মা, ছেলে মিলে বিকাল বেলা হাঁটতে যাওয়া ।
কি অবস্থা সবার? আশা করছি বেশ ভালো। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। শুকরিয়া আদায় করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে তিনি সুস্থ রেখেছেন, আজকের পোস্টটা একটু অন্যরকম আমার কাছে তো বেশ ভালো লেগেছে, জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে।তবে আমি আশাবাদী খুব একটা খারাপ লাগবে না পড়া শেষে।
এত এত ব্যস্ততার মাঝে না সে কখন যে একটু একা একা হাঁটতে বের হয়েছিলাম আমি নিজে সত্যি জানিনা, শাশুড়ি আম্মা মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে আমাদের পূরণ বাড়িতে , আর তাই আমিও ছেলেকে নিয়ে একটু হাঁটতে বের হলাম আমাদের বাসার একদম সাথে রাস্তা এক মিনিটের মত হয়তো বা লাগতে পারে রাস্তায় উঠতে, তাও যদি আপনি ধীরে ধীরে হেঁটে যান,,,
এক পাশে রাস্তা থাকলেও বাড়ির অন্যপাশ গুলো দিয়ে শুধু পুকুর কাটা,বিকাল বেলা যেহেতু তাই আর পুকুর পাড়ে যাইনি। ও হ্যাঁ এর মাঝে আবার কারেন্ট চলে গিয়েছে যদিও আজকের দিনটা একটু ঠান্ডা ছিলো তবে গরম গরম অনুভব করছিলাম। তাইতো ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি রাস্তায় হাঁটতে। সত্যি কথা বলতে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় পা দিতে খুব ভালো লাগছিলো,হালকা ঠান্ডা বাতাস ছিলো খুব একটা লোকজন ও ছিলো না একদম ঠান্ডা একটা পরিবেশ।
ভেবে ছিলাম পুকুর পাড়ে যাব না তবে, আমাদের রাস্তার পাশেই আর একটা পুকুর আছে এইতো যেটা দেখতে পাচ্ছেন ছবিতে, বেশ বড় একটা পুকুর প্রায় ৫ বিঘার মতো হবে,আগেই পুকুরটা তে আমার শশুর মাছ চাষ করতো,কিন্তু এখন সে না থাকায়, অন্য মানুষদের কাছে দেওয়া হয়েছে এর পরিবর্তে আমাদের বছর শেষে টাকা দিবে। আর এখানে এসে দেখতে পেলাম পুকুরে মেশিন দেওয়া হয়েছে পানি কমানোর জন্য মাছ ধরা হবে।
এখানে আসার পর আর একটা কথা মনে পড়ে গেলো,তাহলে আমার শ্বশুরের কথা সে দিনের প্রায় সময়টা তে এখানে কাটাতে। প্রত্যেকটা জায়গার এত বেশি যত্ন নিতো একটা পাতা পর্যন্ত পড়তে দিত না পুকুরে, কি দুনিয়া তাই না দেখতে দেখতে পাঁচটা মাস হয়ে গেলো, পড়ে আছে তার শখের জায়গা জমি বাড়ি ভিটা সবকিছু।
একদিন এভাবে হয়তো আমি আপনি সবাই ছেড়ে চলে যাব শখের যে জিনিস গুলো রেখে, হয়তো বা ধীরে ধীরে আমাদের কোন চিহ্ন পর্যন্ত থাকবে না। কারণ কয় পুরুষই বা মনে রাখে তাই না, আর অনির্দিষ্ট দুনিয়াতে থাকার জন্য আমরা কত অহংকারী না করি, আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করার এই চাকচিক্যময় দুনিয়া কিছুই না চোখ বুজিলে সবই অন্ধকার। কিন্তু আমরা এমন প্রাণী এ কথাটাই মানতে চায় না, আমার কাছে মনে হয় এই মানুষ প্রাণীটাই হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষুধার্ত প্রাণী শুধু চাই চাই চাই,,,,।
যাইহোক এখানে ঘুরতে বা হাঁটতে এসেছি অন্য লাইনে যেতে চাই না হয়তো বা অন্য একদিন এই বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখব। তবে যাই বলি না কেন আমাকে তো আজকে এখানে হাটতে এসে ভীষণ ভালো লাগছে, হয়তো পানি দেখে বুঝতে পারছেন কত পরিমাণে বাতাস ছিলো,যখন সংসার সন্তান পড়ালেখা হাজারো কাজ কাম ছেরে যখন নিজেকে একটু সময় দেয়ার জন্য একা একটু সময় কাটাবেন তখন দেখবেন কত ভালো লাগা কাজ করে,, ।
আর আমার সাথে সাথে তো ছেলে ও মাশাআল্লাহ সবকিছু দেখতে শিখে গিয়েছে, রাস্তায় আসা মাত্রই সে এদিকে ওদিকে কি ভাবে যে ঘুরে ঘুরে দেখছে মনে হয় যেন কত চেনা যায় তার,এর মাঝে কয়েক টা মা ছেলে মিলে ছবি তুললাম। তবে, তাকে নিয়ে কি আর ছবি তোলা যায় ফোন যে দিকে ধরি তার উল্টো দিকে তাকায়। কি যে একটা অবস্থা অবশেষে জোর করে এই ছবি দুটো তুলেছিলাম।
মানে বাহিরের সবকিছু দেখার জন্য সে ব্যস্ত,তবে আমার কাছে ভালো লাগছিল ওর এরকম দেখার আগ্রহ দেখে, এগুলো থেকেও বাচ্চাদের বুদ্ধি অনেক ডেভলপ করে , আমাদের প্রত্যেকটা মায়ের উচিত প্রতিদিন একটু সময় হলেও বাচ্চাদের কে নিয়ে সময় দেওয়া হাঁটতে বের হওয়া ঘুরতে যাওয়া। কারণ প্রাকৃত থেকেও ওরা অনেক কিছু শিখে,,।
ভাবছি এভাবে প্রতিদিন ঘুরতে বের হবো কারন আজ অনেক ভালো লেগেছে, ও হ্যাঁ বলতে চাই আপনারাও এরকম ঘুরতে বের হবেন, নিজেকে সময় দিবেন নিজের সাথে কথা বলবেন দেখবেন একাকীত্বতা খারাপ লাগা সব দূর হয়ে যাবে।
খুব সুন্দর একটা বিকাল কাটিয়েছি, যাইহোক সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
