শিক্ষক দিবস পালন
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
৫ ই সেপ্টেম্বর ছিল শিক্ষক দিবস। শিক্ষক দিবস নিয়ে প্রচুর স্মৃতি রয়েছে।আমাদের ছোট থেকে দেখে আসছি শিক্ষক দিবসের দিন প্রত্যেকটা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়িতে শিক্ষক দিবস পালন করা হতো।ওই দিন সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের পড়ানো ছুটি থাকতো।আমরাও নিজেরাও শিক্ষক দিবসের দিন ইচ্ছামতো করে পালন করতাম।। স্যার বা ম্যাডাম কেউই বকতো না। কিন্তু অন্য একদিন খাবারের আয়োজন করতেন। ছোট থেকে আমরা এটা দেখেই শিখে বড়ো হয়েছি। আমি বিয়ের আগে প্রচুর স্টুডেন্ট পড়িয়েছি। তাদের নিয়ে সেভাবে শিক্ষক দিবস পালনের সুযোগ হয়নি। কারণ তাদের সকলকে বাড়িতে পড়াতে যেতাম।আমি এখন ও টুকটাক বাচ্চাগুলোকে পড়াই। তাদেরই খাওয়ার আয়োজনের কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমি প্রত্যেক বছর আমার স্টুডেন্টদের ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করি। তবে আমি বেশি স্টুডেন্ট একদমই পড়াতে পারিনা ।কারণ আমার সময় হয়ে ওঠে না। শুধুমাত্র আমার মামার মেয়েকে পড়াতে হয় ।তার সাথে সাথে আরো দুটো বাচ্চাকে আমি পড়াই। আমাকে আরো বাচ্চা পড়ানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু আমি নিজের সময় বের করে উঠতে পারিনা বলে আর নতুন করে কোন স্টুডেন্ট পড়ানো হয় না।
যাইহোক গত দশ তারিখে আমি আমার বাচ্চাদের শিক্ষক দিবসে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলাম। ওদের পছন্দমত খাবার লুচি,মাংস আর মিষ্টি । ওরা খুবই ছোট। তাই ওরা পরিমানে খুবই অল্প খেলে ও আনন্দ করতে ভীষণ পরিমাণে ভালোবাসে।ওদের ইচ্ছা যেদিন কে শিক্ষক দিবসের খাওয়া দাওয়া হবে সেদিনকে পড়াশোনা একেবারে বন্ধ। তাই আমি ওদের না জানিয়ে গত দশই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে ফেলেছিলাম। কারণ সে দিন আমার মা ,বোন ,সকলেই ছিল। তাই ভেবেছিলাম সেদিন আয়োজন করলে ওরাও বাচ্চাদের সাথে আনন্দ করে খেতে পারবে। সাথে আমার বোন আমাকে একটু হেল্প করবে। কারণ আমার বাড়িতে আমার মা, বোনদের খাওয়ানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনা। তাই এই সুযোগে দুই কাজ সাড়া হয়েছিল।
যাই হোক সেদিনকে পড়তে আসার পর পড়াশোনা শেষে তিনজনকেই যত্ন সহকারে আমি সমস্ত খাবার খেতে দিয়েছিলাম। ওরা তিনজনে খুব মজা করে সমস্ত খাবার খেয়ে নিয়েছিল। কিন্তু সেদিন পড়াশোনা করতে হয়েছে বলে মনে মনে একটু রাগ ছিল।এরপর তিনজন মিলে প্রচুর আনন্দ,মজা ,খেলাধুলা করে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি চলে গিয়েছিল। সব থেকে মজার বিষয় হল আমি ওদের খাবার সময় কোনরকম ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম ।আমি এই প্লাটফর্মে কাজ করি ওরা সেটা জানে। তাই যাবার আগে ওরাই আমাকে মনে করিয়ে দিল দিদি তুমি তো আমাদের ছবি তুললে না। ওদের ছবিগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি ওরা ভীষণ আনন্দ পায়। তাই শেষে আমি ওদের তিনজনকে দাঁড়িয়ে কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম।
এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়। কাজ করতে আমার আরো উৎসাহ জাগে। ওরা সবশেষে আমাকে বলছিল দিদি তোমাকে তো এবার গিফট দেওয়া হল না । গিফট দেওয়ার কথা ওদের মনে আছে আমার কাছে এটাই অনেক।যাইহোক বাচ্চাগুলো এরকম উদ্বেগ দেখে আমারও খুব ভালো লাগে। কিন্তু গিফট আনতে আমি বারন করে দিয়েছিলাম। শিক্ষক দিবসের জন্য মামা কিছু টাকা দিয়ে ছিল গিফট কিনে নেওয়ার জন্য। কিন্তু কেনা হয়নি। তবে নিজের হাতে কেনার থেকে অন্যেরা যখন নিজে কিনে দেয় সেটার আলাদা মজা।
আজ এই পর্যন্তই ।আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।