শ্রাবণের তৃতীয় সোমবারে
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি তৃতীয় সোমবারের মুহূর্তগুলো।
প্রথম সোমবারে মোটামুটি সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মহাদেবের মাথায় জল ঢেলে নিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় নিয়ে গিয়েছিলাম ঘি ,মধু, গঙ্গাজল, দুধ, আতপ চাল ,বাতাসা, ফুল, বেলপাতা, সাদা পৈতে,গোটা ফল, ধূপকাঠি, ঘি এর প্রদীপ । আমি আগে থেকেই জানতাম প্রথম সোমবার ভিড় হবে ।তাই তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিলাম ।বেরিয়ে এসে দেখি বেশ লাইন পড়ে গেছে।দ্বিতীয় সোমবারেও ঠিক এভাবেই গিয়েছিলাম ।
তৃতীয় সোমবারে সকাল বেলায় স্নান করে খুব সুন্দর করে নিজের হাতে মালা গেঁথেছিলাম ঠাকুরের জন্য। বেলপাতা আর অপরাজিতা দিয়ে মালা গেঁথে নিয়েছিলাম। বেল পাতাগুলোকে ভাঁজ করে মালা করলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে মালা গাঁথার সময় বেল পাতার মধ্যে একটা অদ্ভুত রকমের পোকা দেখতে পেলাম। সে পোকাটার ছবি তুলে রেখেছি। পোকাটা দেখে বেশ বিষাক্ত মনে হল।। এই পোকা আপনারা আগে দেখেছেন কিনা অবশ্যই জানাবেন।
তৃতীয় দিন বাড়িতে স্নান করে প্রথমে আমাদের বাড়ির যে মহাদেব প্রতিষ্ঠিত আছে ,ওনাকে পুজো দিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরে মন্দিরের দিকে গিয়েছি।। বাড়িতে যেভাবে পূজা দেয়া হয় ,মন্দিরে গিয়েও ঠিক সেভাবে নিয়ম করা হয়।
মন্দিরে যাওয়ার পরে সেদিনকেও একটুখানি লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল ।তার ওপর ঠাকুরের সকালের নিত্য পুজো সারতে একটু দেরি করেছিলেন ব্রাহ্মণ। এ কারণে পুরোহিত ঠাকুর পুজো করছিলেন ভেতরে।। আর আমরা সকলেই বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বেশ কিছুদিন হল খেয়াল করে দেখি এখন মহাদেবের নিত্য পূজোটা বেশ দেরি করে শুরু করে, এর আগে যে ব্রাহ্মণ ছিলেন উনি বেশ সকাল সকাল পূজা সারতেন। এবার ব্যাপারটা হল এত দেরিতে লোকজনকে দাঁড় করিয়ে রেখে পুজো করা ,এদিকে সকলেই প্রায় উপোস করে থাকে, তাই সকলে বেশ বিরক্ত হয়।।
যখন প্রবেশ করলাম তারপরেই ব্রাহ্মণ অর্থাৎ পুরোহিত মন্ত্র পড়লেন। আমরা ঘি, মধু মহাদেবের মাথায় চারিদিকে মাখিয়ে দিলাম ।তারপরে মন্ত্র জপ করতে করতে বাবার মাথায় দুধ ,গঙ্গাজল আস্তে আস্তে ঢালতে লাগলাম।। দেয়া হয়ে গেলে দিয়ে দিলাম ফুল বেলপাতা আর বাতাসা মাথার উপর । দিয়ে দিলাম গৌরী পিঠে জবা ফুল, আতপ চাল। তারপর ঠাকুর মশাই অঞ্জলি দেওয়ার মন্ত্র জপ করলেন। তার কথামতো আমরাও একে একে মন্ত্র জপ করতে থাকলাম।
গোটা ফল ঠেকিয়ে ওখানে রেখে দিলাম এবং বাবার স্থান থেকে একটি গোটা ফল নিজের সাজিতে তুলে নিলাম।। এরপরে প্রণাম করে ফুলের মালা পরিয়ে, ঘি এর প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করে, তারপর ওখান থেকে বেরিয়ে আসলাম।প্রথম এবং দ্বিতীয় সোমবারে ঠিক একইভাবে পুজো করে এসেছিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি সকলে ভালো থাকুন।
Hello there, you have posted a great quality post and we are happy to support you, stay up with good quality publications
Curated by wirngo