সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত, আমার করা কিছু কাজ।
Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি প্রতিদিনের মতো আজও ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভালো আছি তবে, আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুব ব্যস্ততায় কেটেছি আমার সময় গুলো। ছোট বাবু নিয়ে বাহিরে কাজ করতে গেলে একদম হাঁপিয়ে উঠতে হয় নিজেকে তো সময় দেওয়া যায় না।কি আর করার এ কথা তো বলা যাবে না,আর কাকেই বা বলবো নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে,,।
গতকাল কে ঠিক করে রেখেছিলাম আজকে যাব একটু মার্কেটে তোষক ও একটা ম্যাট্রেস কিনতে,কিছুদিন আগে খাটকে না হয়েছে কিন্তু এখন আমার কাছে মনে হয় নতুন করে তোষক বানানো উচিত। আগের গুলো অনেক টা এই পূরণ হয়ে গিয়েছে।
দুই দিনের এই জীবনে একটু শান্তি মত যদি না কাটানো যায়, তাহলে কি হবে এত ধন-সম্পত্তি রেখে গিয়ে। একটা মানুষের একটা বাসায় বা রুমের ভিতরে তার সবচেয়ে শান্তির জায়গা হচ্ছে তার বিছানা।আর সে বিছানাটা এই যদি সুন্দর না হয় তাহলে শান্তির ঘুম কি ভাবে আসবে। আমার কাছে মনে হয় সব সময় বিছানা টা এমন ভাবে থাকবে সারাটা দিন কাজকর্ম করার পরে বিছানায় বসতে এই ঘুম চলে আসবে।
যেহেতু ঠিক করেছিলাম আজকে যাবো মার্কেটে, তাই খুব সকালের ঘুম থেকে উঠে হালকা নাস্তা তৈরি করেছিলাম নুডুলস ও পাস্তা একসাথে রান্না করেছে। আর চা এর পরিবর্তে নিয়ে ছিলাম দুধ ও বিস্কুট এরপর শাশুড়ি আম্মা এবং আমি দুজনে মিলে সকালের নাস্তা টা খুব তাড়াতাড়ি করে নিয়েছিলাম। মেয়ে গতকাল কে গিয়েছে তার নানা বাড়িতে ওখানে থেকে এই সপ্তাহে বাকি কয়েক দিন স্কুল করবে, আগামী বৃহস্পতিবারে আমি নিয়ে আসবো তাই আমিও কিছুটা ফ্রি।
এরপরে শাশুড়ি আম্মা এবং আমি রেডি হয়ে নিলাম, আমাদের একজন অটো ড্রাইভার আছে,উনি আমাদের সব জায়গায় নিয়ে যায়, কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে তাকে ফোন দেই।ঠিক তেমন আজও রেডি হয়ে থাকে ফোন দিলাম, আমাদের বাসা থেকে তার বাসা দূরত্ব মাত্র ৫ মিনিট আসতে খুব একটা দেরি হলো না, আর তাছাড়া আমাদের বাসায় একদম সাথে রাস্তা এরপর সে গাড়ি নিয়ে আসলো এবং আমরা উঠে পড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
ভেবে ছিলাম কোটালীপাড়া যাবো,কিন্তুু সেখানে আর যাওয়া হলো না, কারণ পৌরসভাতে যত দোকান পাট ছিলো সরকারি জায়গায় তে সবগুলো ভেঙ্গে দিয়েছে সরকারি লোকজন, দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তাই আমাদের গ্রামে যে বাজারে আছে সেখানে গিয়েছিলাম, বাজারে গিয়ে প্রথমে গিয়েছিলাম একটা তুলার গোডাউনে সেখান থেকে তুলা দেখে দুই টা তোষক বানানোর জন্য অর্ডার দিয়ে এসেছি। এরপরে দুইটা বিছনার চাদর এবং তার সাথে চার টা বালিশের কভার কিনে নিয়ে এসেছি । এগুলো কেনার ইচ্ছায় ছিল না কিন্তুু, দোকানে গিয়ে দেখে এত বেশি পছন্দ হয়েছে না কিনে থাকতে পারলাম না।
এসব কেনাকাটা করার পরে, কাঁচামরিচ, সুতা, কিছু শুকনো খাবার,এসব কেনাকাটা করি, এরপরে বাসায় চলে আসি বাসায় আসতে আসতে প্রায় দুপুর বারো টা বেজে গিয়েছিলো,বেশ কষ্ট হয়েছে ছোট বাবু নিয়ে বাহিরে যাওয়া যে কি কষ্টসাধ্য একটা কাজ যা বলার সত্যি কঠিন।
যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবারো ফিরে আসবা আগামীকাল। ততক্ষণ সবাই ভাল ও সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।।।