পাগলা খালি মন্দিরের রহস্য
নমস্কার বন্ধুরা ,সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পাগলা খালি মন্দিরের রহস্য । বেশ কিছুদিন আগের পোস্টে আপনাদের মাঝে পাগলা খালি তে পুজো দিতে যাওয়ার প্রস্তুতিপর্ব শেয়ার করেছিলাম। সেদিন সকলে মিলে পাগলা খালি তে যখন পৌঁছেছিলাম তখন বাজে বেলা 11:30 দুপুর বেলা খাঁ খাঁ রৌদ্র। পাগলা খালি তে যাবার রাস্তা প্রচন্ড খারাপ। একদম মাঠের মাঝখানে পাগলা বাবার মন্দির। চারপাশে তেমন কোন জনবসতি নেই ।মন্দিরের চারপাশে চাষের জমি রয়েছে। আমি মন্দিরের কিছু রহস্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। মন্দিরটি যেখানে নির্মাণ হয়েছে সেখানে আগে ছিল শ্মশান। গ্রামের যখনই কোন মানুষ মারা যেত। তখন ওই শ্মশানে দাহ করা হতো। আমরা ছোট থেকেই শুনে এসেছি হিন্দু ধর্মের স্বয়ং মহাদেব ছিলেন শ্মশান-বাসী।
একদিন রাত্রিবেলায় ওই পাড়াতে আশেপাশে কোন একজন ব্যক্তি মারা গিয়েছিল। আগেকার দিনের মানুষ বেশিরভাগ বিনা চিকিৎসায় মারা যেত।সেই দেহটাকে মাঝ রাতে দাহ করার জন্য ওই শ্মশানে কিছু মানুষ নিয়ে যায়। এরপর ওই দেহটাকে দাহ করা হয়ে গেলে যে যার মত বাড়ি ফিরে যায়।গ্ৰাম্য এলাকায় সেভাবে কোন ইলেকট্রিক এর ব্যবস্থা নেই।কিন্তু একজন হয়তো বুঝতে পারিনি সকলে বাড়ি ফিরে গেছে। ওই লোকটি তখন একা আসতে ভয় পায় ।তখন কোথা থেকে এক অজানা অচেনা এক ভদ্রলোক এসে লোকটিকে জিজ্ঞেস করে তুমি বাড়ি যাবে । লোকটি তখন খানিকক্ষণ হতভম্ভ হয়ে আমি বাড়ি যেতে চাই।তখন ওই ভদ্রলোক শ্মশান বাসী বলে চলো আমি তোমাকে এগিয়ে দিচ্ছি। এই বলে ওই ব্যক্তিটি আগে আগে হাঁটতে থাকে আর শ্মশানে ওই ব্যক্তিটি পিছনে পিছনে হাঁটতে থাকে ।এই করে যখন ওই লোকটির বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে ।তখন লোকটি পিছনে তাকিয়ে দেখে ওই শ্মশানে থাকা ব্যক্তিটি আর নেই।
এই থেকেই ওই গ্রামে পরের দিন সকালে একটা গুজব রটে যে রাতের বেলাতে আমাকে স্বয়ং মহাদেব বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে গেছে। সেই থেকে মানুষের মনে কৌতুহল। সেখানে একটা বিরাট বটগাছ রয়েছে সেটাকে ঘিরে মানুষ পূজা অর্চনা করতে থাকে।যে যা চায় সকল মানুষের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হতে থাকে। এরপর সেখানে শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই যখন সারা গ্রামে গ্রামে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে তখন মানুষের অনুদানে সেখানে একটি মন্দির গড়ে ওঠে ।এরপর থেকে বহু ভক্তরা ওই মন্দিরে পুজো দিতে যাই। তবে ওই মন্দিরে সন্ধ্যের পর কোন ব্যক্তি পৌঁছাতে পারতো না। যেহেতু ওটা একটা শ্মশান ছিল। তাই মানুষের ভয় ওখানে সন্ধ্যার পর নাকি মহাদেব যেমন নৃত্য করত সেই রকম নৃত্যের আওয়াজ হতো। আমি যেহেতু কানে শুনিনি ।আমার সম্পূর্ণ ঘটনাটি শোনা কথা। ওখানে আমাদের আত্মীয় স্বজন রয়েছে ওদের মুখ থেকেই শুনেছি। তবে আমার বিশ্বাস একটি প্রবাদ রয়েছে যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটনা ঘটে ।
আশেপাশে চাষের জমি থাকলেও কোন মানুষ সন্ধ্যার পর ওখানে উপস্থিত থাকতে পারতো না ।বিকেল চারটের পর সমস্ত কিছু গুটিয়ে নিতে হতো। সেই থেকেই ওই স্থানটির নাম হয়েছে পাগলা বাবার মন্দির। ওই মন্দিরটি এখন বহু দূর দূর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। বহু দূর -দূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা আসে ওই মন্দিরে পূজা দিতে। পরের মুহূর্ত অন্য কোন পোস্টে শেয়ার করে নেব।
আজ এই পর্যন্তই ।আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Thank you 🙏