আরভীর জন্মদিনে
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন।গতকাল যে পোস্টটা লিখেছিলাম, তাতে জানিয়েছিলাম কলকাতা থেকে ডাইরেক নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাওয়ার কথা। আজকে তারপর থেকেই লেখা শুরু করছি।
খেতে খেতে ওদিকে দেখি ছোট্ট করে যেখানে স্টেজ মতো ওরা করেছে, যেখানে কেক কাটা হলো, সেখানেই একজন ভদ্রলোক তার টকিং ডলকে নিয়ে খুব সুন্দরভাবে তার এক আর্ট পরিবেশন করছে। কোলের মধ্যে ছোট্ট মত একটা টেডি বিয়ার জড়ানো এবং তিনি যেভাবে কথাগুলো বলছেন যেন মনে হচ্ছে তার কোলে থাকা ওই টিডিবিয়ার কথা বলছে।
এই শিল্প কিন্তু এখন অনেক কমে গেছে। কিন্তু কাকা অর্থাৎ যার জন্মদিন তার বাবা যে এই বিষয়টা মাথায় রেখে ,ব্যবস্থা করেছে। তা দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো। ওনার বলার আদব-কায়দা একদম বোঝা যাচ্ছিল না। খুব সুন্দরভাবে উনি অভিনয় করছিলেন এবং এমনভাবে এক্ট করছিলেন যে বাচ্চারা খুবই খুশি হচ্ছিল ।এবং আনন্দ পাচ্ছিল। ওরকম একটা টেডি বিয়ারকে কথা বলতে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চাদের আনন্দ হবে।
ওখানে ওনার অনুষ্ঠান কিছুক্ষণ চলার পর আমাদেরই মধ্য থেকে একজন মেয়েকে দেখলাম স্টেজে ডান্স করতে উঠে আসলো। সে মেয়েটি ওদের পরিবারেরই একজন ।বেশ সুন্দর একটা বলিউড গানে সকলের সামনে নৃত্য পরিবেশন করল ,আর বাচ্চারা নাচ দেখে নিজেরাও লাফালাফি করতে শুরু করল। তারপর যখন মেয়েটি নেমে আসলো বাচ্চাগুলোকেও দেখলাম স্টেজের উপরে উঠে নাচানাচি করতে লেগেছে ।
ছোট বয়সটাই কত ভালো, তখন আমাদের মাথায় থাকে না , কে কি বলবে ,কে কি ভাববে ।আর যত আমরা বড় হই, তত নিজেদের থেকেও বেশি লোকের কথা আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। লোকে কি বলবে সেটাই আমাদের কাছে সবথেকে বড় ম্যাটার হয়ে দাঁড়ায়।
বাচ্চাদের থেকেও তাই মাঝে মধ্যে আমাদের কিছু শেখা উচিত।
যাই হোক ওদের নাচানাচি হয়ে যাওয়ার পরে আমাকে আবার স্টেজে কাকিমা ডেকে নিল গান গাওয়ার জন্য ।আমি ছোট বাচ্চাদের জন্য বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে গানটা গাইলাম ।বাচ্চারাও বেশ আনন্দ পেল। আরও একটা গান গাওয়ার জন্য বলা হচ্ছিল ,কিন্তু আমার এত খিদে পেয়েছিল বলে আমি উপরের দিকে যেখানে খাওয়ার জায়গার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে চলে গেলাম।
কাকাদের বাড়ি তিনতলার ছাদে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। খাবার এর মেনুটা আমি আর লিখতে গেলাম না ,আপনারা নিজেরাই দেখে নিন।
দু'রকম মেনু রাখা হয়েছিল ।তাই বলে এমন নয় যে ,এই ধারের মেনুটা নিলে ওই ধারের মেনু নেয়া যাবে না ।আপনি মিলিয়ে মিশিয়ে মেনু নিয়ে খেতে বসতে পারেন। বেশির ভাগ মানুষ বিরিয়ানি নিয়েছে ,আমি তো তাই নিয়েছি ।তবে পমফ্রেট মাছ হয়েছিল বলে আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম, কারণ মাছটা আমার খুবই পছন্দের।
জম্পেশ খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ হল। তবে শরীর আর পারছিল না ।যেহেতু সেই সকাল ছটা থেকে দৌড়াদৌড়ির ওপর লেগে আছে ,অনুষ্ঠান বাড়িতে কি রকম লোকজন থাকে তা হয়তো আপনারা জানেন। তাই অনেকেই বাড়িতে অনুষ্ঠান করতে চায়না। লজে করে থাকে ।তবে ওদের বাড়িটা বেশ বড় ।আর লোকজনও ছিল হেল্প করার জন্য। তাই বাড়িতেই জন্মদিনটা সেলিব্রেট হয়েছিল।
খাওয়া দাওয়ার পরে আমরা আবার কোল্ডড্রিংস খেলাম ,যাতে হজম হয়ে যায়। তারপরে তো সোজা বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি ।সকলে ভালো থাকুন।।
