কলকাতার পথে - দ্বিতীয় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন ।পরপর দুদিন পরীক্ষা দিয়ে উঠলাম। একদিনে দুটো করে পরীক্ষা পড়ছে। আর যেখানে অর্থাৎ যে কলেজে পরীক্ষার সিট পড়েছে, সে কলেজ এত গার্ড দিচ্ছে ,যে সাংঘাতিক অবস্থা হয়ে গেছে । ঘাড় ঘোরাতেও পাচ্ছিনা, যদি না পারি নিজে বানিয়ে গুছিয়ে লিখতে হচ্ছে।
গতকালকেই বলছিলাম বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা যাতায়াত চলছে।আর তার সাথে হাজারো রকম সমস্যা লেগে আছে। গতকালকে অনেক দিন পর কলকাতা যাওয়ার কথা শেয়ার করেছিলাম। আজকে তারপর থেকেই শুরু করছি।
আমার বাড়ি থেকে কলকাতা, আমাদের গাড়িতে মোটামুটি আড়াই ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। যেহেতু আমরা কল্যাণী এক্সপ্রেস এর রুট ধরে যাই, তাই খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছতে পারি।।
এখন রাস্তা এত সুন্দর করে দিয়েছে, কলকাতা পৌঁছতে বেশি সময় লাগে না। কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতা যাতায়াত আমি বেশিরভাগ সময় ট্রেনে করেছি ,যখন আমি পড়াশোনা করতাম কলকাতাতে ।তারপরে টুকটাক কাজে কলকাতা যাতায়াত হত কলেজের সাথে যখন সম্বন্ধ ছিল ।লাস্ট বোধহয় মাইগ্রেশন তুলতেই কলকাতায় যাওয়া হয়েছিল। তারপরে আর যাওয়া হয়নি।
আমি যাইনি তবে আবার মা বাবা মাঝে মধ্যেই যেতে থাকে ,কারণ ডাক্তার চেকআপ থেকে শুরু করে বাবার যাবতীয় অনেক কাজই কলকাতাতেই থাকে। এ কারণে ওদের যাতায়াত লেগেই থাকে। তবে আমার আর যাওয়া হয়ে ওঠে না ।আমি কলকাতায় যে জায়গায় গান শিখতাম ,সেটাও এখন অনলাইনে করে নিয়েছি বলে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ হয় না।।
সেদিনকে কলকাতা যাওয়ার সময় সাত সকাল বেলায় ব্রেকফাস্ট করেছিলাম চাকদাতে একটা রেস্টুরেন্টে ।সাত সকাল বেলায় গরম গরম ভাত পেয়ে মনটা ভরে গিয়েছিল ।আসলে রুটি খেলে শরীরটা ঠিক লাগেনা। আর সারাদিন কোথায় কি অবস্থায় থাকবো ,তাই সকাল সকাল একটু গরম ভাত আর ডাল অথবা মিক্স ভেজ পেয়ে গেলে আর কিছু চাইনা। সেদিনকে রেস্টুরেন্টে তাই পেয়ে গিয়েছিলাম। জার্নি করতে হলে যদি সারাদিনের ব্যাপার থাকে ,অবশ্যই হালকা এবং খুব বুঝে শুনে খাওয়া উচিত।
গানের রেকর্ডিং ছিল দমদম চিড়িয়া মোড় ।সেখানে পৌঁছে জায়গাটা খুঁজে বার করে কিছুক্ষণ ওই জায়গায় গিয়ে বসে থাকতে হলো কারণ আমার আগেও একজন ছিলেন ,যিনি রেকর্ডিং করছিলেন । আমার রেকর্ডিং এর সময় আমাকে ডাকা হল। সেদিন আসলে মিউজিক ট্র্যাক রেকর্ডিং এর বিষয় ছিল। আমাকে ফাইনাল রেকর্ডিং এর জন্য আরও একদিন ডাকা হবে ,সেটা আমি আগেই জানতাম ।মোটামুটি রেকর্ডিং এর জায়গায় এক ঘন্টা মত সময় চলে গেল।
প্রথমবার এরকম একটা রেকর্ডিং স্টুডিওতে বেশ মজায় লাগছিল ।অত বড় বড় আর্টিস্টদের মাঝে নিজেকে আমি কল্পনা করতে পারছিলাম না। যারা মিউজিসিয়ান ছিলেন তারা সকলে ভীষণ অভিজ্ঞ এবং রবীন্দ্র সংগীতের বিখ্যাত বিখ্যাত শিল্পীর সাথে তারা সঙ্গ দিয়ে থাকেন , আমি যে তাদের সাথে রেকর্ডিং করতে পারছি ,এটাই অনেক।
রেকর্ডিং শেষ করার পর আমাদের প্রথম প্ল্যান ছিল কোথাও একটা কিছু খাওয়া দাওয়া করব। কিন্তু তার আগে বাবার পরিচিত এক জায়গায় আমাদের আবার যেতে হলো। দমদম থেকে তালতলা চলে গেলাম। মোটামুটি তিরিশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম সেখানে।
আসলে সেখানে পূজোর থিমের প্যান্ডেলের যিনি দায়িত্ব আছেন, তিনি আমার বাবার খুব কাছের বন্ধু ।তাই বাবা তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। যেহেতু এখন ছবি তোলা এলাও নেই। পুজোর আগে প্যান্ডেল উদ্বোধন না করা অব্দি কোনরকম ছবি তোলা যাবে না ,তাই কোন রকম ছবি আমি তুলতে পারিও নি। সেখানে সামান্য কিছুক্ষণ থেকে মোটামুটি আধাঘন্টা মত থেকে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম আরো একটা কাজের উদ্দেশ্যে। পরবর্তী পোস্টে সেগুলো নিয়ে শেয়ার করব।
পরীক্ষার হল বলে কথা তা তো একটু কঠিন থাকবে 🥰 তবে আমরা সব স্টুডেন্টরাই চাই যে আমাদের হলে শিক্ষকগণ একটু নরমাল ডিউটি দিক, যেন আমরা আমাদের সহপাঠিদের সাথে একটু হালকা কথোপকথন করতে পারি।
চিকিৎসার জন্য কলকাতা অনেক ভালো। আমিও বাংলাদেশ থেকে দুইবার কলকাতা গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসার জন্য ভরসার স্থান হল কলকাতা।
সংগীত হলো মনের শান্তি। আপনিও সংগীত নিয়ে অনেক দূরে এগিয়ে যান সেই শুভকামনা রইল।
পুজো মানে হলো আনন্দ, প্রতিটি পূজা মন্দিরে থাকে নতুন নতুন থিম তাই সেই দিনগুলো সবার কাছে আকর্ষণীয় করার জন্যই এমন ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ, তাই প্যান্ডেল উদ্বোধন হওয়ার পরে ছবি তোলাটা ভালো হবে। পুজোর অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।