পরীক্ষা

in Incredible India7 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন ।আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার পরীক্ষার দিনগুলোর কিছু মুহূর্ত।

পরীক্ষা মানে একটা বিশাল বড় ঝঞ্ঝাট, তবে পরীক্ষা আমার কাছে ঝঞ্ঝাট এর সাথে মজার মনে হয়। এই ধরুন, অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ কোশ্চেনের উত্তর লেখা, সঠিক টাইমে পৌঁছানো, সঠিক টাইমে খাতা দেওয়া, পরীক্ষার আগের দিন অথবা পরীক্ষার দিন সকালবেলায় প্রচন্ড টেনশন নিয়ে পড়াশোনা করা- এই জিনিসগুলো ঠিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ভেতরে কিন্তু আর কাজ করে না ।

20250918_104345.jpg

পরীক্ষা আমাদের ভেতরে টাইম সংক্রান্ত ব্যাপারে সচেতনতা এবং নিজেকে যাচাই করার অথবা নিজের সাথে নিজের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার একটা রাস্তা দেখিয়ে দেয়।আর এভাবে আমরা নিজেকে চিনতে পারি। আমরা কেমন ,আমরা কেমন ভাবে এগোচ্ছি, এই পড়াশোনার জগতে আমরা কতটা জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি, আর এই জগতে আমরা কেমন ভাবে এগোচ্ছি সম্পূর্ণটাই এই পরীক্ষা আমাদের ওই অল্প সময়ের মধ্যে দেখিয়ে দেয়।

আপনারা নিজেরাই খেয়াল করে দেখুন পরীক্ষার শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ভেতরে ওই তাগিদ কিংবা ওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বিষয়টা অনেকটা কমে আসে। অনেকটা রিলাক্স ফিল হয়। আর কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে ,যেমন এখন লাগছে ।

IMG-20250913-WA0008.jpg

পরীক্ষার ওই কদিন এত ব্যস্ততা, এত কাজ, এত পড়াশোনা থাকে যে, চারিদিকের জগতে বাইরে শুধু বইয়ের পাতার দিকে তাকিয়ে থাকা। কখন পড়া শেষ করব আর প্রাক্টিকামগুলো কমপ্লিট দিতে পারব, সেই চিন্তা মাথা খেয়ে নিচ্ছিল ।আর এসব করতে করতেই আমরা কত কিছু করে ফেললাম। কতটা কাজ করে ফেললাম ,যে কাজগুলোকে বিরক্ত লাগছিল অথবা করতে ইচ্ছা করছিল না। সেই পড়া ,সেই কাজগুলোই কি সুন্দরভাবে সময়ের সাথে সাথে ম্যানেজ করে সমস্ত কিছু কমপ্লিট দিয়ে পরপর পরীক্ষাগুলো দিয়ে আসলাম।

পরীক্ষার কাছে আমরা সকলেই হার মেনে যাই। সেই পরীক্ষাতে ভালো একটা রেজাল্ট পাওয়ার জন্য আমাদেরকে পরি করতেই হয়। আমার মনে হয় পরীক্ষা আছে বলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারছি অথবা আমাদের ভেতরে পড়াশোনা সংক্রান্ত ব্যাপারে একটা চাহিদা রয়েছে, ভালো কিছু করার, উন্নতি করার একটা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

20250916_171752.jpg

পরীক্ষার দিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা সেরে ,স্নান করে নিয়ে রেডি হয়ে পড়েছিলাম ।সকালবেলায় বেশি পড়া হয় না ।তাই তার আগের রাতেই সমস্ত পড়াশোনা কমপ্লিট করে রেখেছিলাম। এবার আমাদের সিট পড়েছিল শান্তিপুরে। কৃষ্ণনগর থেকে মোটামুটি ৪০ মিনিট মতো লাগে। আমি আমাদের পার্সোনাল গাড়ি করেই শান্তিপুরে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। বারোটা থেকে পরীক্ষা ।বাড়ি থেকে তাই বেরোতাম সাড়ে দশটা নাগাদ। মোটামুটি সাড়ে এগারোটার অনেকটা আগেই পৌঁছে যেতাম। তারপরে তো পরীক্ষার হলে ঢুকে পড়তে হতো।।

IMG-20250913-WA0005.jpg

শান্তিপুর বিএড কলেজ প্রচন্ড ভীষণ স্ট্রিক ।ঘাড় ঘোড়াতে দেবে না। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করা তো দূরের কথা। প্রথম দিন পরীক্ষা দিয়ে সকলের মাথা গরম হয়ে গেছিল। এতটা করা গার্ড কে দেয়! বিএড এ এতটা বাড়াবাড়ি না করলেই নয়। !!
প্রথম দিকে সবার মাথা গরম থাকলেও শেষের দিন পরীক্ষা দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছিলাম ওরা গার্ড দেওয়াতে আমরা বানিয়ে লেখার ক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছি। হাহাহা।
আমি যদিও লেখালেখির ক্ষেত্রে ভয় পাই না। একটা টপিক দিয়ে দিলে অথবা বিষয় সংক্রান্ত ব্যাপারে সামান্য কিছু জানা থাকলে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারি।

আমাদের পরীক্ষা চলতো বারোটা থেকে দেড়টা অব্দি প্রথম কোর্সের এবং পরবর্তী কোর্সের পরীক্ষা থাকতো ঠিক তার এক ঘন্টা পরে আড়াইটা থেকে চারটে অব্দি ।আবার বাড়ির দিকে রওনা হতাম। প্রথম দিন কোথাও যাইনি তবে দ্বিতীয় দিন ফেরার সময় আমাদের কৃষ্ণনগরে ঢোকার আগেই শংকর হোটেল বলে একটা হোটেল রয়েছে।

20250918_170518.jpg
সরপুরিয়া আর কেশরীভোগ

ওই হোটেলের কেশরীভোগ মিষ্টি খুবই বিখ্যাত। সাথে সরপুরিয়া যেটা কৃষ্ণনগরের ফেমাস মিষ্টি, সেটাও ভীষণ ভালো খেতে। তাই ফেরার পথে ওখানে একবার ঢুকে মিষ্টি দুটো ট্রাই করেছিলাম। সরপুরিয়া চল্লিশ টাকা পিস। আর কেশরী হোক ১৫ টাকা পিস। মিষ্টি খাওয়া-দাওয়া করে গরম গরম চা খেয়ে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। ওখানে চাও দারুন বানায়।

20250918_165433.jpg

যাওয়ার সময় ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল ,ওয়েদারটাও মেঘলা ছিল, ঠান্ডা ওয়েদার ছিল। তাই সব মিলিয়ে সময়টা ভালোই কেটেছে। যে কটা ছবি তুলতে পেরেছি সময় করে, সে কটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আবার অন্য কোন দিন পোস্টে বাকি কথা শেয়ার করব।

Sort:  
Loading...

💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate

TEAM - 01


Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.

Curated by: abdul-rakib

Loading...