Better Life With Steem || The Diary game || 11 th October

Hello every,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং আপনাদের দিনটি ভালই কেটেছে।

গতরাতে ঘুমায়নি। কোন একটা কারণে ঘুম হলো না। মনের মধ্যে কিছু কথা আনাগোনা করছে। আনাগোনা কথাগুলো লিখতে মন চাইছে। আবার হঠাৎ করে মন চাইছে ও না । সবাই কিনা কি কিভাবে ?দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি।
আজ আমার ছেলেকে বলছিলাম, শুদ্ধ, স্টিমিট প্লাটফর্ম টাকে আমার কাছে মায়ের মত লাগে। বলতো কেন মায়ের মত লাগে? আমার দশ বছরের ছোট ছেলেটি আমাকে বলে উঠলো, কারণ মায়ের কাছে সব কথা বলা যায় ।স্টিমিট প্লাটফর্মে তোমার ভালো লাগা না লাগা, ইচ্ছে অনিচ্ছার কথাগুলো তুমি বলতে পারো। তাই তোমার কাছে মায়ের মত লাগে। ওর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম !এই ভেবে যে, এই ছোট ছেলেটি আমার প্রশ্নের উত্তরটি এতটা গুছিয়ে বলল কি করে!

pixabay

আমাকে আরো একটি কথা বলেছে। আমাদের এডমিন ম্যাম আমাকে প্রশ্ন করেছিল যে ,আপনাকে যদি সততা এবং কর্ম এই দুটি অপশন দেয়া হয় আপনি কোনটাকে বেছে নিবেন? তখন আমি দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে পড়ে গেলাম। কারণ সততা এবং কর্ম আমার দুটোই প্রয়োজন। আমি মেমকে বললাম, আমি কর্ম কে বেছে নিব। আমার অর্থে প্রয়োজন। কর্ম যদি না করি তাতাহলেত অর্থ উপার্জন করা যাবে না। তাই আমি কর্মকে বেছে নিলাম। কর্মকে বেছে নেওয়ার পরও আমার মধ্যে একটা দ্বন্দ্বতা কাজ করছিল এটা ভেবে যে, সততা এবং কর্ম এই দুটোই তো প্রয়োজন। তাই আজও আমার ছেলেকে বলছিলাম ,শুদ্ধ, আমাকে গতকাল ম্যাম বলছিল যে, আপনাকে যদি সততা এবং কর্ম এই দুইটি অপশন দেয়া হয় তাহলে এই দুটির মধ্যে আপনি কোনটি বেছে নিবেন। আমি বলেছিলাম "কর্মকে" বেছে নিব। তখন আমার ছেলে আমাকে বলে উঠলো, মা সততা এবং কর্ম দুটিই তো প্রয়োজন! তুমি বলতে যে, আমি কর্মকে বেছে নিলাম এবং সেই কর্মকে আমি সততার সাথে করবো। তখন আমি ভেবে দেখলাম সত্যিইতো বলেছ ও! এভাবেই উত্তরটা দেওয়া উচিত ছিল আমার।

এখন চলে যাই আমার দিনটা কিভাবে শুরু হল এবং কিভাবে কাটল সেই কথায়।

সারারাত ঘুমাইনি ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই ইচ্ছে করছে বাইরে গিয়ে মুক্ত বাতাসের নিঃশ্বাস নিতে। তাই ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই চলে গেলাম বাড়ির ছাদে। ছাদে গিয়ে দেখি ভোরের প্রকৃতি কত শান্ত ও স্নিগ্ধ !এবং শরতের মিষ্টি বাতাস বইছে। শরতের বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে শারদীয় পূজোর আগমনী বার্তা।

ছাদে লাগানো ফুল গাছের পাতায় পাতায় পড়ে আছে শিশিরবিন্দু। গাছগুলো খুব সতেজ দেখাচ্ছিল এবং দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। তাই ওই মুহূর্তে ফুল গাছের কিছু ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম।
ছাদে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর পুজোর ফুল তুলে ঘরে চলে আসলাম। তারপর সকালের কাজকর্ম শেষ করলাম। আজ সকালের নাস্তার জন্য ফ্রাইড রাইস রান্না করলাম।

সবাইকে খাবার দিয়ে আমি চলে গেলাম স্নান করতে। রাতে ঘুম না হওয়ায় শরীরটা বেশি ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে স্নান করলে ভালো লাগবে। তাই সকাল সকাল স্নান করে সকালের পুজো দিয়ে ফেললাম।

আমাদের বাঙালি নারীদের শরীর ভালো লাগুক আর না লাগুক সংসারের কোন কর্ম মিস করা যাবে না। ভালো লাগুক আর নাই লাগুক কর্ম করতেই হবে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই সংসার ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাই। কিন্তু এটা করতে পারিনা ।কারণ মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছি তো! তাই পারিনা।পুজো শেষ করে দুপুরে রান্না শেষ সেরে নিলাম।

কদিন যাবত খুব বেশি ব্যস্ত তাই দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর বিশ্রাম নিতে পারিনা।

সন্ধ্যা পূজা এবং সন্ধ্যার কাজকর্ম শেষ করে ছেলেকে পড়তে বসলাম। আগামী শনিবার থেকে ছেলের সিটি পরীক্ষা শুরু হবে। ছেলেকে সময় দেওয়া খুব প্রয়োজন ।কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ঠিকমতো সময় দিতে পারি না।

ছেলেকে পড়তে বসিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম ।কিছু স্টিমিট বন্ধুদের ভোট দিলাম ।তারপর কনটেন্ট লিখতে বসলাম।

বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের দিনলিপি। সবাই ভাল থাকবেন ।সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে এখানেই শেষ করছি ।শুভরাত্রি।