথম প্রথম ভয় পাচ্ছিলাম বাসন্তী পোলাও টা কেমন হবে ,কিন্তু আমি যেমনটা চেয়েছিলাম ওরা তেমনটাই করেছে ।কোন রকম সেন্ট দেয়নি এবং মিষ্টিটাও হালকা ছিল। মানুষজন খেয়ে শান্তি পেয়েছে, এটা জানতে পেরেই আমরা সকলে খুশি হয়েছি।

আপনারা বিশ্বাস করবেন না রাতে যখন সমস্ত কাজ মিটিয়ে আমরা ঘুমিয়েছি ,তখনই ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমাদের কপাল ভালো ওই সময় কোন রকম বৃষ্টি হয়নি।

এখানেই শেষ করছি পুজোর শেষ পোস্ট । সকলে ভালো থাকুন।

Sort:  
Loading...
Loading...