জন্মাষ্টমীর আগের দিনের কেনাকাটা

in Incredible India15 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। এই পোস্টটা প্রায় সন্ধ্যা বেলায় আপনাদের সাথে শেয়ার করার কথা। কিন্তু আজকে কত রাত হয়ে গেল।

বিগত কিছুদিন ধরে নিজের একটা পার্সোনাল কারণে খুব ব্যস্ত থাকায় এত টাইমের হের ফের হচ্ছে ।তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। যাই হোক, আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি জন্মাষ্টমীর আগের দিনের মুহূর্তগুলো।

20250815_173143.jpg
বাজারের পাশের গৌড়ীয় মঠ

প্রত্যেক বছরেই বাড়িতে জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হয় ।জন্মাষ্টমী হল কৃষ্ণের জন্মের উৎসব। শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্ম উৎসব পালন করা হয়।যেহেতু আমাদের বাড়িতে একটা ছোট্ট গোপাল ঠাকুর আছে ,তাকে উৎসর্গ করেই এই আয়োজন প্রত্যেক বছর করা হয়।

আর এই আয়োজন করতে আমাদের বাড়ির সকলেরই ভালো লাগে। বাড়ির মধ্যে ও যেন একটা ছোট্ট বাচ্চার মত। তাই জন্মাষ্টমীর আগের দিন একটা কেনাকাটার পর্ব থাকে ।জন্মাষ্টমীর দিন পুজোতে যা যা লাগবে সে সমস্ত কিছু কিনতে আগের দিন বার হই প্রত্যেক বছর। এ বছরেও সেটা মিস হয়নি।

বলতে গেলে প্রায় বেশিরভাগ হিন্দু বাড়িতেই এই জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হয়। বাড়ির মায়েরা, এমনকি ছোটরাও কৃষ্ণের জন্মের তিথি উৎযাপন করে খুবই আনন্দ সহকারে।

20250815_173247.jpg
রাধামাধব

আমি আগের দিন আমার ছোট্টো গুপুর জন্য বেশ কিছু জিনিস কিনতে বিকেলের দিকে বাজারে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের দুই বাড়িতেই গোপালের বিগ্রহ মূর্তি আছে। আমার পার্টনার এর বাড়িতে যে গোপালের মূর্তি আছে ,সেটা আমাদের মূর্তির থেকে বড়। তাই ওদের বাড়িতেও জন্মাষ্টমী উদযাপন হয়।

এ কারণে দুই বাড়ির বাজার করতে আমাকে আর আমার পার্টনার কে বার হতে হয়েছিল। চলে গিয়েছিলাম গোয়াড়ী বাজার। গিয়েই কিনে নিলাম গোপালের জন্য ফল। পাঁচ রকম ফল প্রথমে নিলাম। তারপর আরো কিছু ফল এক্সট্রা নিলাম। তার পর ওখান থেকে ঘি এর দোকানে গেলাম। বাজারের ভিতর এই ঘি এর দোকানে দারুন মিল্ক কেক করে। গোপালের জন্মদিন বলে কথা। তাই মিল্ক কেক মাস্ট। কিনে নিলাম দুই বাড়ির জন্যই।

20250910_220703.jpg

তারপর চলে গিয়েছিলাম ফুলের মালা কিনতে। সেদিন একটা গাদা ফুলের মালার দাম ছিল ৫০ টাকা । আমি শুনে অবাক!! কিভাবে পুজোর দিন বলে দাম বাড়িয়ে রেখেছে। কিছু করার নেই, সবাইকে কিনতেও হচ্ছে ।অনেকগুলো মালা কিনতে গিয়েই কত গুলো টাকা বেরিয়ে গেল। যে মালা ১০/১৫ টাকা নেয়, সেটারই দাম সেদিন অত।

যাইহোক, ওখান থেকে চলে গিয়েছিলাম দই কিনতে। কৃষ্ণনগরে একটা জায়গায় খুব ভালো লাল দই পাওয়া যায় শুনেছিলাম। সেদিন প্রথম গেলাম কিনতে। দই কিনতে গিয়ে আমি সত্যিই অবাক। ওরকম একটা ছোটখাটো দোকানে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত দই পাওয়া যায়, ভাবা যাচ্ছিল না। কিন্তু ওদের দোকানের দইয়ের আমি প্রচুর নাম শুনেছি।। ঈশানকে যে অঙ্ক স্যার পড়াতে আসেন ,তিনি প্রথম আমাকে এই দোকানের খোঁজ দিয়েছিলেন।

20250815_175141.jpg

তাইতো মার্কেট থেকে একেবারেই দূরে ,আমাদের লোকালিটি থেকেও দূরে ,যেখানে দোকানটা অবস্থিত, আমরা চলে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র দইয়ের খোঁজে সেখানে।

আমার ছোট্ট গোপাল ঠাকুর কত কি খাবে, আমি জানি না। তবে মোটামুটি পছন্দ সই সমস্ত জিনিস ওর জন্য কেনা হয়েছিল ।চকলেট থেকে শুরু করে বিস্কুট বিভিন্ন ধরনের সবকিছুই কিনে নিয়েছিলাম। তারপর তো বাড়ি এসে গোপাল ঠাকুরের আসন সাজানোর জন্য লেগে পড়েছিলাম ,সেসব নিয়ে পরের পোস্টে শেয়ার করব ।আজকে এখানেই শেষ করছি।

Sort:  
Loading...
Loading...

Hello @isha.ish
How are you I hope you doing well I read your post and see you celebrated your Krishna birthday I hope u enjoy more. God bless you with happiness and peace .

Best wishes 🌸
@syedabatool

your post is quite interesting after reading through my translator, keep steeming