চারকোল স্কেচ
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই । খুব তাড়াতাড়ি পূজো চলে গেল। সেদিনকেই পূজো হল। তারপরে পর পর পর দুদিন বিসর্জন। কালকে রাতেও আমি বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলাম বাবা মার সাথে। আমার সত্যি খুব মন খারাপ করছে সকাল থেকে এ কারণে। আমি সকাল বেলায় মানে যখন সকালের খাওয়া হয়ে গেল, তারপর আমি সাইকেল নিয়ে একবার আমাদের বারোয়ারিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে মন্দিরের ওই জায়গাটা ফাঁকা দেখে আমার খুব খারাপ লাগছিল। পুজোর সময় খুব মজা করেছি। আর যেহেতু বাড়িতে আমার একটা পিসি এসেছিল তাই আরো মজা হয়েছে। যাইহোক আবার স্কুল শুরু হয়ে যাচ্ছে। সামনে পরীক্ষা আছে। তাই আবার আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
যাইহোক আজকে আমি আঁকতে চলেছি একটি চারকোল এবং পেন্সিল স্কেচ। আমি কোনদিন চারকোল দিয়ে ছবি আঁকিনি। কিন্তু আজকে আমি একটি চারকল দিয়ে সিনারি আঁকতে চলেছি। যাই হোক আমি বলি যে আমার যেই বন্ধুটা আছে যার নাম অভিরূপ, সে চারকোল দিয়ে খুব ভালো ছবি আঁকতে পারে। তার দেখে দেখেই আমার মনে হল আমিও একটি চারকোল দিয়ে ছবি আঁকি। তাই পটাপট আমাদের গুগল বাবাকে বের করে, সার্চ করলাম। কিন্তু আমাদের google বাবা তো ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে সব জিনিস দেখায়। তাই জন্য দেরি হল খুঁজতে ।তারপর আমি একটা ছবি সিলেক্ট করলাম। ওর মধ্যে থেকে ফটাফট ট্রাইপড আর দিদির মোবাইলটা নিয়ে শুরু করে দিলাম ছবিটা আঁকতে ।যাই হোক তারপর শুরু করে দিলাম আঁকতে। কিন্তু আমার আঁকার সময় বারবার পেন্সিল ছাড়াতে হচ্ছিল ।
যাই হোক এবার ছবি আঁকার স্টেপগুলো আলোচনা করি।
লিংক
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি পেন্সিল দিয়ে পাহাড়টা একে নিচ্ছি।
দ্বিতীয় ধাপ
পাহাড়ের আউটলাইন টা করে নেওয়ার পর আমি পাহাড়ের বাঁদিকের গাছের কিছুটা অংশ এঁকে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
আমি এবার ব্যাকগ্রাউন্ডে শেড দেয়া শুরু করলাম। মানে পাহাড়ে পেছনদিকে।
চতুর্থ ধাপ
তারপর পাহাড়টা আবার ভালো করে একে নিলাম। কালো কালি ব্যবহার করলাম। আর পাহাড়ের আলো ছায়া বোঝাতে সেড দিতে লাগলাম।
পঞ্চম ধাপ
পাহাড় পুরোপুরি আঁকা হয়ে যাওয়ার পর গাছগুলো এঁকে নিলাম। পরপর সবকটা গাছ আমি একে নিয়েছি, একইভাবে।
ফাইনাল
এভাবে আমি একটা চারকোল স্কেচ আঁকলাম। আসলে আজকে আমার টিউশন পড়াতে এসছিল আমার ম্যাডাম। তাই আমার পোস্ট করতে দেরি হয়ে গেল। ম্যাম যেতে যেতে অনেকক্ষণ পরে গিয়েছে। ম্যাম বলতে পাপিয়া দিদি।
একদম ঠিক কথা বলেছো পুজো আসছে আসছে এটাই খুব ভালো লাগে। কিন্তু পুজোর দিকগুলো যে কিভাবে কেটে গেল সেটা বুঝতেই পারলাম না। এখন পুরো কৃষ্ণনগরই থমথমে হয়ে গেছে। তোমার মত আমারও প্রচন্ড মন খারাপ করছে। যেহেতু প্রত্যেক দিনে আমি মামার বাড়ি তে যাই তাই মন্দিরের দিকে তাকালে মন্দিরটা পুরো হাহা করে। পরপর দুদিন বিসর্জন দেখতে আমিও গিয়েছিলাম। পরপর দুদিন বিসর্জন দেখে তো আমার প্রচন্ড শরীর খারাপ। তোমার চার গোল সিনারি আঁকা খুব সুন্দর হয়েছে। তুমি এই ভাবেই প্রত্যেকদিন একটা করে ছবি আঁকতে আঁকতে বেশ ভালোই ছবি আঁকা শিখে গিয়েছো। আরো ভালো ভালো ছবি আঁকতে হবে আর আমাদের মাঝে শেয়ার করতে হবে।