বাড়ির পুজোর দিন - ৩ য় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন বাড়ির পূজো নিয়ে গতকাল যেখানে শেষ করেছিলাম আজকে তারপর থেকে লেখা শুরু করছি।
ব্রাহ্মণ পূজো করা শুরু করলে বেশ অনেকটা সময় লেগেছে। আসলে হোম যজ্ঞ করতেও সময় লাগে। এত গরম ছিল সেদিনকে ।ধারণার বাইরে। আমি তো বারবার আমার ঘরে এসিটা চালিয়ে বসে পড়ছিলাম ।আর বাবা পুজোর ঘর থেকে বারবার ডাকছিল এবং ভীষণ বকা দিচ্ছিল। সকাল থেকে উপর নিচ করতে করতে শরীরটা আর পারছিল না ।এমনিতেই উপোস করেছিলাম। তার উপর অত ওঠা নামা।। এ কারণে একবার করে পুজোর ঘরে যাচ্ছিলাম আবার একবার করে নিজের ঘরে এসে বসে থাকছিলাম।
যজ্ঞের সময় আমি পুরোপুরি থেকেছি। ওই সময় আমার থাকতে বেশ ভালই লাগে। আগুনের ছবি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে।আগুনটা যখন উপরে উঠতে থাকে, তখন যখনই ফটোগ্রাফি করি, আগুনের আদব কায়দাগুলো একেক সময় একেক রকম ভাবে দেখতে লাগে ।আগুন থেকে সৃষ্টি এই আর্টের বিষয়টা আমাকে বারবার অবাক করে দেয়। আগে আমার বাড়ি পুজোর সময় যজ্ঞের আগুনের কিছু ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।
পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া করে নিয়েছি। রান্নাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার জুনিয়ররা অনেকক্ষণ আগেই চলে গিয়েছে। ওদের চলে যাওয়ার একটাই কারণ আসলে, সোমদত্তার দাদুর অপারেশন ছিল সেদিনকে, তাই বাড়িতে ওকে ফিরতেই হত।
আমরা প্রথম থেকেই ভেবেছিলাম ,গরমকাল তাই সকালবেলায় লুচি ও আলুর দম টাইপের কোন জিনিস করব না ।এরকম টাইপের কিছু করলে সকলেই সমস্যায় পড়তে পারে। ময়দা জাতীয় জিনিস খেলে সকলের পেট খারাপ করবে। আমরা প্লেন ভাত ,ডাল ,সবজি ,চাটনি, পাপড়, দই ,মিষ্টি এসবই দুপুরের আয়োজনে রেখেছিলাম।
পুজো হয়ে যাওয়ার পর আমরা সকলে এক এক করে খেয়ে নিলাম। লোকজন মিলেই একে অপরকে সাহায্য করেছি, কিছু জন খেতে বসেছে কিছু জন খেতে দিয়েছে।
ভাত খেতে বসার আগে সকলেই নারায়ণ ঠাকুরের প্রসাদ খেয়েছি । সিন্নি এত সুন্দর ভাবে তৈরি হয়েছিল ।বাবাই সিন্নিটা মেখেছিল লাস্টের দিকে। সিন্নি আমার বরাবরই ভালো লাগে খেতে।আমার বাড়ির লোকজনও খুব ভালোবাসে বলে একটু বেশি করেই বানানো হয়। আর সত্যনারায়ণের প্রসাদ মানেই সিন্নি। এটাই মেইন প্রসাদ বলা হয়। একবার তো আমি আপনাদের সকলের সাথে সিন্নি তৈরীর পদ্ধতিও শেয়ার করেছিলাম।
যাইহোক,সেদিন সন্ধ্যেবেলা থেকে লোক আসার কথা ।এই জন্য সিন্নি ও অন্যান্য প্রসাদ গুলো বেশি বেশি করেই রাখা হয়েছিল। পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর সব প্রসাদ গুলো ধরে আমার ঘরে নিয়ে চলে আসা হলো এবং এসি চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। কারণ গরমের মধ্যে প্রসাদ না হলে নষ্ট হয়ে যাবে ।সারাদিন এসি ঘরে ছিল বলেই প্রসাদ টা ঠিক ছিল এবং সন্ধ্যেবেলায় কাউকে দিতে গিয়ে কোন অসুবিধা হয়নি।।
আজকে এখানেই শেষ করছি সকলে ভালো থাকুন। পরের দিন পোস্টে আরো অন্যান্য গল্প নিয়ে হাজির হব।
Congratulations! This post has been voted through steemcurator08. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.