আমার গাওয়া আরো একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার গাওয়া আরো একটি রবীন্দ্র সংগীত।
গান নিয়ে আমি আপনাদের আর নতুন করে কি বলব, গান ছাড়া জীবনটাকে কল্পনা করা যায় না। হয়তো আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত গান শেয়ার করতে পারি না। কিন্তু তাই বলে এমন নয় যে, আমার গান শোনাতে ইচ্ছা করে না। আসলে youtube এর মাধ্যমে আপনাদের এখানে আমি গান শেয়ার করে থাকি ।তাই সেই মতন রেকর্ড করতে হয়। সবকিছুর পরে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড টা একটা বিশাল ম্যাটার করে।
এছাড়াও ম্যাটার করে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি। এই জন্য সবসময় রেকর্ড করা হয়ে ওঠেনা ।কোন একটা হ্যাংআউট এ গাইতে বললে ,যেমন গান গেয়ে উঠি ,রেকর্ডিং ব্যাপারটা একদম অন্যরকম হয়। কারণ সেটা বছরের পর বছর টাইমলাইনে থেকে যায়। তাই কোন ভুল ত্রুটি অথবা বাজে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড খুবই বাজে শোনায়।
ভিডিও লিংক
লিরিক্স
ও চাঁদ,
চোখের জলের লাগল জোয়ার
দুখের পারাবারে,
হল কানায় কানায় কানাকানি
এই পারে ওই পারে॥
আমার তরী ছিল চেনার কূলে,
বাঁধন যে তার গেল খুলে;
তারে হাওয়ায় হাওয়ায় নিয়ে গেল
কোন্ অচেনার ধারে॥
এই শ্রাবণ মাসের ২২ তারিখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে আমি কিছু রেকর্ডিং করার চেষ্টা করছিলাম। আসলে একটা প্লাটফর্মে অনলাইন অডিশন এর জন্য আমাকে ভিডিওটা তৈরি করতে হতো।। এ কারণেই আরো গুছিয়ে বসা। যখন আমি গানের ভিডিও তৈরি করছি তখন আমার সাথে প্রচন্ড পরিমাণে সহযোগিতা করেছে আমার বাবা। আর তার সাথে কিছুটা পরিমাণ মা।
ভিডিও ধরে দেয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই আমার বাবার কৃতিত্ব। এমনকি গানে ভুল হলে সেখানেও কাট কাট বলে এমন ভাবে চেঁচাচ্ছিল ,মনে হচ্ছিল যেন আমি কোন সিনেমার শুটিং করছি।
বাবার এরকম পাগলামো দেখে আমার খুব হাসি লাগে আর সাথে খুবই আনন্দ হয়। কারণ এই মানুষটা আমার গান নিয়ে এতটা পরিমাণে ভাবে ,এতটাই আমার গানকে গুরুত্ব দেয়, এটা আমাকে বরাবরই খুবই মনের মধ্যে জোর দেয়।। নিজের মানুষজন যদি এরকম ভাবে পাশে থাকে, তাহলে কাজ করতে খুবই সুবিধা হয়। অনেক অনুপ্রেরণা এবং উন্মাদনা পাওয়া যায়।।
অডিশনের জন্য কি গান চুস করবো, বুঝতে পারছিলাম না সন্ধ্যেবেলা থেকে। হারমোনিয়াম আর তানপুরা নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে বিভিন্ন রকম গান গাওয়ার এবং রেকর্ড করার চেষ্টা করেছি ।কিছুতেই মন মত হচ্ছিল না। আর বুঝতেও পারছিলাম না ,কোন গানটা বেশি ভালো লাগছে ।
আমার মা যতটা গান সম্পর্কে বোঝে, তার থেকে অনেক অনেক বেশি বাবা বুঝতে পারে ,কারণ বাবা প্রচন্ড পরিমাণে গান শোনে। বাবা বিভিন্ন ধরনের গান শুনলেও সবথেকে বেশি ক্লাসিক্যাল গান আর রবীন্দ্র সংগীত শোনে। তাই বাবার মতামত এর ওপর আমি খুব পরিমাণে গুরুত্ব দিই।
বাবা যেহেতু কাজের জন্য বাইরে ছিল তাই ততক্ষণ আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। যেই না বাবা বাড়িতে এসেছে ,সাথে সাথে বাবাকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করলাম কোন গানটা গাইলে ভালো হবে। তারপরে বাবা এই গানটার কথা বলল ,বরাবরই এই গানটি বাবার অনেক পছন্দের। এমনকি আমার মায়েরও অনেক পছন্দের গান।
সেদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, তাই এই উপলক্ষে গানটি পুরোপুরি প্রযোজ্য। এ কারণে সকলের মতামত যখন একটা গানেই ঠিক হলো, তাই এই গানটাই রেকর্ড করতে বসে গেলাম।
রেকর্ড করার সময় কতবার যে অসুবিধা হয়েছে আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না ,রাস্তার মোড়ের মাথায় বাড়ি হলে যা হয়, সমস্ত গাড়িগুলো এসে আমার বাড়ির পেছনে হর্ন দেয়। রাস্তা দিয়ে গাড়ি তো যেতেই থাকে। রাতের বেলায় এত চেঁচিয়ে গান গাইতে সত্যিই কেমন কেমন লাগে। আর সব সময় রাতের বেলায় আমার বাবা অত এনার্জিও পায়না।
এ কারণে ওই সময় ঠিকঠাক ভাবে চেষ্টা করলাম। কিন্তু আলটিমেটলি অন্তরা অব্দি গাওয়ার পর সঞ্চারীতে যখন গাইছি ,তখন আবার গাড়ির প্রচণ্ড হর্ন। আর ওখানেই ভিডিও থামাতে হলো। তাই গানটির পুরো ভিডিও আমি রেকর্ড করতে পারিনি। শুধু স্থায়ী এবং অন্তরা রেকর্ড করতে পেরেছি ।
এটা নিয়ে আমার একটা বেশ বড় আফসোস আছে, তবে কোন একদিন অবশ্যই সম্পূর্ণ রেকর্ড করার চেষ্টা করব এবং সেটাও ইউটিউবে ছাড়বো। আপাতত আজকে এই গানটাই শুনে নিন ভিডিও লিংকে গিয়ে।
আশা করছি আমার আজকের এই গানটি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। এটা বৈতালিক ।হয়তো অনেকের বোরিংও লাগতে পারে। কিন্তু গানের মধ্যে একটা অন্যরকম আবেগ আছে।
Congratulations! This post has been voted through steemcurator08. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.