বাড়ির পুজোর দিন - ৫ ম পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গত কিছু পোস্ট ধরে আমি বাড়ির পূজোর দিনের মুহূর্তগুলো আপনাদের সকলের সাথে আস্তে আস্তে শেয়ার করছি। আজকে পরবর্তী পার্টটা শেয়ার করছি।
পুজোর দিন আমাকে শাড়ি পড়তে বৌদি অনেকটাই সাহায্য করল । বৌদি বলতে আমার পাশের বাড়ির মৌসুমী বৌদি।তারপরে বৌদি আবার বাড়িতে চলে গেল নিজে রেডি হওয়ার জন্য। বৌদিও আমার মতনই প্ল্যান করেছিল ভালোভাবে সাজুগুজু করবে।
আসলে আমাদের এই দুই বাড়ির মধ্যে এতটাই এখন ভালো সম্পর্ক যে আমাদের বাড়ির পুজো হলে সেটা একেবারেই যে অন্য বাড়ির পুজো হচ্ছে, তা বৌদির কাছে মনে হয় না । নিজের মতন করেই ও আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করে। অনুষ্ঠানে বাড়ির মানুষের মতনই অ্যাটেন্ড করে এবং সেরকমভাবে আমাদের সাহায্য করে।। সত্যি বলতে আমিও এরকম একটা বৌদি পেয়ে অনেক হ্যাপি। ও আমার বন্ধু, আমার দিদি ,আমার বৌদি সবকিছুই।
যাইহোক যখন ও রেডি হতে গেল,ততক্ষণে আমি রেডি হয়ে চারিদিকটা ঘুরে দেখতে লাগলাম। প্রথমে সবকিছুর আগে আমার মাকে রেডি করার চেষ্টা করলাম। মা সাজুগুজু করতে বেশি ভালোবাসে না। সেদিনকে ভালো একটা শাড়িও বার করে পড়তে চাইছিল না।
সকাল থেকে মায়ের অনেকটা পরিশ্রম গেছে এমনকি দুপুরবেলাতেও মা ঠিকভাবে ঘুমাতে পায়নি।।
তাই মা সাজুগুজু করতে চাইছিল না । কিন্তু আমি জোর করেছিলাম, তাই মা সেজেগুজে রেডি হয়ে বসে ছিল আমার ওপরের ঘরে। প্রসাদ দেয়ার জন্য সিন্নি টা আরেকটু ভালোভাবে মেখে নিচ্ছিল আর সাথে কিছু ফল কেটে রাখছিল।। আসলে পুজোর প্রসাদ তো সকলকে দিতেই হবে ।তারপরে তো অন্ন প্রসাদ রয়েছে।
তখনও লোকজন সেভাবে আসা শুরু করেনি। আমরা একবার ওপর একবার নিচে যাতায়াত করছি। কারণ মেঘ করেছে প্রচন্ড। আর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর মেঘ ডাকছে সন্ধ্যেবেলা থেকে। এই কারণে আমাদের সকলের ভেতরেই একটা ভয় কাজ করছে।
আসলে আমরা খাওয়া-দাওয়ার প্ল্যানটা পুরোপুরি ছাদে ব্যবস্থা করেছিলাম। ছাদে সুন্দর করে আগের দিন মায়ের সাজানো গোছানো গাছগুলোকে সাইড করে ছাদটাকে সাজানো হয়েছিল চারিদিক দিয়ে। গাছ দিয়েই ছাদটাকে এত সুন্দর সাজানো যায় আমি ভাবতে পারিনি।
একপাশে তো রান্নার কাজ হচ্ছিল। রান্নার জিনিসপত্র সমস্ত তিন তলার ছোট ঘরটাতে রাখা হয়েছিল। মাসিরা রান্না করে সমস্ত কিছুই তিন তলার ঘরের মধ্যে রেখে গিয়েছিল।
এখান থেকেই নিয়ে নিয়ে সব দেওয়া হবে। আর চেয়ার টেবিল সুন্দর ভাবে পাতা হয়ে গিয়েছিল ।এবার যদি খেতে বসে ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে ,তাহলে একটা কেলেঙ্কারি ব্যাপার হবে।
এ কারণে প্রায় দুবার আমাদের দাদারা মিলে একবার উপরে একবার নিচে অলরেডি টেবিল আর চেয়ারগুলোকে নামানামি করেছে। চারটে টেবিল আর প্রায় 16 টা চেয়ার প্রায় দুবার ওঠানো নামানো একটা বিশাল পরিশ্রমের ব্যাপার, আপনারা বুঝতেই পারছেন।
ওরা কিছুটা চেয়ার আর টেবিল নামিয়ে রেখেছিল, যদি বাই চান্স ঝড় বৃষ্টি আসে, যাতে ওদেরই সুবিধা হয় বাকি জিনিস নামাতে।। পরবর্তীতে সেগুলোকে আবার ওপরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝড় বৃষ্টি না আসাতে। কিছুটা সময় এই টেবিল চেয়ার নিয়ে আমরা পাগল হয়েছিলাম।
যাইহোক পরবর্তী পোস্টে আরো অনেক অনেক গল্প শেয়ার করব। এখানেই শেষ করলাম আজ।
Your home puja day was filled with love, effort, and anticipation. Your aunt's help and support meant a lot to you, and it's lovely to see the close bond between your families. Your mom's initial hesitation to get ready, despite her hard work, shows her dedication to the ceremony. The preparations on the roof, with the decorations and food arrangements, must have been quite an undertaking, especially with the looming threat of rain. Your grandparents' efforts to move the tables and chairs up and down to ensure everything was safe were impressive. You must have had a great day at home with your family and all your pictures are just as good. We still spend time with our family and it's remains a memorable place for us.