মেয়ে জন্য, ক্রিম কেক তৈরি করা।
আমার মেয়ে কেক খেতে ভীষণ পছন্দ করে, সাথে আমিও সে টা ক্রিম কেক কি বা যে কোনো কেক,আমি মাঝে মধ্যেই বাসায় তৈরি করি , কিন্তু আজ হয়েছে কি সকাল বেলা ডিপ ফ্রিজ থেকে আমি সবকিছু বের করে পরিষ্কার করছিলান , তখন আমার মেয়ের চোখে পড়েছে ক্রিম টা,আর সেই থেকে শুরু হয়েছে তাকে একটা কেক ক্রিম বানিয়ে দিতে হবে, এই আজব কান্ড আর বলা মাত্র এক সেকেন্ডও ধৈর্য ধরার কোন ইচ্ছা তার নেই এখনি দিতেই হবে।
কেক বানানোর জন্য সবকিছুর একটু গোছানোর ব্যাপার ছিলো,হাতে আমার বেশ কাজ সবকিছু ফেলে রেখে এখন তাকে নিয়ে কেক বানাতে বসতে হচ্ছে।কি আর করার মেয়ে আবদার না শুনলে তো উপায় নাই, তাছাড়া সন্তানরা কিছু খেতে চাইলে সে টা না বানিয়ে দিতে পারলে মন টা শান্তি পাওয়া যায় না,।
এরপর মেয়েকে নিয়ে শুরু করলাম কেক বানানো, প্রথমে সব কিছু বের করে টেবিলের উপরে রেখে দিলাম , আমাকে কোন কিছু দিতে দিবে না মেপে দিতে হবে আমার মেয়ে সবটা দিবে,ডিম ফাটিয়ে মিশাতে যে কি পছন্দ করে, বেশ খুশি হয়, এরপর একটা পাত্রে আমি সবকিছু দিলাম এবং ওর হাত দিয়েই খানিক টা মিশিয়ে দিলো,এরপর বাকি কাজটা আমি সম্পূর্ণ করে। রাইস কুকারে একটা বানিয়ে নিলাম।
এরপরে অন্যদিকে,আমি হুইপ ক্রিমটা বিট করে রেডি করে নেই , তবে বিট করার সময় আমাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে , আমার মেয়ে তখন এত দুষ্টামি শুরু করছে, বাচ্চারা বড়দের দেখা দেখি সবকিছু শিখে , যেমন আমার মেয়ে আমি যেটা করব ও সেটা করতে যাবে, এখন খানিক টা বড় হয়ে গিয়েছে। যেটা বলবে সেটাই শুনতে হবে না হলেই বাহানা শুরু হয়ে যায়।
এরপরে কোন মতে কেক টা কে ক্রিম দিয়েছি খুব ভালো মতো দিতেও পারেনি, আমার মেয়ে সাজানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, আর সাজানো ঠিকমতো হয়নি তার আগে কেকটা কাটার জন্য রেডি। কেক টা ঠিক মত সেট হতে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখা দরকার ছিল। কিন্তু সে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছিল না,,।
অন্যদিকে আমার শাশুড়ি আম্মা বলতেছিলো কোন দরকার নাই, এত সুন্দর করে কেক ক্রিম দেওয়া, কোন মতে হলেই হবে তুমি আগে ওকে শান্ত করো,তাইতো কি আর করার এমন ভাবে কেকটা কে রেডি করলাম, এরপরে ঠিক তখনই সবাই মিলে কেটে খেয়ে নিলাম।
তবে,কেক টা যেমন এই দেখতে হোক খেতে কিন্তু ভীষণ মজার হয়েছিলো,নিজের হাতে এই প্রথম একটা ক্রিম কেক বানিয়ে ফেললাম। মেয়ের সাথে সাথে আমিও কিন্তু ভীষণ উপভোগ করেছি।সন্তানদের কে এরকম ছোট ছোট আনন্দ দিতে পারে না ভীষণ ভালো লাগে, একটা সময় বড় হয়ে যাবে হয়তোবা আমার থেকে অনেকটা দূরেও থাকবে তখন ও এসব মনে করে যখন মা কে মনে করবে তাতেই আমি খুশি।
যাইহোক হাজার ব্যস্ততার মাঝে মেয়ের সাথে এরকম সুন্দর একটা সময় কাটাতে পেরে সত্যি আমি অনেক আনন্দ বোধ করছি। আজ এ পর্যন্ত রাখছি সবাই ভালো থাকবেন।।

দব বাচ্চারাই কেক খেতে পছন করে ।আমার ছেলেরা এত বড় হয়ে গেছে তারপরও কেকের জন্য পাগল।
বাচচাদের পছন্দের জিনিস হাতে যতক্ষন না পায় ততক্ষণ অস্থির হয়ে যায় ।এজন্যই আপ্নার মেয়ে কেক ঠান্ড হওয়ার আগেই খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পরেছিল।
আপ্নার নেয়েকে সাথে নিয়ে কেক বানানোর খাওয়ার বিষয় নিয়ে পড়ে ভালে লাগলো।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন সবসময় এই দোয়া করি ।
@ruthjoe
Thank you so much for your encouraging support,ma'am.