রাখি পূর্ণিমা - ৩ য় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল এবং তার আগের দিনও আমি রাখি পূর্ণিমা নিয়ে আপনাদের সাথে আমার মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছিলাম। রাখি পূর্ণিমা আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সংক্রান্ত ব্যাপারেও লিখেছি। গতকালকে আমার পোস্টে ছিল ঈশানকে রাখি পড়ানোর সমস্ত তথ্য। আজকে তারপর থেকে পোস্ট লেখা শুরু করছি ।
ঈশান কে রাখি পড়ানোর পর আমার পিসতুতো দাদাকে আমি আসনে বসতে বললাম ।তারপর ঠিক সেম পদ্ধতিতে দাদাকেও রাখি পরানো শুরু করলাম। প্রথমেই ওকে সিঁদুরের ফোটা এবং হলুদের ফোটা কপালে দিয়ে দিলাম ।তারপর তার সাথে আতপ চাল কিছুটা ছিটিয়ে দিয়ে প্রদীপের উষ্ণতা হাতের তালু দিয়ে ওর বুকে আর মাথায় বুলিয়ে দিলাম। তারপর ঈশ্বরের কাছে ওর নামে প্রার্থনা করতে করতে আমাদের এই সম্পর্কের অটুট বন্ধনের প্রার্থনা করে ,ওর হাতে রাখি পরিয়ে দিলাম।।
ঈশান হওয়ার পর থেকে সত্যি বলতে আমি অন্য কাউকেই রাখি পড়াতাম না। আর আমার এই যে দাদাকে দেখছেন, এই দাদা আমাদের শহরে থাকত না ।আসলে এই দাদা হল আমার মেজোপিসির ছেলে। মেজ পিসিরা আগে কলকাতাতে থাকতো। পরবর্তীতে ওরা আস্তে আস্তে কৃষ্ণনগরের দিকে আসে ।যেহেতু আমার পুরো ফ্যামিলিটাই কৃষ্ণনগরে রয়েছে। বাবার দিক কার। তাই জন্য ওরাও এদিকে শিফট করেছিল ।এছাড়াও নিজস্ব কিছু কারণ রয়েছে ।যার জন্য ওরা কৃষ্ণনগরে এসেছে ।
কৃষ্ণনগর এ এখন ওদের নিজস্ব বাড়ি, নিজস্ব ব্যবসা সবকিছুই। যবে থেকে দাদা এসেছে তবে থেকে দাদাকে রাখি পরানো শুরু। আসলে আমাদের ভাইবোনদের মধ্যে আমার বড় যদি কোন দাদা থাকে, তাহলে তো মোটামুটি দেখতে গেলে আমার আটখানা দাদা।
কিন্তু সব থেকে ছোট যে দাদা অর্থাৎ আমার উপরে যে সে হল এই দাদাটা। তাই ছোট বেলা থেকে এর সাথে আমার একটা আলাদাই বন্ডিং রয়েছে ।
আপনারা খেয়াল করে দেখবেন আমাদের সমবয়সী কিংবা আমাদের থেকে এক বছরের ছোট অথবা এক বছরের বড় অর্থাৎ বেশি বয়সের গ্যাপ নেই এরকম ভাই বোনের সম্পর্কটা একটু বেশি ভালো হয়। যেমন যদি আমি আমার মায়ের কথা বলি ,আমার মায়ের সাথে আমার বড় মামার থেকে ছোট মামার সম্পর্কটা বেশি মধুর। কারণ বড় মামা মায়ের থেকে অনেকটাই বড়, আর ছোট মামা মায়ের সমসাময়িক বলা চলে।।
এই দাদার ক্ষেত্রে অনেকটা সেরকম ।এর বিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে বিয়ের আগের অবস্থা, এমনকি ওর দুঃখ যন্ত্রণা সমস্ত কিছুই আমি সামনে দেখেছি এবং ওর সাথে থেকেছি। তাই ওর সাথে আমার সম্পর্কটা একটু অন্য ধরনের। ও আমার সবকিছুতে আমার সহায় হয়ে থেকেছে, তাই দাদার সাথে যে সুন্দর স্নেহের সম্পর্কটা রয়েছে ,আমি চাই সারা জীবন এরকমই থাকুক। ঈশানের পরে যদি কোন দাদার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক হয় ,তাহলে আমি এই দাদাটির নাম বলবো।
দাদাকে রাখি পড়ানো হয়ে গেলে প্রণাম করলাম এবং দাদা আমাকে একটা ক্যাডবেরি সেলিব্রেশন এর প্যাকেট দিল। আমি তো সোনায় সোহাগা সেদিন এত চকলেট পেয়ে। তারপরে ঈশানকে আর দাদাকে আমি খেতে বসতে বললাম ,মা ওদের খেতে দিল। আগের দিন ওদের জন্য পাঁচ রকম করে মিষ্টি কিনে নিয়ে এসেছিলাম ,সেটাও দিয়ে দিলাম ।ওরা আস্তে আস্তে খেতে লাগলো ।আর আমি একটা ছবি তুললাম। ঈশানকে স্কুলে যেতে হবে তাড়াতাড়ি, আর দাদাই নিয়ে যাবে ।তাই ওদের খাওয়া দাওয়া হয়ে যাওয়ার পরেই দাদা ঈশানকে নিয়ে স্কুলে বেরিয়ে গেল।
ওরা চলে যাওয়ার পরে আমার দুই পিসি বাবাকে রাখি পড়াতে এসেছিল। এই মুহূর্তগুলো পরের দিন পোস্টে শেয়ার করব।
Hello @isha.ish
How are you I hope you doing well I read you post you tell about Rakhi I see this in many videos but now at last I see this in your post this look amazing and at last you received a gift this look wao...God bless you with happiness
Best regards
@syedabatool