বাপের বাড়ি যাওয়ার মূহুর্ত

in Incredible India14 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।

IMG_20250912_162000.jpg

গতকাল ছিল বৃহস্পতিবার। গত রবিবার দিন আমার মা ,দুই বোন, বোনের বর সকলেই মামার বাড়িতে এসেছিল। পাগলা খালি পুজো দিতে যাবার জন্য। পাগলা খালি কোন পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। অন্য কোন পোস্টে সব কিছুই শেয়ার করে নেব। যাই হোক গতকাল ছিল তাদের বাড়িতে ফেরার দিন। গতকাল আমার ও বাপের বাড়িতে বেশ কিছু কাজ ছিল ।তাই মায়ের সাথে আমারও বাপের বাড়িতে যাবার কথা ছিল। কাজটা বাপের বাড়িতে নয় ।আসলে ব্যাংকের কিছু কাজ। আমার একা যেতে একদমই ভালো লাগেনা, তাই ভেবেছিলাম মায়ের সাথেই একেবারে চলে যাব। সকলে একসাথে যেতে ভীষণ ভালো লাগে।গল্পে গল্পে কখন রাস্তা শেষ হয়ে যায় বোঝায় যায় না।আমি যেহেতু বৃহস্পতিবার দিন সকাল বেলায় যাব। তাই মা আমার জন্যই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থেকে গিয়েছিল।

IMG-20250911-WA0004.jpg

গতকাল সকালবেলায় খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম ।বেশ কয়েকদিন ধরেই রাত জেগে কাজ চলছে। তাই সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হয়। রাতে শুতে প্রায় দুটো আড়াইটে বেজে যায়। যাই হোক সকালের সমস্ত কাজকর্ম সেরে সকলে মিলে বেলা এগারোটা নাগাদ বেরিয়ে পড়েছিলাম। বাইরে প্রচণ্ড কড়া রোদ। তাই আমরা ছোট বোনের বরকে গিয়ে বলেছিলাম বাসস্ট্যান্ডে আগে থেকে বাসের টিকিট কাটার কথা। তাহলে আমাদের বাসে ওঠার জন্য বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে হবে না। টিকিট কাটা থাকলে আমরা বাড়ির কাছে থেকেই বাসে উঠে পড়বো। আমাদের কথা মতো ছোট বোনের বর আগে থেকেই টিকিট কেটে নিয়েছিল। বাস আমাদের বাড়ির কাছে যে মোড়ের মাথাটা রয়েছে সেখান দিয়েই যায়। তাই আমরা কষ্ট করে আর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যায়নি। বাড়ির কাছ থেকেই সকলে বাসে উঠে পড়েছিলাম। টোটো ভাড়া সকলেই বেঁচে গিয়েছিল।

IMG-20250911-WA0000.jpg

আমাদের কৃষ্ণনগরে রোদ থাকলেও খানিকটা দূর যাওয়ার পর বেশ মেঘলা মেঘলা আবহাওয়া ছিল গতকালকে। সকলে মিলে খুব মজা আনন্দ করতে করতে যাচ্ছিলাম। তবুও বাসে করে যেতে ভীষণ কষ্ট হয়। আমাদের মত মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষজন যাতায়াতের খুবই অসুবিধা হয়।আর আমাদের করিমপুর রোডে ট্রেন লাইন নেই তাই আরো অসুবিধা। বাস চলার সময় যে দুর্গন্ধ বের হয় সেটা আমার একদম সহ্য হয় না । গতকালকে ও ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। তবু কিছু করার নেই। যাইহোক আমি আর বোন দুজনে মিলে ব্যাংকে চলে গিয়েছিলাম। আর মা, ছোট বোন আর ছোট বোনের বর তিনজন মিলে টোটো ধরে বাড়ি চলে গিয়েছিল।

যেহেতু ওদের সাথে অনেকগুলো ব্যাগ ছিল। তাই সেগুলো রাখবার জন্যই বাড়ি গিয়েছিল ।বাড়িতে কিছু টুকটাক কাজকর্ম সেরে, মা আবারো চলে এসেছিল ব্যাংকে। মা না আসলে ব্যাংকের কাজ সারা হত না। তাই মা হুটোপাটা কাজকর্ম সেরে দুপুর দুটো নাগাদ ব্যাংকে চলে এসেছিল। আমাদের বাড়ি থেকে ব্যাঙ্ক অনেকটাই।আমরা ওখানে পৌঁছেছিলাম দুপুর একটা নাগাদ। বাইরে রোদ না থাকলে ও প্রচন্ড গরম দাঁড়ানোর কোথা ও জায়গা নেই। তাই সোজা একেবারে ব্যাংকে গিয়ে বসে ছিলাম। ব্যাংকের কাজ সারতে প্রায় সাড়ে তিনটে বেজে গিয়েছিল। ব্যাংকের সমস্ত কাজকর্ম ঠিকঠাক মিটিয়ে এবারে বাড়ি ফিরবার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলাম সকলে। আমাদের সাথে আমাদের বাপের বাড়ির গ্রামের কিছু লোকজন ছিল। তাদের ও সমস্ত কাজকর্ম মিটিয়ে নিয়েছিল। বিয়ের পর এখনো সমস্ত ডকুমেন্টস ট্রান্সফার করা হয়নি। তাই মাঝে মাঝেই দরকারি কোন কাজে ছুটতে হয়।


আজ এই পর্যন্তই। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Sort:  
Loading...

Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator06. We encourage you to publish creative and quality content.

Curated By: @wirngo