বান্ধবীর বাড়ীতে নিমন্ত্রণ

in Incredible India5 hours ago

নমস্কার বন্ধুরা, গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম , বেশ অনেকদিন পর আমার বন্ধু আমাদের বাড়িতে এসেছিল এবং সেই কারণে আমি কতটা খুশি হয়েছিলাম, সেই অনুভূতি আর কিছু মুহূর্ত ।

সেদিনকেই আমার নিমন্ত্রণ ছিল আরেক জায়গায়। আসলে আমার বান্ধবী অনামিকা সন্তোষী মায়ের ভীষণ ভক্ত। ও শুক্রবার করে ভীষণ পরিমাণে খাওয়া-দাওয়ার দিক দিয়ে সজাগ থাকে। মায়ের পূজোর অনেক অনেক নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলো ও খুব ভালোভাবে পালন করে। ও আমাকে অনেকদিন আগেই ফোন করে নিমন্ত্রণ করেছিল আমি যাতে সেদিনকে ঈশান অর্থাৎ আমার ছোট ভাইকে নিয়ে ওদের বাড়িতে প্রসাদ খেতে যাই।ও ছোটখাটো করে একটা পুজোর আয়োজন করছে।

20250516_203226.jpg

ও যে শুধু আমাকে বলেছে, তা নয় আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সবাইকে বলেছে এবং আমার পার্টনারও যেহেতু ওর বন্ধু ,তাই ওরও নিমন্ত্রণ ছিল। তবে আমার বাকি বন্ধুরা আসবে কি আসবে না ,সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল ,কারণ সকলেই সেদিনকে বাইরে ছিল অর্থাৎ কলকাতার দিকে।। সন্ধ্যা বেলার সময় আমি ,ভাই আর আমার পার্টনার বেরিয়ে পড়লাম।

1000248948.jpg

বেরোনোর পর ঠিক করলাম অনামিকার জন্য একটা টেডি বিয়ার কিনে নিয়ে যাব। আসলে ও টেডি বিয়ার খুব পছন্দ করে। প্রত্যেকবার তো মিষ্টি বা এটা ওটা খাবার জিনিস নিয়ে যাওয়াই হয়।। তাই সেদিন ভেবেছিলাম ওর পছন্দ সই কোন একটা গিফট দিলে, ও অবশ্যই খুশি হবে।।

সেই মতোই প্রথমে আমি ঈশানকে নিয়ে টোটো করে আমাদের কৃষ্ণনগর মেন মার্কেটের টেডি বিয়ার দোকানগুলোর দিকে গিয়েছিলাম। পছন্দমত একটা সুন্দর টেডি বিয়ার কিনেছিলাম। সেটার ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি।। আসলে ওটা ঠিক টেডি বিয়ার বলা ভুল হবে, ওটা একটা সফট টয়। মাংকি সফট টয় ।

20250516_193708.jpg

ওখান থেকে আমার পার্টনার আমাকে আর ঈশানকে গাড়িতে তুলে নিল ।তারপর আমরা চলে গেলাম অনামিকার বাড়ির দিকে। অনামিকার বাড়ি আমার বাড়ি থেকে প্রায় অনেকটা দূরে। যেতে প্রায় কুড়ি মিনিটেরও বেশি সময় লাগে।। বাইকে যেতে কুড়ি মিনিট পাক্কা। তাই যেতে যেতে বেশ অনেকটা সময় চলে গেল।

আমরা গিয়ে দেখি অনামিকা ছোটখাটো মধ্যে বেশ ভালোই আয়োজন করেছে। এমনকি প্যান্ডেল করেছে ওপরে। পুরো পুজোর খরচ এবং পুজোটা ও নিজেই করছে। মায়ের কাছে ওর মানসিক ছিল, সেটাও জানতে পারলাম। আমি যাওয়ার একটু পরেই খেতে বসে গিয়েছিলাম ।কারণ আমার খুব খিদে পেয়ে গিয়েছিল। যেহেতু অনেকটা দূরে এসেছি ,আর বাড়িতে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে ,তাই ওখানে বেশি আর দেরি করা যাবে না ,এই ভেবেই তাড়াতাড়ি খেতে বসা।

20250516_194647.jpg

ভীষণ ভীষণ ভালো খিচুড়ি রান্না হয়েছিল, তার সাথে দিয়েছিল ছ্যাঁচড়া, ছিল বাসন্তী পোলাও আর আলুর দম, চাটনী আর মিষ্টি,। আমরা খুব ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করলাম ।আর তারপর নিচে এসে অনামিকার সাথে গল্প করছিলাম। খাওয়া-দাওয়াটা করে একটু রিলাক্সে থাকা যায় ।না হলে হুটোপাটা বেঁধে গেলে ,খাওয়া দাওয়াতেও সমস্যা। তাই রিলাক্সে খাওয়া-দাওয়া করে নিচে বসে গল্প করাটাই সেদিনকে ঠিকঠাক বলে মনে করেছিলাম।

20250516_203046.jpg

যখন ওদের সাথে গল্প করছি, হঠাৎ করে দেখি আমার দুই বান্ধবী এসে হাজির। এরা দুজনাই কৃষ্ণনগরের বাইরে ছিল। আমরা সবাই ভেবেছি, ওরা হয়তো আসবে না। কিন্তু এদিকে ওরা দুজনাই চলে এসেছে দেখে অনামিকা ভীষণ খুশি হল। আর আমিও অনেক খুশি হলাম। তার সাথে আমি একটু অভিমানও করেছিলাম ওদের উপর ,কারণ আমাদের বাড়িতে পুজোর দিনকে ওরা আসতে পারেনি , তাই সেই রাগটাও সেদিনকে ঝেড়ে মিটিয়ে নিয়েছি।

20250516_203030.jpg

ওরা আসার পর ওদের সাথে খানিকক্ষণ গল্প করার পরে ,আমরা আবার রওনা দিলাম বাড়ির দিকে ।কারণ রাত হয়ে গেলে মা-বাবা সকলে চিন্তা করবে। তাও বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল।। আপনাদের সাথে মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আজকে এখানেই শেষ করছি।