অষ্টমীর দিন - শেষ পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি অষ্টমীর সন্ধ্যাবেলার তৃতীয় পর্ব। আর এটাই শেষ পর্ব ।পরপর পোস্টে অষ্টমী সন্ধ্যেবেলায় ঠাকুর দেখার মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছিলাম। রাতের দিকটা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বেশ অনেকগুলো ঠাকুর খুব ভালোভাবেই বাইকে করে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় ।বেশি সময়ও লাগে না কিন্তু যদি টোটো নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হতাম ,তাহলে হয়তো রাস্তাতেই আটকে থেকে যেতে হতো অনেকটা সময়। যেহেতু পূজোর দিনগুলোতে বেশ রাস্তাঘাটে জমজমাট হয়ে থাকে, গাড়ি আর মানুষের একসাথে ভিড় বাঁধিয়ে দেয় রাস্তায় । এ কারণে আমার মতে বলে পুজোর দিনগুলোতে বাইকে করে ঘুরে বেরোনো বেটার।
সেদিনকে যদি রাজু কাকা আমাকে না নিয়ে যেত, তাহলে বাবাকে হয়তো দুইবার ঘুরতে হত। মানে মাকে আর ভাইকে নিয়ে একবার ঠাকুর দেখে আসতে হতো। তারপর আবার আমাকে নিয়ে বের হতে হত।
রাজু কাকার ক্ষেত্রেও তাই হয়। কাকা গাড়ি করে যেতে যেতে গল্প করছিল। কাকা নাকি একবার কাকিমাকে নিয়ে ওই একই ঠাকুর দেখে এসেছে ।তারপরে আবার কাকুর দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে পুনরায় ওই একই ঠাকুর দেখতে হয়েছে ।কাকার কাছে এগুলো খুবই বিরক্তিকর। স্বাভাবিক ,আমাদের কাছেও বিরক্তিকর হওয়ারই কথা।
সবকিছুর একটা বয়স থাকে। আমরাও হয়তো ওই বয়সে এত ঠাকুর দেখা পছন্দই করব না। পূজোয় নতুন জামা পড়াটাও খুব বিরল হয়ে দাঁড়াবে ওই বয়সে। সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা গুলো পরিবর্তন হতে থাকে। এর সাথে পরিবর্তন হতে থাকে আনন্দের উৎস ।এখন যে কারণে আমরা আনন্দ উপভোগ করতে পারি, সে কারণটা চেঞ্জ হতেই পারে পরবর্তীতে।।
পাত্র বাজারে ঠাকুরটা প্রত্যেক বছর ভালো করে। এমনকি প্যান্ডেলটাও সুন্দর হয়। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় তো বেশ বড়সড়ো করে প্যান্ডেল হয়। দুর্গা পুজোতেও বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলে ওরা। সব ঠাকুর দেখার শেষে আমরা তাই চলে গিয়েছিলাম ওখানে ।কিছুক্ষণ থেকে তারপর বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে ।বাড়ি যেতে যেতে মনে পড়ল কিছু খাওয়া-দাওয়া করা হয়নি। যেহেতু শরীরটাও খারাপ ছিল ,তাই আইসক্রিম ফুচকা ওসব খেলে হবে না।
ভাবলাম একটু মোমো খাওয়া যাক। ঠান্ডা লেগে সর্দি থাকা অবস্থায় গরম গরম মোমো খেতে বেশ ভালো লাগে অথবা সুপ ।তাই চলে গেলাম wow মোমো তে। রাস্তাঘাটে এখন পোকা দিয়ে চাওমিন আর এগ রোল অথবা মোমো রান্না করছে। তাই ওর থেকে বেটার এখানে বসে খাওয়া। তাই ওখানে চলে গেলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি জায়গা নেই।
তাই ভাবলাম প্যাক করে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে খেতে পারব। একটা কমবো অর্ডার করেছিলাম ।কম্বতে ছিল দুটো বার্গার ,একটা প্যান ফ্রাইড ভেজ মোমো।। সাথে ছিল কোলড্রিংস। সব মিলিয়ে ২৭০ টাকা মতো পড়েছিল। যদি নরমাল স্টিম মোমো নিতাম, তাহলে ২১১ টাকা পড়তো।
১০ মিনিট ওয়েট করতে হল। তারপর আমাদের প্যাক করে দিয়ে দিল। বাড়ি এসে আমি আর ঈশান সেটা নিয়েই বসে পড়লাম খেতে। এই ভাবে অষ্টমীর দিন টা আমার কেটে গেল ।আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন ।নবমীর দিনের গল্প পরের পোস্টটা শেয়ার করব।।