ঝিলিক দিদির বিয়ে - ১ম পর্ব

in Incredible India5 months ago

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার এক দিদির বিয়ের কিছু মুহূর্ত।

ঝিলিক দিদি আমার থেকে মাত্র কয়েক মাসের বড়। তাও আমি ছোট থেকেই ওকে দিদি বলে ডাকতাম। একই সাথে আমাদের বড় হয়ে ওঠা। ওর বাবা আর আমার বাবা ভালো বন্ধু। এর সাথে ওর মাও আমার বাবার বান্ধবী। তাই সম্পর্কটা খুবই সুন্দর ছিল।

20250219_162600.jpg

আমরা একসাথে ছোটবেলা থেকে অনেক জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছি। সব মিলিয়ে ছোটবেলা থেকে আমরা একসাথেই বেড়ে উঠেছি। এখন বিয়ে বলতে লিস্টে তিনজন আছি। বাবার বন্ধুদের মেয়েদের মধ্যে আমরা তিনজন মেয়ে ,তার মধ্যে ঝিলিক দিদি, সহেলী দিদি আর আমি।

আমরা ভাবতে পারিনি ঝিলিক দিদির আগে বিয়ে হয়ে যাবে। তার ওপর সহেলি দিদি সবার বড়। কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই ঝিলিক দির মা আমাদের জানালো যে ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে । তারপর আস্তে আস্তে সমস্ত কিছু এগোতে লাগলো। প্রথম যখন কানে শুনি যে ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ,তখন বিশ্বাস করিনি। কিন্তু যখন যার সময় হয় ,তখন তার বিয়ে হয়ে যায়। আমার মা একটা কথা খুব বলে - হওয়া ,মরা, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। আর সত্যিই এই কথাটা আসলেই সঠিক। কখন যে কি হতে চলেছে, আমরা তো কেউ জানিনা।

20250219_162607.jpg

বিয়ে একটা খুবই শুভ জিনিস। তাই যখন আমরা শুনলাম যে ওর বিয়ে হতে চলেছে, স্বাভাবিকভাবে আমরা সবাই মিলে ওকে খুব আশীর্বাদ করলাম যেন ও ভালো থাকে। যেহেতু খুব কাছের সম্পর্ক তাই আইবুড়ো ভাতের সময় থেকেই আমাদের সকলের নিমন্ত্রণ ছিল। বিয়ের আগের দিন গিয়ে ওর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে এসেছি ।

যেদিন ওর আইবুড়ো ভাত ছিল আমার স্কুলের ট্রেনিং চলছে, তাই স্কুল শেষ করেই সাড়ে চারটা নাগাদ খেতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ওর বোন সুন্দর করে হাতে মেহেন্দি করেছে। অনেক দূর থেকে একটা মেহেন্দি আর্টিস্ট এসেছে মেহেন্দি করাতে। মেহেন্দি ডিজাইন টা দেখে আমার সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।

20250219_162635.jpg

তারপর ওর সাথে বসে অনেক অনেক গল্প করছিলাম। নতুন জামাইবাবুর সম্পর্কে শুনছিলাম। ওদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। তাই কিভাবে সমস্ত কিছু ঠিক হলো। আর ও কিভাবে রাজি হল ,সেটাই আমার কৌতুহল ছিল বেশি। কারণ ও সাধারণত বিয়ে নিয়ে একদম ভাবতোই না। আর ওরি আমাদের সবার আগে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এইজন্য বলে ,যারা বেশি বিয়ে নিয়ে লাফালাফি করে, তাদের বিয়ে দেরিতে হয়।।

1000217927.jpg

ওর বিয়ে হচ্ছে বহরমপুরে আর বহরমপুর আমাদের শহর কৃষ্ণনগর থেকে মোটামুটি দুই ঘন্টা যেতে লাগে। দুই ঘন্টা দূরত্বে চলে যাবে ও ,এটা ভেবেই খুব খারাপ লাগছিল। ঝিলিক দিদিরা দুই বোন।আমরা যতটা না বেশি কষ্ট পাবো, তার থেকে ওর বোন যে বেশি কষ্ট পাবে, সেটা বুঝতে পারছিলাম। কারণ ঈশান আর আমার মধ্যে যে সম্পর্ক, ওর আর ওর বোনের মধ্যেও সেই সম্পর্ক। ওর বোনের সমস্ত দেখভাল ওই করে। ওর বোন হওয়ার পর থেকেই ওর হাতেই মানুষ।। ঠিক যেমন আমি ঈশানকে ছোট থেকে বড় করে তুললাম।

যাইহোক, সেদিন আইবুড়ো ভাত যখন ওকে দেওয়া হচ্ছিল, আমি থাকতে পারিনি। তবে পরে এসে কিছুটা সময় ছিলাম। বিয়ের রাতের মুহুর্ত পরের পোস্টে শেয়ার করব। সেদিন ছবি তুলতে পারিনি বেশি। তাই মাত্র চারটে ছবি শেয়ার করলাম।

Sort:  
Loading...
Loading...
 5 months ago 

একদমই ঠিক কথা জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। সবকিছুই ভগবানের উপর নির্ভর করে। তোমার ঝিলিক দিদির বিয়েতে ভালোই মজা আনন্দ করে কাটিয়েছো। কৃষ্ণনগর থেকে অনেকটা দূরেই বিয়ে হয়েছে। আইবুড়ো ভাতের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

TEAM 7 ¡Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

1000098952.png

Curated By: @muzack1

 5 months ago 

আপনার বাবার বন্ধুদের মধ্যে আপনারা তিনজন মেয়ে রয়েছেন যে দিদির কথা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বড় ছোট বলে তো আর কখনো বিয়ে হয় না যার যখন যেখানে হবে সেটা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়ে থাকে যাইহোক ডিরেক্ট দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার সময় গুলো পার করেছেন যেটা দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।