অঙ্কুশের জন্মদিন

in Incredible India23 days ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকালকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম মার্কেটে গিয়ে অনেকদিন পর কিছু কেনাকাটার কথা আর আমার পার্টনারের সাথে দেখা করার কথা। তারপরের মুহূর্তগুলো আজকে শেয়ার করছি।

20250610_210407.jpg

মার্কেট থেকে ওই জিনিসগুলো কেনা হয়ে যাওয়ার পর বাড়ি চলে আসলাম। ততক্ষণে ঈশানের ও পড়াশোনা শেষ। বাবার গাড়িতে করে চলে গিয়েছিলাম পিসির বাড়িতে। আমার বড় পিসির বাড়িতে ছোট্ট করে অনুষ্ঠান। বড় পিসির বড় ছেলের অর্থাৎ বড় দাদার ছেলের জন্মদিন। ওর নাম অঙ্কুশ। ও এখন ক্লাস নাইনে পড়ে। দেখতে দেখতে এরা কত বড় হয়ে গেল। চোখের সামনে এদের ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। আমি ওদের খুব আদরের পিসি। ছোটবেলায় ঠিকভাবে পিসি বলেও ডাকতে পারত না। এখন কথা বলতেই লজ্জা লজ্জা পায়। আসলে অঙ্কুশ একটু শান্ত স্বভাবের।

20250610_210347.jpg

গিয়ে দেখি ওখানে সকলে এসে হাজির। আমার বাকি পিসিরা চলে এসেছে। বৌদিরাও চলে এসেছে। বাড়ি ভর্তি বাচ্চা। অঙ্কুশের বন্ধুরাও রয়েছে। অঙ্কুশের বন্ধুরা ওর থেকে অনেক লম্বা। এক একটাকে দেখে মনে হয় উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছে হয়তো। আসলে সকলের গ্রোথ সমান হয় না। এটা একেবারে জিনগত। আমার মা-বাবা তখনও এসে পৌঁছয়নি বলে কিছুতেই ওরা কেক কাটতে চাইছিল না।। বসে থাকতে থাকতে বেশ অনেকক্ষণ পর যখন বাবা-মা আসলো তখন ওরা কেক কাটার আয়োজন করল।

আসলে আমার পিসিরা আমার মাকে খুব ভালোবাসে। ওদের আমার মাকে ছাড়া চলে না। যতক্ষণ মা বাবা আসছিল না আমি আমার দিদিদের সাথে গল্প করছিলাম ।দিদিদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে কিন্তু অঙ্কুশের জন্মদিন বলে ওরা এসেছিল।। আমার ছোট দাদার ছোট ছেলে নিলয় সে তো সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়াচ্ছিল। ওদের বাড়িতে এখনো কাজ চলছে। বাড়িটা কিছুটা অংশ বাড়ানো হয়েছে আর রেনোভেশন করা হচ্ছে। তাই ঠিক করেছিল এ বছর আর জন্মদিন করবে না। কিন্তু আমার বড় পিসেমশাইয়ের আবদার এ ওর এই জন্মদিন পালন।

20250610_210223.jpg

কেক কাটার সময় আমার সেজ পিসি যেভাবে বাচ্চাদের মতন টুপি পড়ে হাততালি দিচ্ছিল সে দৃশ্য দেখার মতন ছিল। আমরা সবাই সেটা নিয়ে হাসাহাসি করছিলাম। অঙ্কুশ মোমবাতিদের ফু দিয়ে কেক কাটল। আমরা সবাই মিলে ওকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম হাততালি দিয়ে। আমি ওকে মন ভরে আশীর্বাদ করলাম। তারপর সবাই আমরা কেক খেলাম। এরপরেই আমরা খেতে বসে গিয়েছিলাম।

20250610_210220.jpg

রান্না করেছিল আমার বৌদি। বৌদি বরাবরই ভালো রান্না করে। রান্না হয়েছিল ফ্রাইড রাইস ,চিকেন, মিষ্টি, পায়েস। যেহেতু ফ্রাই রাইস খেতে আমি খুব পছন্দ করি। তাই বেশ তৃপ্তি করে খেলাম।তারপর কিছুক্ষণ বসে বাড়ির দিকে রওনা হলাম।

বড়পিসির বাড়ি গাড়িতে ১০ মিনিট। তাই বেশি দেরি হয়নি ফিরতে।আজ এখানেই শেষ করছি। সকলের সাথে মুহুর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগল।

Sort:  
Loading...

💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate

Loading...
 22 days ago 

প্রথমেই অঙ্কুশ কে জানাই জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। জন্মদিন বেশ কয়েকদিন হল কেটে গিয়েছে। পিসির বাড়িতে জন্মদিনের নিমন্ত্রণ ও খেতে গিয়ে বেশ মজা করে দিনটি কাটিয়েছিলে। ছোট ছোট বাচ্চারা চোখের সামনে কিভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে সেটা সকলকে দেখলেই বোঝা যায়। যাই হোক পিসির বাড়িতে তোমার পছন্দমত খাবার রান্না করা হয়েছিল। সকলের সাথে মজা আনন্দ করে আবারও খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসেছিলে।