নার্সারীতে কি কি গাছ কিনালাম
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করেছিলাম, আমার হঠাৎ করেই নার্সারি যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। নার্সারি থেকে কি কি গাছ কিনেছি, জানিয়েছিলাম সেটা আজকে শেয়ার করব, তাই আজকে সেই নিয়ে পোস্ট লিখতে চলেছি।
গাছ কার নাহ ভালো লাগে , আমার মনে হয় গাছ জিনিসটা আমাদের সবারই ভালো লাগা উচিত। গাছ ছাড়া একবার পৃথিবীটাকে কল্পনা করে দেখুন। চারিদিকে খালি দুর্ভিক্ষ আর মরুভূমির মতো মনে হবে। অতিরিক্ত গরমে অনেকক্ষণ জল না খেতে পেলে আমাদের পিপাসায় শরীরের ভেতরটা যেমন ছটফট করে, গাছ ছাড়া আমার মনে হয় পৃথিবীটা সে রকম ভাবেই ছটফট করতো।
গাছ এমনিই সুন্দর ,তার সাথে মাঝে মধ্যে ফুটে ওঠা, এই রংবাহারি ফুলেরা যেন গাছগুলোকে আরো সুন্দর করে তোলে, পৃথিবীতে মায়া যদি থেকে থাকে। তাহলে আমি বলব , গাছেদের প্রতি আমারও মায়া আছে।
কি অসম্ভব সুন্দর গাছেদের দুনিয়া। এক একটা গাছ এক একরকম। তাদের ফুল ফল বিভিন্ন ধরনের। আর গাছের দুনিয়া এখন বলতে গেলে নার্সারি তে গিয়ে বেশি ভালো দেখা যায়। কারণ চারিদিকে মানুষ এখন কংক্রিটের দেয়াল তুলছে, গাছ এত পরিমাণে কাটছে যে, তাদের দুনিয়াটা শেষ করে দিচ্ছে। মানুষ বুঝতে পারছে না গাছের দুনিয়া শেষ করলে ,আমাদের দুনিয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কিছু কথা একেবারে ভেতর থেকে বলা। যারা ভালোভাবে পড়বেন তাদের অন্তত একটু হলেও মাথায় ঢুকবে। যাই হোক এবার চলে আসি কি কি গাছ কিনেছি সেগুলোতে।
স্থল পদ্ম
নিচের এই ফুল টা দেখেই বুঝতে পারছেন এটা এক পাপড়ি যুক্ত স্থলপদ্ম ।এই গাছ মাকে আমি এর আগে দুইবার এনে দিয়েছি। তবে সাদা রংয়ের একটা পোকা গাছগুলোতে এমন ভাবে ঢেকে ফেলে এবং পরবর্তীতে গাছগুলো মরে যায় ।এ কারণে পরপর দুটো গাছ নষ্ট হয়ে গেছে।
কিন্তু এই গাছের ফুলটা আমার এতই পছন্দ যে, এবারে যখন নার্সারিতে গিয়ে আবারো এরকম একটা ফুল দেখতে পারলাম। আমি আর নিজেকে আটকাতে পারলাম না ।তাই এই গাছের একটা চারা কিনে নিয়েছিলাম। স্থলপদ্ম গাছের চারার দাম নিয়েছিল ৫০ টাকা। ভারতীয় দামে ৪/৫ steem.
পোকা হলে কীভাবে কি করতে হবে। সব শুনে এসেছি এবার ।
বেগম বাহার
এই গাছটি আমি এর আগে কখনোই দেখিনি। নার্সারিতে গিয়ে জানতে পারলাম এই গাছের নাম বেগম বাহার। বেগম বাহারের মাধুর্যতা ফুলেই ,সেটা ফুল দেখেই আপনারা বুঝতে পারছেন, আশা করছি। এই গাছটিও আমি একটা কিনে নিলাম। ৫০ টাকা নিল।
ফুরুস
এই গাছটা আমার অত্যন্ত পছন্দের। নার্সারিতে গিয়ে দুই ধরনের কালার দেখেছি। একটা লাল রঙের একটা গোলাপি রঙের আর দুটো গাছই কিনেছি ।এই গাছকে ফুরুস গাছ বলা হয়। জারুল গাছ আপনারা যদি দেখে থাকেন ,তাহলে আপনাদের অবিকল সেরকম মনে হবে। তবে জারুল অনেক বড় গাছ। আর বলা যেতে পারে এটা জারুলের ছোট ভাই। এই গাছ আমার ৫০ টাকা করেই পড়েছে।
আমি লাল আর গোলাপি ফুরুস র ছবি দিয়ে রাখলাম। আমি যেগুলো কিনেছি সেগুলো তো চারা, ওরা বড় হলে এতটাই বড় হয়ে যাবে।
অলকানন্দা
নিচের যে গাছটা দেখতে পাচ্ছেন, সেটা হয়তো আপনাদের অনেকেরই পরিচিত। এটা অনেক ধরনের রঙের হয় ।বিশেষ করে হলুদ রঙের দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছের নাম অলকানন্দা, ইংলিশে এটাকে Allamanda বলা হয়। এই গাছটাও আমার এত সুন্দর লাগলো আমি না কিনে থাকতে পারলাম না। তবে কুড়ির যে রংটা দেখছেন, আমি সেই রঙেরই কিনেছি। গাছটা একটু ঝোপ প্রকৃতির হয়।। আবার এই গাছ লতানো পাওয়া যায়।
এটা আমার ১০০ টাকা মত দাম নিয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় দামে প্রায় ১০ steem.
চিত্রা
এবার যে গাছটা শেয়ার করছি এই গাছের নাম চিত্রা। ফুলটা যে কি অসম্ভব সুন্দর দেখতে ,তা আপনাদের কোন একদিন পোস্টে শেয়ার করব। যখন গাছটা কিনি তখন ফুলের ছবি আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম ,তাই সেটা ফটোগ্রাফি পোস্টে শেয়ার করব।
বাড়িতে আসার পরে হাওয়াতে গাছের এই দুর্দশা হওয়াতে ফুলগুলো এরকম হয়ে গেছে। তাই ছবিতে হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন। সারা গাছ জুড়ে এরকম ধরনের রঙের ছোট ছোট ফুল । এত সুন্দর দেখাচ্ছিলো। আমি আর না কিনে থাকতে পারলাম না। এটার দাম নিয়েছে ৫০ টাকা।
এরিকা
এবার আসি আসল কথায় যে গাছটা একচুয়ালি আমি কিনতে গেছিলাম সেটার নাম হলো এরিকা। আমি আমার ওপরের ঘরের জন্য দুটো এরিকা গাছ কিনতে গিয়েছিলাম। যেটা ট্রলিওয়ালা ১২০ টাকা করে বিক্রি করছিল। সেই গাছ ৭৫ টাকা করে পেয়েছি নার্সারি তে। দুটো নিয়েছি। এই গাছ আপনারা হয়তো দেখেছেন। এটাকে ইংলিশে Areca palm ও বলে। ৭৫ টাকা করে অর্থাৎ ভারতীয় দামে ৭.৫ steem.
সমস্ত গাছ কেনা হয়ে যাওয়ার পর বিল হল ৫৫০ টাকা। ভারতীয় দামে মোটামুটি ৫২ steem । আট টা গাছ কিনেছি। আর সবকটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।তারপর ওদের কাছ থেকেই একটা ব্যাগ নিলাম। যেহেতু আমি কোনরকম ব্যাগ নিয়ে যাইনি।। ওরা ফ্রিতেই আমাকে একটা ব্যাগ দিল। তারপর ওখানকার একজন স্টাফ আমাকে আর ভাইকে একা দেখে ,আমাদের একটু সাহায্য করল। যেহেতু মেন রোড তাই রাস্তাটা পার করে দিয়ে আমাদের টোটো তে তুলে গাছগুলোকেও টোটো তে তুলে দিল।। তারপর তো আমরা ডাইরেক্ট বাড়িতেই নেমেছি
ব্যবসাদারদের এরকম আতিথেয়তা থাকলে তবেই কাস্টমার আর বেশি যেতে চাইবে ।আর ওদের ব্যবহার সত্যিই অনেক ভালো। কি কি গাছ কিনেছি, তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও ভালো লাগলো ।আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন।
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
প্রত্যেকবারই নার্সারিতে গিয়ে বিভিন্ন রকমের গাছ কিনে নিয়ে আসো। তোমার সাথে আমিও না নার্সারিতে গিয়ে অনেকবার বিভিন্ন রকমের গাছ কিনে নিয়ে এসেছিলাম। তবে সুন্দর ফুল গাছ গুলো কিনে নিয়ে এসেছো দেখে খুব ভালো লাগছে। দিয়ে যাওয়ার সময় ওই ফুল গাছগুলো চোখে পড়ে একা একা তে বেগুনি রং লাল রং সাদা রং সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে।